লিখেছেন : আবু জাহেদ
দেশের অভ্যন্তরে ইসলামী মৌলবাদী শক্তির কাজই হচ্ছে যেকোনো প্রগতিশীল
উদ্যোগের বিষয়ে বাধা প্রদান করা। হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক নিয়ে এই কাজ এরা
প্রথম করছে তা তো নয়, বরং এই কাজ তারা সব সময় করে এসেছে।
প্রায় সব
দাবিই তাদের অযৌক্তিক, সেই কারণে হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক বন্ধের যে দাবি
তারা তুলেছিল আর-দশটা অযৌক্তিক দাবির মতো, তা নিয়ে একদম বিস্মিত হইনি।
যা বিস্মিত করছে তা হলো তাদের এই অযৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে সরকারের হিউম্যান মিল্ক প্রজেক্ট বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়া।
কোটি টাকা ব্যয় করে
যার যন্ত্রপাতি পর্যন্ত কিনে নিয়ে আসা হয়েছে, মৌলবাদী মোল্লার এক
চিৎকারে তা বন্ধ করার ঘোষণা দেয়া – নিশ্চিত ভাবে ধর্মান্ধ ইসলামী মৌলবাদী
শক্তির কাছে রাষ্টের শোচনীয় আত্মসমর্পণ ছাড়া কিছু নয়।
মোল্লাদের যে
অদ্ভুত অযৌক্তিক দাবীর প্রতি সম্মান দেখাতে যেয়ে এই প্রজেক্ট বন্ধ করে
দেয়া হলো, সেই একই কারণে কিন্তু সকল ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়ার কথা,
প্রশ্ন হল তা কি সরকার দিতে পারবে?
এদের কথায় আপনি পাঠ্যপুস্তক সংশোধন করছেন, স্ট্যাচু সরিয়ে ফেলছেন, মিল্ক
প্রজেক্ট বন্ধ করে দিচ্ছেন, তার মানে কিন্তু এদের কথার বাইরে দেশে কোন
একটি কাজ ও আর করা সম্ভব হবে না।
এই যে একের পর এক অযৌক্তিক দাবী তারা
করছে এবং সরকারের দুর্বল অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে তা মানিয়ে নিতেও তারা
বাধ্য করছে, এবং সাথে সাথে দেশের সাধারণ মানুষকে তারা ধর্মান্ধ মৌলবাদী
দীক্ষায় দীক্ষিত করে চলেছে এবং তার সুযোগটাও তাদের করে দিচ্ছেন, এর শেষ
কোথায়- এর পরিণতি কি!
এদেশের সকল মৌলবাদী ইসলামিক দলগুলোর রাজনৈতিক এজেন্ডা কি, তা কি সরকার জানেনা!
তারা যে প্রকাশ্যে ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হয়ে আন্দোলন পরিচালনা করে আসছে যুগের পর যুগ ধরে, তা কি সরকার ওয়াকিবহাল নয়!
তাহলে তাদের এই ক্রমান্বয়ে শক্তি বৃদ্ধি এবং একের পর এক অযৌক্তিক দাবি মানিয়ে নিয়ে তারা যে তাদের প্রধান দাবির সামনেই চলে যাবে, সেটা বুঝতে কি খুব বেশি জ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন আছে?
তাহলে প্রশ্ন হলো সরকার কি সেটাই চাই?
যদি না চেয়ে থাকে তাহলে এই মৌলবাদী মোল্লাদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে এত তোষণ করা হচ্ছে কেন?
কেন তাদের এই সমস্ত অযৌতিক দাবিগুলো এক বাক্যে মেনে নেয়া হচ্ছে!
Leave a Reply