লিখবো?… কী লিখবো… কেন লিখবো… লিখে কী হয়েছে… লিখে কী হবে!…
২) লেখার জবাব লেখা দিয়া দেন–কথাটা সবার আগে বলছিলাম মশুয়ার ষাঁড়কে। পুরানো কথা–যদিও অনেকে ‘ব্যাপারটা বন্ধুদের মধ্যে ইন্টারন্যাল সমস্যা’ হিসাবে অনেকে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন–ঘটনাটা হলো–আসিফ মহিউদ্দীন স্যার (বানান ঠিক আছে?) লীগের সমালোচনা করে পোস্ট দেয়া শুরু করছিলেন। ব্যাপারটা তার লীগপন্থী বন্ধুরা ভালোভাবে নেন নি। এই নিয়ে কিছুটা হাউকাউ হয়েছিল। এর মধ্যে মশুয়ার ষাঁড় ইনবক্স করলেন যে, আসিফরে ধোলানো হবে।
অবাক হইলাম–কী কন এগুলা!
তিনি কইলেন–হ, বাড়াবাড়ি শুরু করছে…
কইলাম–লেখার জবাব লেখা দিয়া দেন… হুদাই গায়ে হাত তুলবেন না… ব্যাপারটা তো নাস্তিকদের মধ্যে উদাহরণ হিসাবে ভালো হবে না…
তিনি কইলেন–দেখেন কী হয়… দুই-তিন দিনের মধ্যেই জানতে পারবেন…
যতদূর মনে পড়ে আসিফ মহিউদ্দীন স্যারকে ব্যাপারটা উল্লেখ করে বলছিলাম যেন সাবধানে থাকে, বা ওখানে না যায়, বা ওদেরকে এড়িয়ে চলে…তিনি কইছিলেন–ওখানে যাবেন, কেউ কিছু করতে পারবে না…
দুই-তিন দিন পরে মশুয়ার ষাঁড় নক দিয়া হেহে কইরা দাঁত ক্যালাইতেছিলেন। তারপর আজিজ সুপার মার্কেটে আসিফ স্যার যেতেই কীভাবে তার কলার চেপে ধরে চড় মারা হয়েছিল, কীভাবে ভয় ভয়ে অনন্য আজাদ স্যার আসিফ স্যারকে রেখেই দৌড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন–সেগুলার বর্ণনা দিয়েছিলেন।
আমার মনে হয় এগুলা নাস্তিকদের ইতিহাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নতুনরাও যারে এগুলা জানে, তার ব্যবস্থা করা উচিত। মাঝে মাঝে এগুলা মনে করিয়ে দেয়া উচিত। তো অনন্য স্যার আমার লিস্টে আছেন, কিন্তু আসিফ স্যার নেই–তবুও যদি চোখে পড়ে এই লেখা–আমার অনুরোধ–আমার তো শোনা কথা, তাই আসলে কী হয়েছিল, সেগুলা যদি তারা নিজেরাই দয়া করে লেখেন তাহলে জাতি আসল সত্যটা জানতে পারবে… আর জানেনই তো–জেনে রাখা ভালো…
২) শাহবাগ আন্দোলন শুরুর পরে হেফাজতিদের দেখাইতে ৩ জন নাস্তিককে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে। প্রথমে মশুয়ার ষাঁড়কে, তারপর রাসেল স্যারকে, তারপর সুব্রত শুভ স্যারকে। রাসেল আর শুভ স্যার জেল থেকে বের হয়ে কে কীভাবে গ্রেফতার হয়েছিলেন তা নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন। যদিও এখন সেসব লেখাগুলোর লিঙ্ক খুঁজে পাচ্ছি না। আর মশুয়ার ষাঁড় সেসব লেখালেখি দেখে মাঝেমধ্যে ষাঁড়ের মতো নিশ্বাস ছেড়ে হাম্মা হাম্মা করতেন যে তাকে নিয়ে অনেক ভুলভাল লেখালেখি হচ্ছে, সময় হলে তিনি নিজেও ‘আসল কাহিনী’ লিখবেন… পরে লিখেছিলেন কি না, আমার চোখে পড়ে নাই…
