প্রথমে কিছু কথা–ধার্মিকদের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ট হয়ে ধর্মের বিপক্ষে সারা বিশ্বে একটা সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। তার কিছুটা আঁচ বাংলাদেশে এসেও লেগেছে বেশ কয়েক বছর। ব্লগ-ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। কেউ হয়তো ধর্মের সমালোচনা সইতে না পেরে গালাগালি করছেন। আবার অনেকে বলছেন–যুক্তি-সঙ্গত ভাবে রেফারেন্সসহকারে সমালোচনা করতে; অযথা গালাগালি না করতে।
এবার একটি স্ট্যাটাস কোট করে দিচ্ছি–
//আল্লাহ বলতে কি কিছু আছে? আমি মনে করি আল্লাহ বলতে আসলে কিছুই নাই,এটা মানুষের এক প্রকারের কাল্পনিক বিশ্বাস। অনেকেই মনে করে মরার পর মানুষ পুনরায় জীবিত হবে আর আল্লাহর কাছে সকল কিছু জবাব দিতে হবে, কিন্তু এটা ভুল মৃত্যুর পরে মানুষের অস্তিত্ব থাকতে পারে না, এটা যারা বিশ্বাস করে তারা পাগল, বিবেক বুদ্ধিহীন ছাড়া কিছুই নয়।
ধর্ম বলতের কিছুই নাই, সকল মানুষ সমান। দুনিয়াতে মানুষ কার নির্দেশে আসে না এটা হল একটা চক্র। মানুষ এমনেই আসে এমনেই চলে যায়।
আমি কোরআন, গীতা, বাইবেল কিছুই বিশ্বাস করিনা। এটা মানুষের প্রয়োজনে মন গড়া লেখা। আবার যখন প্রয়োজন হবে না তখন পায়ের নিচে ফেলাতে দ্বিধা করবে না। কিসের আল্লাহ কিসের নবী? এই ভুয়ামি বাদ দিয়া আমরা সামনের দিকে আগাই।//
উপরের এই স্ট্যাটাসটি লিখেছেন বরিশাল সরকারী বিএম কলেজের সমাজবিজ্ঞানের ২য় বর্ষের ছাত্র জহিরুল ইসলাম জসিম। ফলাফলে তার কলেজ সহপাঠীদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লেগেছে, সবাই তার শাস্তি দাবী করছে, এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে কলেজ হোস্টেল থেকে বহিস্কার করেছে। জসিম এখন ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এখন কথা হলো, এই সামান্য কথাতেই যদি মানুষের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে, তাহলে কেমনে কী! জসিম কি কোনো গালাগালি করেছেন? কোনো বাজে মন্তব্য করেছেন? এই সামান্য সমালোচনা (আসলে এটাকে ঠিক সমালোচনাও বলা যায় না, জাস্ট কিছু ব্যক্তিগত উপলব্ধি থেকে কিছু মতামত ধর্ম সম্পর্কে) যদি সইতে না পারেন, তাহলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বলে আর কী রইল? জসিম যখন দেখবেন যে এই কথাতেই তার এই হাল, তখন হয়তো আসল নিকে মাফ চাইবে, কিন্তু এরপর থেকে ফেক নিকে বাজে ভাবে ধর্মকে ন্যাংটা করা শুরু করবে। সেটা কি ভালো হবে?
Leave a Reply