কৃষ্ণকে ভগবান হিসাবে তুলে ধরতে হিন্দুরা এই চরিত্রকে ঘিরে অলৌকিকতার নামে এমন সব গল্প ফেঁদেছে যে যাদের বিন্দুমাত্র সাধারণ জ্ঞান আছে তারা বুঝতে পারবেন যে এগুলো জাস্ট গল্প…রূপকথার গল্প… সাধারণ জ্ঞান, বাস্তবতা এবং ফিজিক্স কেমেস্ট্রি বায়োলজি–বিজ্ঞানের কোনো শাখা দিয়েই এগুলোকে সত্য বলে প্রমাণ করা যায় না। শুধু মাত্র অন্ধ বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে হিন্দুরা এসব গল্প শুনে বা বলে মনে মনে এক ধরনের ‘পাগলের সুখ’ লাভ করে।
তো আবার বর্তমানে কেউ কৃষ্ণের দোষ-ত্রুটি তুলে ধরলে হিন্দুরা এই বলে ডিফেণ্ড করে যে কৃষ্ণ ভগবানের অবতার…মানুষরূপে জন্মগ্রহণ করেছিল…মানুষের সব গুণাবলী-ভুল-ভ্রান্তি তার মধ্যে থাকাটাই স্বাভাবিক।–এই যে সুবিধামত একবার ভগবান বলা, ধরা খেলে আবার সাধারণ মানুষের পর্যায়ে নামিয়ে আনা–এগুলোকে ব্লগ আর ফেসবুকীয় পরিভাষায় বলে ‘পিছলামী’।
যতই পুরানো ধর্মীয় কাহিনীতে যাবেন, এ ধরনের অবাস্তব গাঁজাখুরি গল্প তত বেশী পাবেন। আর সভ্যতা যতই সামনে এগিয়েছে, বিজ্ঞানের অগ্রগতি হয়েছে, ততই এসব গল্প কমে আসছে। আজকাল কেউ কি বিশ্বাস করবে যে একটা দুধের-বাচ্চা ‘রাক্ষস’ মেরে ফেলছে? বরং চরিত্রগুলোর নাম উল্লেখ না করে এই গল্পগুলো যদি কাউকে বলেন, একটা দুধের-বাচ্চা ছেলে পর্যন্ত হেসে গড়াগড়ি খাবে।
এবার একটি গল্প শোনা যাক–
================
একবার জয়নাল ব্যাপারীর সাথে একটা গাধার দেখা হলো। গাধায় কথা বলতে পারে মনে করে জয়নাল ব্যাপারী গাধাকে জিজ্ঞেস করল,”তোমার নাম পরিচয় কী?”
গাধায় উত্তর দিল, “আমার নাম ছোটগাধা, বাপের নাম বড়গাধা। আমি আগে এক ইহুদি মালিকের অধীনে ছিলাম। সে আমাকে না খাইয়ে রাখত আর অনেক মারত।”
জয়নাল ব্যাপারীর মনে মায়া হল। সে গাধাটাকে নিজের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিল এবং গাধার নতুন একটা নাম দিল। তারপর প্রশ্ন করল, “তোমার কি আলুর দোষ আছে?”
গাধা লজ্জা পেয়ে বলল, “কী যে বলেন হুজুর! আমার চরিত্র ফুলের মত পবিত্র!”
তারপর থেকে জয়নাল ব্যাপারী এই গাধার পিঠে চড়ে ব্যবসা দেখাশুনা করত, কারো সাথে দেখা করতে চাইলে গাধাকে পাঠাত তাদের ডেকে আনতে।
জয়নাল ব্যাপারী মারা গেলে গাধাটি মনের দুঃখে একটি কুয়ার মধ্যে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করে।
================
উপরের গল্পটি বাস্তবতা-জ্ঞান-বুদ্ধি খাটিয়ে সাধারণ ভাবে কতজনে বিশ্বাস করলেন? আর ধর্মের নামে চালালে কতজনে বিশ্বাস করতেন?
Leave a Reply