(ধর্মকারী বরাবরই সিরিজময়। অতএব আরও একটি সিরিজের অবতারণা করা নিশ্চয়ই যায়েজ।
‘ইসলামী ইতরামি’ ও ‘লিংকিন পার্ক’ সিরিজে ধর্মান্ধদের কাণ্ডকারখানা সংক্ষেপে বর্ণনা করে লিংক ধরিয়ে দেয়া হয়। তো একদিন নিলয় নীল প্রস্তাব দিলেন, তিনি নানান ধর্মের ধর্মগুরু ও মোমিনদের ঘটানো কিছু কিছু কীর্তি সবিস্তারে লিখতে আগ্রহী। তিনি এমনকি অতি নিয়মিত লেখা দেয়ার হুমকিও প্রদান করেছেন। তাঁর হুমকিতে ভীত ধর্মকারী মাঝেমধ্যে তার অলিখিত আইনের (‘প্রথম পাতায় এক লেখকের একটির বেশি লেখা থাকবে না’) ব্যত্যয় ঘটাতে সম্মত হয়েছে।
সিরিজের নামে পাঁচটি বিশেষ্যপদ ব্যবহার করা হলেও শব্দসংখ্যা আসলে ন’টি: ধর্ম, কর্ম, কাণ্ড, কীর্তি, কাহিনী, ধর্মকর্ম, কর্মকাণ্ড, কাণ্ডকীর্তি ও কীর্তিকাহিনী।
বিসমিল্যা বলে আল্যার নামে শুরু হলো যাত্রা।)
লিখেছেন নিলয় নীল
সর্বরোগের মহৌষধ – গোমাতার পবিত্র মূত্র
ভারতের আগ্রাতে প্রচুর মানুষ ডি ডি সিঙ্ঘাল-এর গোয়াল ঘরে জড়ো হয়েছে এক গ্লাস ফ্রেশ গোমাতার পবিত্র মূত্র পানের প্রত্যাশায়। জয়রাম সিঙ্ঘাল (৪২) দশ বছর ধরে গোমূত্র পান করে এসেছেন। তিনি দাবি করেন, গোমূত্র শুধু সমস্ত প্রকার রোগ থেকে মুক্তই করে না, এটি সুস্বাদুও বটে।
হিন্দু বিশ্বাসীরা গরুকে পবিত্র দেবতা মনে করে এবং যে কোনো অসুখ থেকে সুস্থ করার উপাদান গোমূত্রের মধ্যে আছে বলেই তাদের বিশ্বাস। হিন্দুদের মধ্যে গরুপূজারিরা দাবি করে যে, গোমূত্র পানে ক্যান্সারসহ সমস্ত রকমের রোগ-বালাই থেকে সুস্থ হওয়া যায়। জয়রাম বলেন, “আমার ডায়াবেটিস ছিলো, কিন্তু যখন থেকে আমি গোমূত্র পান করা শুরু করি, তখন থেকে আমার ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গোমূত্র শরীরের সমস্ত রোগের মহৌষধ।”
সিঙ্ঘাল বলেন, ১২ বছরের অধিক সময় ধরে আমরা গোমূত্র পান করে আসছি, সকালে উঠেই আমাদের প্রথম কাজ হলো গোমাতার মূত্র পান করা। সকালে আমরা একসাথেই জড়ো হই এবং ভাগাভাগি করে যেটুকু গোমাতার পবিত্র মূত্র পেয়ে থাকি তা পান করি। কয়েক বছর আগেও খুব কম মানুষ ছিলো, যারা গোমাতার মূত্র খেতে পছন্দ করতো, তবে আমরা এটাকে এই এলাকায় আস্তে আস্তে জনপ্রিয় করে তুলি।
আমরা এখন প্রায় সবাই কমবেশি গোমূত্র পান করি, ইতোমধ্যেই একজন ক্যান্সার রোগী এই গোমূত্র পান করে উপকার পেয়েছেন। এই এলাকার আধ্যাত্মিক নেতারা ইতোমধ্যে গোমাতার পবিত্র মূত্র পান করার ওপরে গুরুত্ব প্রদান করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। অনুসারীরা যারা গোমাতার মূত্র পান করেন, তাঁরা দাবী করেন, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, টিউমার ও তলপেটের যে কোনো সমস্যা সমাধানে গোমাতার মূত্র চমৎকার কাজ করে। এমনকি টাক প্রতিরোধের ক্ষেত্রে গোমূত্র চমৎকার ফলাফল দিয়ে থাকে।
হিন্দু পুরোহিত রমেশ গুপ্ত বলেন, “এই মহাবিশ্বে ২ টি জিনিষ একমাত্র বিশুদ্ধ, একটি হলো গঙ্গা মায়ের পবিত্র জল এবং অন্যটি হলো গোমাতার পবিত্র মূত্র। সনাতন ধর্মগ্রন্থে গোমাতার মূত্রের কথা উল্লেখ রয়েছে। মানব শরীরে গোমূত্রের উপকারিতা সম্পর্কে কোনো সন্দেহ নেই। গোমাতার মূত্র সংগ্রহে সর্বোৎকৃষ্ট সময় হলো সূর্যোদয়ের পূর্বে, যার কার্যকারিতা তখন থাকে সব থেকে বেশি। এছাড়া মূত্র সংগ্রহের জন্য ভার্জিন মেয়ে গরু সবচেয়ে পবিত্র, যার এখনো বাচ্চা হয়নি।”
যদিও গ্রামে কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা গোমাতার মূত্রে বিশ্বাস স্থাপন করেননি। এমনকি ধর্মগুরুদের ক্রমাগত প্রচারের পরেও তারা কখনোই গোমূত্র পান করেননি। এ বিষয়ে সিঙ্ঘাল বলেন, অনেক লোক এখনো গোমাতার মূত্রের মাহাত্ম্য সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পারেননি। তাঁরা গোমাতার মূত্রের কার্যকারিতা সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ। একটা সময় অবশ্যই আসবে, যখন তাঁরা সত্য উপলব্ধি করতে পারবেন।
সিঙ্ঘাল আরও বলেন, বাণিজ্যিকভাবে আমরা গোমাতার মূত্র প্রোসেসিং করে বিপণনের চিন্তা করছি। কারণ সবার পক্ষে গোমাতার পবিত্র মূত্র পান করা সম্ভব হয় না। যেভাবে টুথপেস্ট, সাবান বা পাউডার বাণিজ্যিকভাবে বিক্রয় করা হয়, সেভাবে গোমাতার পবিত্র মূত্রও বিক্রয় করা সম্ভব। অনেক গোয়ালাই আমাদেরকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে পারবে। আর এই জিনিসের চাহিদাও রয়েছে, আবার পুণ্য অর্জনও হবে।
(সূত্র – ডেইলি মেইল)
গোমাতার পবিত্র মূত্র পানের পবিত্র দৃশের ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।
Leave a Reply