লিখেছেন : নাসিমা আক্তার
ভারতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নির্মমতা ঘটিয়াছে তাহাতে সন্দেহ নাই। ঐ দাঙ্গায় নিরীহ মানুষ নির্যাতনের শিকার হইয়াছে তাহাতেও সন্দেহ নাই। দাঙ্গা মানে অমানবিকতা এবং পাশবিকতা, তাহাতে কোনো সন্দেহ নাই।
ভারতের দাঙ্গায় সংখ্যালঘু মুসলমানরা বেশি মার খাইয়াছে তাহাতেও আমরা সন্দেহ করিনা। কিন্তু শেষতক তাহা দাঙ্গাই ছিল-যাহাতে দুই পক্ষ অংশ নিয়াছিল। ঘটনাটা বাংলাদেশের মত নহে – যেখানে সাম্প্রদায়িক (দাঙ্গা নহে) হামলা হয় এবং শুধু সংখ্যালঘুরাই নির্যাতনের শিকার হয়।
সর্বোপরি কথা হইল, ভারতের ঐ দাঙ্গার ফলাফল ডয়চে ভেলের এই খবরটির মত নহে। ঐ দাঙ্গায় বাস্তুচ্যুত হইয়া শতশত অথবা হাজার হাজার মানুষ পাকিস্তান অথবা বাংলাদেশের সিমান্তে ধর্ণা দিতেছেনা। কিন্তু তুরস্কের মুসলমানদের হাতে মার খাইয়া সিরিয়ার কয়েক হাজার নারী, পুরুষ এবং শিশু ইউরোপের সীমান্তে গিয়া আশ্রয় খুঁজিতেছে। তাহারা ইহুদী নাসারাবৃন্দের কাছে আশ্রয় প্রার্থী হইয়া এবং নাসারাদের দেশে জোরপূর্বক অনুপ্রবেশের আশায় গ্রিসের সীমান্ত-পুলিশের সঙ্গে দ্বন্দযুদ্ধে লিপ্ত হইয়াছে।
খবর পাইলাম, ভারতীয় সেনারা একটা মসজিদে ড্রোন হামলা করিয়া ৮৩ জন মুসল্লিকে হত্যা করিয়াছে। আহা! কি বলিতে কি বলিয়া ফেলিলাম! ভারত নহে। গতকাল ঘটনাটা ঘটাইয়াছে সৌদি আরব। ইয়েমেনের মসজিদে ড্রোন হামলা করিয়া এক নিমিষে ৮৩টি প্রাণ কাড়িয়া লইয়াছে। অনেক মুসলমান পঙ্গু হইয়া গিয়াছে। ওহে মুসলমান তোমরা জেহাদী জোসে জ্বলিয়া উঠিতেছনা কেন? কল্পনা কর ঘটনাটা মোদী ঘটাইয়াছে। আসো মোদীর বিরুদ্ধে মিছিল করি।
জানি, এইসব খবরে বাংলাদেশের মুসলমানরা জাগিবে না। সৌদি আরব বা তুরস্কের নিন্দায় আমাদের মোমিন ভাইয়েরা ঝড় বহাইয়া দেবে না। বায়তুল মোকারমের গেটে সৌদি বাদশাহ সালমান অথবা তুরস্কের তাইয়্যেব এরদোগানের বিরুদ্ধে কোনো মিছিল হইবে না। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মিত্রশক্তি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর বাতিলের দাবিতে প্রতিদিন মিছিল-সমাবেশ চলিতেছে।
এই জন্যই বলি: ইসলাম বা মুসলমানিত্ব একটি অসৎ, মিথ্যুক এবং ভন্ড প্রজাতির মিথ্যা বিশ্বাস মাত্র। এই প্রজাতি মিথ্যার মধ্যে বাস করিতে ভালবাসে। এই প্রজাতি হইতে যত তারাতারি সম্ভব নিজের নাম প্রত্যাহার করিয়া লইলে মানুষের কাতারে নাম লেখাইতে পারিবেন। ছবিতে বিপন্ন শিশুদের মুখ দেখুন। তাহারা সবাই এরদোগানের ইসলামী সেনাদের ভিকটিম।
Leave a Reply