লিখেছেন : Abdullah Al Masud
কোরআনে কি দু’চারটে ভালো কথা নেই?
আমার অনেক বন্ধু প্রশ্ন করেন, কোরআনে কি দু’চারটে ভালো কথা নেই? আমি উত্তরে বলি, বাইবেল থেকে নেয়া কিছু ভালো কথা কোরআনে আছে। সমস্যাটা
হচ্ছে কপিরাইট আইনে। বাইবেলের ভালো কথাগুলো কোরআনের মধ্যে ঢুকিয়ে
মোহাম্মদ সেটাকে তাঁর কপিরাইট বলে চালিয়েছে। যখনই ইহুদিরা মুসলিমদেরকে
দেখাতো যে, দেখো তোমাদের নবী আমাদের বাইবেল থেকে সব কপি করেছে, তখন একদল
মুসলিম মনে মনে ইসলাম ত্যাগ করে কিন্তু মোহাম্মদের সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ
হারানোর ভয়ে প্রকাশ করত না। এই যারা মোহাম্মদের গোমর জেনে ইসলাম ত্যাগ
করেছিলেন মোহাম্মদ তাদের নাম দিয়েছিল ‘মুনাফিক।’
এই বিবেকবান মানুষ
যাদেরকে মোহাম্মদ মুনাফিক নাম দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক ভয়ঙ্কর
সব আয়াত নাযিল করতে থাকে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ। উদ্দেশ্য হচ্ছে,
মুনাফিকদেরকে ভয় দিয়ে ইসলামের মধ্যে রেখে দেয়া বা জোর করে ইসলামের
প্রাক্টিস করানো। হয়েছেও তাই – কোরআনের হুংকার শুনে ভয় পেয়ে প্রাণ
বাঁচানোর তাগিদে তারা ঠিকই নামাজ পড়ত, ইসলামের সকল অনুশাসনগুলো প্রকাশ্যে
পালন করত। যেহেতু প্রকাশ্যে ইসলামের অনুশাসন তারা পালন করত তাই তাদেরকে
ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও হত্যা করতে পারছিল না। আর তাছাড়া মুনাফিকরা প্রকাশ্যে
মুসলিম হওয়ার কারণে অনেক মুসলিমদের সাথে তাদের সখ্যতা ছিল। মোহাম্মদ যদি
মুনাফিকদেরকে হত্যা করত তবে মোহাম্মদের অনুসারী মুসলিমরাও ক্ষিপ্ত হওয়ার
আশঙ্কা ছিল।
মুনাফিকদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে, কারণ তারা ইহুদীদের কাছ থেকে গোপনে গোপনে জেনে নেয়, কোরআনের যে দু’চারটে কথা শুনতে ভালো লাগে সেসবই বাইবেল থেকে কপি করা। তারা এ-ও দেখতে পায় যে, বাইবেলের কপি করা অংশ বাদে বাকি যেসব আয়াত মোহাম্মদের নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থে বানানো হয়েছে সেসব একেবারেই কোয়ালিটি-হীন! এবং একেবারেই জঘন্য!!
এমন সময়ে নিজের গোমর ফাঁস ঠেকাতে এবং মুনাফিকদের ভয় দিতে মোহাম্মদ ইহুদিদের প্রতি বর্বর গণহত্যা চালায়। এই গণহত্যার কারণে বাড়তি লাভ হিসেবে ইহুদীদের বিপুল সম্পদ ও নারী মোহাম্মদের হস্তগত হয়। কিন্তু একের পর এক গণহত্যা ও জিহাদ করতে করতে রক্তের নেশায় পেয়ে বসা মোহাম্মদের সাহাবীরা থেমে যায়নি – তারা মোহাম্মদের মৃত্যুর পর জিহাদ অব্যাহত রাখে। এমনকি যখন জিহাদের মাধ্যমে কাছাকাছি অবস্থানরত সবগুলো দেশ তারা জয় করে ফেলেছিল তখন তারা নিজেদের মধ্যেই অন্তর্কলহের কারণে জিহাদে লিপ্ত হয়ে যায়। কারণ, রক্তের নেশা তাদের পেয়ে বসেছিল। তরবারি চালানো ছাড়া, রক্ত দেখা ছাড়া তাদের দিনকাল কোনভাবেই ভালো কাটে না। মানসিক স্বস্তিও তাঁরা ফিরে পায় না। সেই রক্তের নেশা সাড়ে চৌদ্দশ বছর ধরে অব্যাহত আছে। সেই রক্তের নেশার কারণেই এখনো তরবারি চালানো হয় নাস্তিকদের উপর, মুক্তমনা লেখকদের উপর ও প্রকাশকদের উপর। তরবারি এবং রক্তের নেশা একটুও কমেনি, যা ছিল চৌদ্দশো বছর আগে তাই আছে এখনো। এই রক্তলোলুপ, বদ্ধ উন্মাদ শ্রেণী আবার আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল তথা আন্তর্জাতিক রাজনীতিবিদদের কাছে বেশ লোভনীয় বস্তু। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিবিদরা মাদ্রাসার মধ্যে আটকে রেখে এই রক্তলোলুপ ও বদ্ধ উন্মাদ তৈরি করে, যাদেরকে উস্কানি দিয়ে প্রতিপক্ষকে খুব সহজেই দমন করতে যায়।
যখন দেখবেন কোন অমুসলিম রাজনীতিবিদ ইসলাম-তোষণ করছে তখন বুঝে নেবেন, সে ইসলামের পালস ধরে ফেলেছে। সে রক্তলোলুপ, বদ্ধ উন্মাদদের তার রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে।
Leave a Reply