সবে মানুষ হওয়ার পথে হাঁটতেছি। তার আগে এই সেদিনও মুসলমান ছিলাম। তার আগে হয়তো হিন্দু বা অন্য কোন ধর্মের। তার আগে বৌদ্ধ। আবার তার আগে সনাতন ধর্মাবলম্বী। তার আগে? হয়তো একমাত্র তখনই মানুষ ছিলাম। কারণ তখন ধর্ম বা ঋগবেদেও আমাদের খুঁজে পায় নাই। তারপর আর্যদের চোখে অসুর বা নিম্নকোটি লোকস্তরের কেউ হলাম–মহাকাব্যের যুগে।
হ্যাঁ, বাঙালী বা বাংলাদেশের কথা বলছি। ঋগবেদে বাংলাদেশের উল্লেখ নাই। তারা মানে আর্যদের কাছে এই বাংলাদেশ তখনও অজানা ছিল। এই অঞ্চলের উল্লেখ সর্বপ্রথম পাওয়া যায় মহাকাব্যের যুগে–মহাভারতের বাংলার কথা আসছে সবার আগে। বাকিটা ইতিহাস…
মূল কথায় আসি–মুসলমান থাকাকালীন সময়ে বুঝানো হয়েছিল আমরা নবী ইব্রাহিমের বংশধর। ইহুদি এবং খ্রিষ্টানরাও তাই মনে করে। বলার অপেক্ষায় রাখে না এইখানে জাতি আর ধর্মের সংজ্ঞা গুলিয়ে খাওয়ানো হইছে। ইহুদি আর (আরবের) মুসলমানরা ‘আরব’ হলেও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী ইউরোপিয়ানরা ‘হোয়াইট’। এদের কাছে বাকিরা ‘ব্লাক’…যদিও আদর করে আমাদেরকে মানে এই উপমহাদেশীয়দেরকে ‘ব্রাউন’ আর চাঙ্কুদের ‘ইয়েলো’ বলে বা আমরা নিজেরাই আমাদেরকে গায়ের বর্ণ ‘ব্রাউন’ হিসাবে চালাই।
নৃতাত্ত্বিকভাবে প্রাণীকুলের সবার সাথে সবার সম্পর্ক থাকলেও কত মিলিয়ন বছর আগে যে আমরা একে অন্যের থেকে পৃথক হয়ে নিজ নিজ জাতিসত্ত্বার জন্ম দিয়েছি, সেই হিসাব করতে গেলে আরো পড়াশুনার দরকার।
নিজের কথায় আসি–নিজে স্পষ্ট বুঝি যে কালের প্রবাহে কখনো আমি আর্যদের দেখানো পথ হিন্দু/সনাতন ধর্ম গ্রহণ করলেও আমি মূলত আর্য নই, উচ্চবর্ণের হিন্দুদের দেখানো পথ বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করলেও আমি উচ্চবর্ণের হিন্দু নই, আরবের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেও আমি আরব নই। আমি শুধু সাধারণ একজন মানুষ। তবুও মাঝে মাঝে পিছন ফিরে তাকাই…কোথা থেকে এসেছি–
এই পিছন ফিরে তাকানোয় দৃষ্টি কতদূর পিছনে যাবে সেটা নির্ভর করে একেক জনের জানাশোনা-পড়াশুনার উপর কিংবা নিজের মনের মধ্যে ডুব দিয়ে দেখে আসা এবং সেটা অন্তত নিজের কাছে স্বীকার করে নেয়া…
আমার পড়াশুনা কম, তাই মাঝে মাঝেই ডুব দেই মনের গহীনে। মাঝে মাঝে আলোর ঝলকানির মত দুই একটা পথের দরজা খুলে যায়। এই যেমন সেদিন বুদ্ধদেব দাসগুপ্তর মুভিগুলো দেখতে দেখতে…বিশেষ করে “উত্তরা” মুভিটা দেখতে দেখতে মনে হয়েছিল অনেক দূর পর্যন্ত পেয়ে গেছি। আদিবাসীদের ওই গানগুলা, সুর…এবং বিশেষ করে নাচগুলা।
গান জীবনে কম শোনা হয় নাই। গানের মিউজিকের তালে নাচও দেখেছি অনেক। মাঝে মাঝে চেষ্টাও করেছি তাল মিলাতে। দুই চারটে মুদ্রা হয়তো শিখতেও পেরেছি। প্রাতিষ্ঠানিক চর্চার মাধ্যমেও বিভিন্ন প্রকার নাচ শেখা যায়, অনেকেই শেখেন। কিন্তু রক্তের সাথে মিশে আছে যে সুর যে তাল যে নাচের মুদ্রা, সেগুলা কি আর শেখা লাগে! নাহ, ওই বাজনা কানে গেলেই শরীর এমনিতেই সেই নাচের তালে দুলে ওঠে।
আমাদের দেশে ধর্মের বাধা-নিষেধের কারণে মুসলমানদের মধ্যে নাচ গানের পরিবেশ কম হলেও হিন্দু বা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে এসবে কোনো বাধা-নিষেধ নাই। হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পূজা-পার্বণে ঢাক ঢোলের তালে তালে বড়দের পাশাপাশি ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরাও কী সুন্দর করে আলতি নাচ/আরতি নৃত্য/ ধুনুচি নাচ নাচে। (এই নাচ এখনকার দিনে প্রত্যন্ত গ্রামের টিকে টিকে থাকলেও শহুরে বা মফস্বল এলাকায় খুব একটা হয় না। ঢাল-ঢোল প্রায় উঠে যাচ্ছে। এই জায়গায় এখন বক্সের হিন্দি গান জুড়ে বসেছে। তবে গুগল করলে ওরকম নাচের অনেক ভিডিও পাওয়া যায়।) এই নাচ এরা কোনো নাচের স্কুল থেকে শেখে নাই। তাহলে শিখলো কিভাবে!
