বোরখাওয়ালী যেইবার কলেজে যাওয়া শুরু করল, সেইবার পহেলা বৈশাখে একটা বই রঙ্গিলা কাগজে মোড়াইয়া সুন্দর কইরা প্যাকেট বানাইয়া আমারে উপহার দিছিল। কবিতার বই। যে জলে আগুন জ্বলে। হেলাল হাফিজ।
কবিতা বুঝি না। তবু সে এত যত্ন কইরা দিছে যখন তখন ভাবছিলাম নিশ্চয়ই তার কোন উদ্দেশ্য আছে। হয়তো কবিতার মধ্যে দিয়ে নিজেরই কোন কথা পরোক্ষ ভাবে বুঝাইতে চায়। তাই কিছুক্ষণের মধ্যেই কবিতাগুলা পইড়া শেষ করলাম।
পড়া শেষ হইলে বোরখাওয়ালী জিগাইলো, কি বুঝলা?
ভাবলাম একটু মজা করি। তাই উত্তরে কইলাম- কিছু বুঝি নাই, খালি মনে পড়ল- আমিও গ্রামের পোলা, চু…
– থামো! রাগ করে চইলা গেছিল।
তার হনহন কইরা চইলা যাওয়ার দৃশ্যটা এখনো চোখে ভাসে। সে যতটা না কষ্ট পাইছিল, তার চাইতেও কয়েকগুণ বেশি কষ্ট হইছিল আমার, তার মান ভাঙাতে। আর এত কাহিনী কইরা যে লাইনটা পেয়েছিলাম সেইটা মাথার মধ্যে ঢুইকা গেছে চিরস্থায়ী হইয়া। বিশেষ কইরা কাউরে গালাগালি করতে দেখলে মনে পড়বেই।
ফার্মের মুরগি আর তোতাপাখিগুলা যখন হাতে শ’দুয়েক গালির লিস্টি লইয়া কক কক করতে আসে, তখন মিটমিট কইরা হাসি আর মনে মনে বলি- পাল্লা গ্রামের পোলা আর এখনো গ্রামেই আছে…ওরকম কত গ্যাং চু** গাঙ খাল নদী সমুদ্র বানাই দেয়ার রেকর্ড…আহা, এরা যদি জানত!
– ফেবু, মে ২৯, ২০১৩
Leave a Reply