আমার জানা মতে ঘটনাটা হলো–মশুয়ার ষাঁড় ডিবি পুলিশের সোর্স বা দালাল আছিলেন। হেফাজতিদের ঠান্ডা করতে যে নাস্তিকদের কিছুদিন আগেও সরকার পুলিশি নিরাপত্তা দিছিল, সেই নাস্তিকদেরকেই আবার গ্রেফতার করা বাধ্যতামূলক হলে ডিবি পুলিশ প্রথমে মশুয়ার ষাঁড়কে ডাইকা নিয়া কারে কারে গ্রেফতার করা হবে, তাদের বিষয়ে ইনফো চায়। কিন্তু মশুয়ার ষাঁড় তাদের ব্যাপার সব ইনফো না জানায় ডিবি পুলিশ নাকি তেনাকেই গ্রেফতার করা হবে–এমন ইঙ্গিত দিলে তিনি ভয়তে মুইতা দিয়া রাসেল স্যারকে কল দেন তেনাকে ওই বিপদ থিকা উদ্ধার করার জন্য। রাসেল স্যার ডিবি অফিসে গেলে তেনাকেও আটক করা হয়ে… তারপর এনাদের কথার ভিত্তিতে শুভ স্যারকেও হল থেকে তুলে নিয়ে যায়। এবং পরে এদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।
সাংবাদিকরা সেই ছবি প্রকাশ করলে সেই ছবিটা সবাক-দিনমজুর স্যার এবং ফড়িং ম্যাডামদের কাছে হয়ে ওঠে নাস্তিকতার প্রতীক… কেউ কেউ এই ছবি দেখেই নাস্তিক হয়ে যায়। এই ছবিটা নিয়া কেউ ট্রল করলে তেনাদের দিলে তীব্র রক্তক্ষরণ হয়…
তো এই বিষয়ে আমার জানায় কোনো ভুল থাকলে রাসেল এবং শুভ স্যারদের কাছে বিনীত অনুরোধ আপনারা দয়া করে সেই সময়কার লেখাগুলো আবার পাবলিক করেন, না হয় নতুন করে সেই ইতিহাস আবার তুলে ধরেন, তাহলে জাতি আসল সত্যটা জানতে পারবে… আর জানেনই তো–জেনে রাখা ভালো…
৩) কিছুদিন আগে মুন্সি স্যারের স্নাপশট নিয়ে পোস্ট দিয়ে ৭ দিনের ব্যান খাইলাম। সবার আগে মূল যে আইডিটা–সেই আইডিতে মশুয়ার ষাঁড়কে নিয়ে একটা কোলাজ পোস্ট দেয়াতে আইডিটা এমনভাবে আটকে রাখছে যে পরে একের পর এক ডকুমেন্ট সাবমিট করার পরেও ফেসবুক থেকে আর রিপ্লাই দিচ্ছে না। তারপর আরেকটা আইডি খুলেছিলাম–সেটা নিয়ে বিজলানিপু এবং তেনার বিরানি খাওয়া ভাইব্রাদার গ্রুপ নিয়ে একটা নোট পোস্ট দেয়ার পরে সেই আইডিটাও গায়েব হয়ে যায়।
এই সময় অবশ্য ব্যাঙগানিক গ্রুপ নিয়েও কিছু সমস্যা হয়। কফি স্যাররে চিনতাম সামু ব্লগের সময়ে। তখন তিনি সামু ব্লগে একজন সুশীল মডারেট মোগলেম। নাস্তিকদের পোস্টে উনার কী কী ধরনের চুলকানি খাউজানি হয়, সেগুলা জানান দিতেন। তো হুট কইরা আইসা কইলেন যে তিনি গ্রুপে কাজ করতে চান। ওদিকে আসিফ স্যার করিলেন–পোলাডা মনে হয় অনেক উদ্যমী…এরে অনেক কাজে লাগানো যাইতে