লিখেছেন : নাসিমা আক্তার
মোহাম্মদ এবং তাহার ইসলাম অনেক আগেই হারিয়া গিয়াছে। কোরানের নির্দেশ অবান্তর এবং অগ্রহণযোগ্য -তাহা অনেকদিন হইতেই মুসলমানরা মানিতে শুরু করিয়াছে। বলুন দেখি কোনদিন হইতে?
ইসলামের অন্যতম প্রধান উপাদান হইল তাহাদের ভাষায় ‘পৌত্তলিকতা’র বিরোধিতা করা। পৌত্তলিকতা মানে কেবল পুতুল বা মূর্তিপূজা নহে। মূর্তি বা ছবি বানানোই নিষেধ। মোহাম্মদ নিজে কখনো নিজের মূর্তি বা ছবি তোলেন নাই। কোনো শিল্পীকে এই কাজ করিতে দেন নাই। মোহাম্মদের কয়েক হাজার বছরের আগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের মূর্তি এবং ছবি পাওয়া যায়। কিন্তু মোহাম্মদ এবং তার সাহাবারা – যাহারা শুধু ইসলাম নহে, যাহারা বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন এবং শাসন করিয়াছেন – তাহাদের কোনো মূর্তি ও ছবি নাই। মোহাম্মদের ছবি বলিয়া যাহা দেখানো হয় তাহা নিয়া বিতর্ক আছে। অন্তত ইসলাম অনুসারীরা ঐসব মোহাম্মদের ছবি বলিয়া স্বীকার করেননা। এই ছবি জিনিসটা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ – একদম হারাম। কিন্তু মুসলমান যেদিন ছবি তোলা মানিয়া নিয়াছে – সেইদিন তাহারা প্রায়োগিকভাবেই এই উপলব্ধিটি মানিয়া নিয়াছে যে কোরান এই ক্ষেত্রে ভুল এবং অকার্যকর।
বর্তমানকালে ইসলামের এমন কোনো ঘরানা পাওয়া যায়না যাহারা প্রচার করে ছবি তোলা নিষিদ্ধ। সৌদি ওহাবি হইতে শুরু করিয়া মৌলিক ইসলামের অনুসারী খোদ ইসলামিক স্টেট (আইএস) পর্যন্ত এই সত্য মানিয়া নিয়াছে যে এই ক্ষেত্রে কোরানের বাণী অগ্রহণযোগ্য। অল্প কিছুদিন আগে একটা গ্রুপ প্রচার করিত, ছবি তোলা, ভিডিও করা, টেলিভিশনে টকশো করা হারাম। যে সকল ওলামা বেপর্দা হইয়া এইসব কাজ করে তাহারা ‘ওলামায়ে ছু’। ইদানিং ঐ গ্রুপটাকেও আর দেখিতে পাই না। ইহার অন্যতম কারণ হইল বর্তমান কালে ছবি না তুলিলে হজ্জ হয় না। সৌদি আরব ছবিযুক্ত পাসপোর্ট ছাড়া ভিসা দেয়না। তাই ইসলাম অবজ্ঞা করিয়া ইসলামপন্থীরা এই ফেসবুক ভিডিও এবং ছবি দিয়া সয়লাব করিয়া ফেলিয়াছে।
অদূর ভবিষ্যতে ইহারা মোহাম্মদের কাল্পনিক ছবি আঁকিবে এবং তাহাকে নিয়া নাটক ও সিনেমা বানাইবে। ইহা করিতেই হইবে। নতুবা জ্ঞানবিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই প্রাগ্রসরমান সময়কালে তাহারাা প্রতিযোগিতায় হারাইয়া যাইবে। অতএব কোরআন এবং হাদিস ফেলিয়া দিয়া পৌত্তলিকতাই গ্রহণ করিতে হইবে।
Leave a Reply