আজ সাত সকালে ঘুম ভাঙল বিদেশ থেকে এক দোস্তর ফোন পেয়ে। আমি জানতাম তার রবিবারে ছুটি। সেও বলেছিল রবিবারে ফোনে দিবে। তো হাই হ্যালোর পর বলল যে রবিবারেও কাজে যেতে হয়েছে তাই তার সকালে ফোন দিতে পারে নাই। মাত্র কাজ থেকে ফিরে তবেই ফোন দিয়েছে। বললাম, তাহলে রেস্ট নে, পরে ফোনে দিস। বলল মন খারাপ লাগছে, কথা বললে ভালো লাগবে।
অন্য একজন কর্মচারী আসে নাই তাই মালিক তাকে কল করে ব্যাকআপ দিতে বলেছিল। গত মাসের পেমেন্টটা আগে আগে পেয়ে যেতে পারে ভেবে সে-ও একটু গরজ করেই কাজে গেছিল। কিন্তু কাজে গিয়ে উলটা ঝামেলা বাঁধিয়েছে। চেক পায় নাই।
চেক না পেয়ে মন খারাপ। তার চেয়ে বেশি মন খারাপ, ঝামেলাটার জন্য। দোকানের মালামাল সাজাতে গিয়ে টাক থেকে কিছু মালামাল পড়ে গিয়ে ভেঙে গেছে! মালিক দোকানে ছিল না, কিন্তু পরে তো জানবে। সেই নিয়ে মহা দুশ্চিন্তা!
দোকানটা একজন ম্যানেজারসহ আরো দুইজন বাঙালি- এই তিনজন মিলে চালায়। তিনজনই মুসলমান। কিন্তু মালিক ইহুদি। বললাম, ইহুদিরা তো মুসলমানদের পছন্দ করে না। সব মুসলিম দেশ, এমনকি বাংলাদেশও সরকারী ভাবে ইসরাইলের সাথে ব্যবসা-বানিজ্য করে না। তো সে তোদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে না?
– করে না আবার! মুসলমানরা কিছু একটা করলেই সেইটা নিউজ ফোনে বের করে আমাদের দেখায়, দেখ তোদের মুসলমানদের কাম-কাজ দেখ! এই সেদিন ইংল্যাণ্ডের সেই আর্মির খুন হওয়ার ঘটনাটাও এভাবে দেখাইছে।
– তাইলে তোদের কাজ দেয় কেন? আর সবাই-ই দেখি মুসলমান!
– আরে শালারা আমাদের মন থেকে পছন্দ না করলে কী হবে, নিজেদের সুবিধা আর ব্যবসা ঠিকই বোঝে।
– মানে?
– মানে দোকানটা তো লিকারের মানে মদের, আর আমরা তো মুসলমান। শালায় মনে করে আমরা অন্যদের মত চুরি কইরা দোকানের মদ খাইয়া সাবাড় কইরা দিব না।
Leave a Reply