লিখেছেন লুক্স
১) মধ্যযুগীয় ফ্যাশনের ধবধবে সাদা বিশাল লম্বা পোশাক পরা এই আরবের মুসলমানরা জার্মানীতে এসেই একটা ধবধবে সাদা মার্সেডেজ-বেঞ্জ কেনে বা ভাড়া করে। নিজে গাড়ি চালাতে জানে না, তাই নিজের দেশের এম্বেসীর সহযোগিতায় নিজের দেশী বা আরবী ভাষা জানা একজন ড্রাইভার নিয়োগ দেয়। মজার বিষয় হচ্ছে, এরা ইচ্ছে করেই নো-পার্কিং জোন-এ পার্কিং করে এবং প্রতিদিন জরিমানা দেয়। শহরে কম পয়সায় বা বিনে পয়সায় পার্কিং পেতে হলে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু নো-পার্কিং জোন-এ সারাক্ষণই রং-পার্কিং এর জারগা পাওয়া যায়। বিদেশে এসে প্রতিদিন জরিমানা দিয়ে এরা টাকার গরম দেখাতে পছন্দ করে।
২) আরবের অসংখ্য ধনাঢ্য মুসলমান চিকিৎসা করাতে জার্মানিতে আসে। সাথে নিয়ে আসে একজন এশিয়ান চাকর। চাকর তার আরবের মনিবকে হুইল চেয়ার ঠেলে শহর ঘুরে দেখায়। অসুস্থ মনিবের হাতে থাকে তসবি। মনিব জানেই না, জার্মানির মতো দেশে পৃথিবীর সেরা চিকিৎসা নিতে এসে তসবি গোনার কোনো প্রয়োজনই নেই। এখানে তসবি ছাড়াই ডাক্তাররা অসুখ ভালো করে দেন। যদিও এরা নিজের দেশে থাকলে বিশ্বাস করে – কালো জিরায় সকল রোগ মুক্তি হয়।
৩) ইউরোপে এসে আরবরা রাতে ঘুমায় না। গভীর রাত পর্যন্ত ফ্ল্যাটে হৈ চৈ করে, গান বাজনা করে, আর প্রতিবেশীদের ঘুমের ক্ষতি করে। জার্মানরা তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যায় আর অনেক ভোরে ঘুম থেকে উঠে কাজে যায়। আরবরা সারা রাত জাগে আর দিনে ঘুমায়। এরা যেমন কাজ করে না, তেমনি এদের ধারণা – পৃথিবীর বাকি মানুষেরাও বোধহয় কাজকর্ম করে না।
৪) জার্মানরা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করে। একটা ছোট ময়লাও সাধারণত ডাস্টবিনের বাইরে ফেলে না। আরবরা এর উল্টো। এরা যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলে। বিশাল বিশাল ময়লার ব্যাগ বা খাবারের বর্জ্য সিঁড়িঘর, বাড়ির গেট এমনকি লিফটের ভেতর রেখে চলে যায়, আর ভাবে কেউ না কেউ তো তা ময়লা-ঘরে ফেলে দিয়ে আসবেই। প্রতিবাদ করলে অস্বীকার করে। এরা টুপি মাথায় দিয়ে মিথ্যা কথা বলে, আর অন্য সবাইকে চাকর মনে করে।
৫) এই এলাকায় অনেক গুলো সিসা ক্লাব আছে। সন্ধ্যা হলেই আরবের তরুণ-তরুণীরা দল বেঁধে সিসা খেতে বসে, সাথে চলে বড় পর্দায় বেলি ড্যান্স। কাল দেখলাম, এক দল তরুণী ক্লাবে বসে সিসা খাচ্ছে আর বড় টিভিতে উলঙ্গ টেবিল ড্যান্স দেখছে। মজার বিষয় হচ্ছে তরুণীরা ছিল সবাই বোরখা পরা।
Leave a Reply