লিখেছেন গোলাপ
‘তার (হালিমার ছেলে) পিতা আমাকে বললেন, “আমি শঙ্কিত এই ভেবে যে, ছেলেটি (মুহাম্মদ) মস্তিষ্ক রোগগ্রস্ত (stroke), পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পূর্বেই তাকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দিয়ে এসো।” তাই আমরা তাকে তার মায়ের কাছে ফেরত দিতে গেলাম। তার মা আমাদের জিজ্ঞেস করলেন, কেন আমরা তাকে ফেরত নিয়ে এসেছি যদিও তার কল্যাণ কামনায় আমি উদ্বিগ্ন এবং তাকে আমি আমার কাছে রাখতে ইচ্ছুক। আমি তাকে (মুহাম্মদের মা আমিনা) বললাম, “এতদিন ঈশ্বর আমার ছেলেকে বাঁচিয়েছে এবং আমি আমার কর্তব্য করেছি। আমি শঙ্কিত এই ভেবে যে বিপদ তাকে স্পর্শ করবে। তাই আপনার নির্দেশ মোতাবেক আমি তাকে (মুহাম্মদ) আপনার কাছে ফেরত নিয়ে এসেছি।” তিনি জানতে চাইলেন আসলে কী ঘটেছে এবং সেই কারণটি তাঁকে জানাবার পূর্ব পর্যন্ত তিনি আমাকে স্বস্তি দেননি। তিনি জানতে চাইলেন, আমি তাঁকে (মুহাম্মদ) পিশাচগ্রস্ত (Possessed demon) জেনে ভীত কি না। আমি জবাবে বললাম, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, কোনো পিশাচের সাধ্য নাই যে আমার ছেলেকে স্পর্শ করে… (তারপর উদ্ভট/অলৌকিক কিচ্ছা)।
(His father said to me, “I am afraid that this child has had a stroke, so take him back to his family before the result appears.” So we picked him up and took him to his mother who asked why we had brought him when I had been anxious for his welfare and desirous of keeping him with me. I said to her, “God has let my son live so far and I have done my duty. I am afraid that ill will befall him, so I have brought him back o you as you wished.” She asked me what happened and gave me no peace until I told her. When she asked if I feared a demon possessed him, I replied that I did. She answered that no demon had any power over her son who had a great future over him, and then she told how when she was pregnant with him a light went out from her which illuminated the castles of Busra in Syria and she had borne him with the least difficulty imaginable. When she bore him he put his hands on the ground lifting his head towards the heavens. “Leave him then and go in peace,” she said.’]
আয়েশা হতে বর্ণিত,একদা নবী এমন যাদু-গ্রস্তহয়েছিলেন যে, ভ্রমের বশে এমন সব কাজের কথা তিনি করেছেন বলে বলতেন, যা তিনি আদৌ করেননি।
আয়েশা হতে বর্ণিত,নবীর ওপর যাদুর আছরহলে ভ্রমের বশে এমন সব কাজের কথা তিনি করেছেন বলে বলতেন, যা তিনি আদৌ করেননি। একদা তিনি অনেকক্ষণ প্রার্থনার পর ঘোষণা করলেন, “আল্লাহর ইচ্ছায় আমি আমার রোগের উপশম জানি। দুই ব্যক্তি আমার কাছে (স্বপ্নে) এসে বসলো, একজন আমার শিয়রে আর আরেকজন আমার পায়ের কাছে।একজন অপরজনকে বললো,”এই লোকটির কী অসুখ?”অপরজন বললো, “সে যাদুগ্রস্ত।”প্রথম জন বললো,”কে তাকে যাদু করেছে?”অপরজন বললো,”লুবায়েদ বিন আল-আসাম।”প্রথম জন জিজ্ঞেস করলো, “কী দিয়ে?”জবাবে অন্যজন বললো, “একটা চিরুনি, তার সাথে জড়ানো চুল এবং খেজুর গাছের ছাল।”প্রথম জন বললো, “কোথায় সেটা?”অপরজন উত্তর দিল, “সেটা ধাওয়ানের কুয়ায়।”নবী বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন, তারপর ফিরে এসে আমাকে বললেন, “খেজুর গাছগুলো (কুয়ার পাশের) ছিল শয়তানের মাথার মত।”আমি জিজ্ঞেস করলাম, “আপনি কি ঐ যাদুর সামগ্রীগুলোকে তুলেছেন?”তিনি বললেন, “না, কারণ আল্লাহ আমার নিরাময় করেছেন এবং আমি শঙ্কিত যে, এই কাজটি মানুষের ক্ষতির কারণ হবে।”পরে এই কুয়াটিকে মাটি চাপা দিয়ে ভরাট করা হয়েছিল।’
৭২: ১–১৫ – “— জিনদের একটি দল কোরআন শ্রবণ করেছে, অতঃপর তারা বলেছেঃ আমরা বিস্ময়কর কোরআন শ্রবণ করেছি; যা সৎপথ প্রদর্শন করে। ফলে আমরা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমরা কখনও আমাদের পালনকর্তার সাথে কাউকে শরীক করব না। এবং আরও বিশ্বাস করিযে, আমাদের পালনকর্তার মহান মর্যাদা সবার উর্ধ্বে। তিনি কোন পত্নী গ্রহণ করেননি এবং তাঁর কোন সন্তান নেই। আমাদের মধ্যে নির্বোধেরা আল্লাহ তা’আলা সম্পর্কে বাড়াবাড়ির কথাবার্তা বলত। অথচ আমরা মনে করতাম, মানুষ ও জিন কখনও আল্লাহ তা’আলা সম্পর্কে মিথ্যা বলতে পারে না। অনেক মানুষ অনেক জিনের আশ্রয় নিত, ফলে তারা জিনদের আত্নম্ভরিতা বাড়িয়ে দিত। তারা ধারণা করত, যেমন তোমরা মানবেরা ধারণা কর যে, মৃত্যুর পর আল্লাহ তা’আলা কখনও কাউকে পুনরুত্থিত করবেন না।
আমরা আকাশ পর্যবেক্ষণ করছি, অতঃপর দেখতে পেয়েছি যে, কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিন্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ। আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শ্রবণার্থে বসতাম। এখন কেউ সংবাদ শুনতে চাইলে সে জলন্ত উল্কাপিন্ড ওঁৎ পেতে থাকতে দেখে। আমরা জানি না পৃথিবীবাসীদের অমঙ্গল সাধন করা অভীষ্ট, না তাদের পালনকর্তা তাদের মঙ্গল সাধন করার ইচ্ছা রাখেন। আমাদের কেউ কেউ সৎকর্মপরায়ণ এবং কেউ কেউ এরূপ নয়। আমরা ছিলাম বিভিন্ন পথে বিভক্ত। আমরাবুঝতে পেরেছি যে, আমরা পৃথিবীতে আল্লাহ তা’আলাকে পরাস্ত করতে পারব না এবং পলায়ন করেও তাকে অপারক করত পরব না। আমরাযখন সুপথের নির্দেশ শুনলাম, তখন তাতে বিশ্বাস স্থাপন করলাম। অতএব, যে তার পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস করে, সে লোকসান ও জোর–জবরের আশংকা করে না। আমাদের কিছুসংখ্যক আজ্ঞাবহ এবং কিছুসংখ্যক অন্যায়কারী। যারা আজ্ঞাবহ হয়, তারা সৎপথ বেছে নিয়েছে। আর যারা অন্যায়কারী, তারা তো জাহান্নামের ইন্ধন।”
Leave a Reply