পারে বা কাজ করিয়ে নেয়া যাইতে পারে… তারপর আর আগেপিছে কিছু না ভাইবা দিলাম উনারে ব্যাঙগানিকে এডমিন বানাইয়া। আমি আইডি নিয়া ঝামেলায় পড়ায় একটু আড়ালে থাইকা গেলাম। এর মধ্যে আরেক মডু নিয়া আমার কাছে অভিযোগ জানাইলেন যে ওই মডুর সাথে গ্রুপ চালানো নিয়া মতপার্থক্য হইতেছে, তাই সেই অন্য মডুরে যেন গ্রুপ থিকা সরাইয়া দেই। তারপর উনি উনাদের মধ্যকার চ্যাটের কিছু স্নাপশট দিলেন যা দেইখা আমার হাসি পাইলো–কইলাম–আপনারা একে অন্যরে বাস্তবে চেনেন জানেন। আপনাদের ব্যক্তিগত ক্যাচাল গ্রুপে না আইনা গ্রুপের বাইরে মিটায়া ফেলেন, আর গ্রুপে কিছু রুলস আছে, গ্রুপে সেইভাবে চালান।
কিন্তু না, কফি স্যার গো ধরলেন, অন্যজন এডমিনে থাকলে তিনি থাকবেন না। আমি তখন অন্য জনরে কইলাম কী কাহিনী। অন্যজন কইলেন যে কফি স্যার তারে সুদতে চাইতেছেন, কিন্তু তিনি রাজি হইতেছেন না, তাই আজাইরা ক্যাচাল করতেছে।
এর মধ্যে কফি স্যার গ্রুপের আরো কিছু মেধাবী বুদ্ধিমান এডমিন মডুদের নিয়া আরেকটা গ্রুপ বানাইয়া ফেলছিলেন। তিনি গ্রুপে আমারে ব্যক্তিগত ভাবে নাম নিতে শুরু করলে উনারে এডমিন থিকা মডু বানাইয়া দেয়া হয়। উনি উনার গ্রুপের মেধাবীদের বুঝাইলেন যে উনাকে নাকি গ্রুপ থেকে বের করে দেয়া হইছে। এর মধ্যে আসিফ স্যারকে ব্যাপারটা বললাম। তিনি আবার কফি স্যারের কথা কথা বইলা আমারে কইলেন যে কফি স্যারের গ্রুপ প্রস্তাব দিছে যে এডমিনদের মইধ্যে দুইটা গ্রুপ হবে। দুইটা গ্রুপ ৩ মাস ৩ মাস কইরা গ্রুপ নিজেদের ইচ্ছা মতো চালাইবে, তখন অন্য গ্রুপ তাদের চালানো নিয়া কিছু কইতে পারবে না। আমি সবিনয়ে এই প্রস্তাব প্রত্যাখান কইরা দিলাম যে, এই সামান্য একটা গ্রুপ নিয়া এতো ঝামেলা আর দলাদলির দরকার নাই… গ্রুপ হিট খাওয়ানোরও কিছু নাই… যেমনে চলতেছে চলুক, না চললেও সমস্যা নাই…
তারপর শুনছিলাম কফি স্যার নাকি তার মেধাবী এডমিন মডুদের নিয়া গ্রুপ ছাইড়া গেছিলেন… সাথে আরো অনেক মেধাবী মেম্বারদের নিয়া নতুন গ্রুপ খুলছিলেন। তারপর আর খবর রাখি নাই। কিন্তু ঐ আইডিটাও ফেসবুক ঝুলাইয়া রাখছে, মাঝেমাঝেই ডকুমেন্ট সাবমিট করি, কিন্তু রিপ্লাই দেয় না।
শহীদুজ্জামান সরকার
যে অভিযোগটা করেছিলেন অনন্য স্যার সেটার জবাব দেবেন বলেছিলেন,
কিন্তু সাতদিন পার হয়ে গেছে এখনও তিনি সেই বিষয়টা বলেন নি।
উল্টো মুক্তমনাদের আবেগ এর জায়গাটা নিয়া টানাটানি কইরা তিনি কইতে চান তিনি আসলে তিনি করেছেন কি?
আসলে সব কিছুই কেমন জানি হা হা হইয়া গেছে।
শহীদুজ্জামান সরকার
হ