এটা দেখেন বন্যার সাথে ওস্তাদ আকরাম খাঁ আর ফাতেমা-তু্জ-জোহরা নাচছেন (পুরো গানের ভিডিওটা পাইনি, কারো কাছে থাকলে লিঙ্ক দিয়েন)-
https://www.youtube.com/watch?v=rB9Ou6-5JyY
(বন্যার জানা থাকলেও ওস্তাদ আকরাম খাঁ আর ফাতেমা-তুজ-জোহরার নিশ্চয় “ধর্মীয় কারণে” জানার কথা ছিল না। তবুও মঞ্চে উঠেই বন্যার তালে তাল মিলাতে কোনো সমস্যা হয় নাই।)
ছোটবেলায় যখন লুকিয়ে ওদের পূজা দেখতে যেতাম, বিশেষ করে গ্রামের দিকের দূর্গা বা কালিপূজাগুলাতে ঢাকের বাজনায় ওদের নাচের তালে তালে নিজের শরীরটাও মনের অজান্তে দুলে উঠত, সেটা ওই “উত্তরা” মুভি দেখতে গিয়ে আবার নতুন করে মনে পড়ল। আগেই স্বীকার করেছি এই কয়েক প্রজন্ম আগেই হিন্দু ছিলাম, ওরকম নাচ আমিও হয়তো তখন নেচেছি…ধর্ম ভেদ করে ওই রক্তই যে নেচে ওঠে…আশে-পাশের সব মানুষগুলো এভাবেই আপন হয়ে ওঠে, প্রতিটা মানুষকেই তখন নিজের একটা অংশ বলেই মনে হয়।
আবার আগের অংশে ফিরে যাচ্ছি–(টেকনিক্যাল কথাগুলোতে ভুল-ভ্রান্তি থাকলে কেউ শুদ্ধ করে দেবেন) খুব সম্ভবত আমরা অস্ট্রিক ভাষাভাষা আদি অস্ট্রেলিয় জনগোষ্ঠীর অংশ, আমাদের অংশ যাদেরকে আদিবাসী কোম বলা হয়, যাদেরকে বল্লাল সেনের আমলে উচ্চ বর্ণের ব্রাহ্মণেরা বর্ণবিভাগ করার সময় শূদ্র পর্যায়ে পরিগণিত করে। আর্যরা এদেরর লোকায়েত ধর্মগুলোকে পুরো মুছে ফেলতে না পেরে পরে আর্যকরণ করে নিতে বাধ্য হয়। যেমন রথযাত্রা, স্নানযাত্রা, দোলযাত্রাসহ আরো অনেক পূজা-পার্বণ ধর্মোৎসবগুলো ছিল আদিবাসী কৌম সমাজের নিজস্ব সংস্কৃতি যা আর্য ব্রাহ্মণ ও বৌদ্ধ উচ্চকোটির লোকেরা পছন্দ করত না। শোনা যায় সম্রাট অশোকও নাকি এসব নিষিদ্ধ করতে আইন জারি করছিলেন, কিন্তু দেখা যাচ্ছে এগুলা নিশ্চিহ্ন হয় নাই, বরং পরে এদেশের হিন্দুদের মধ্যে এগুলো বেশ ভালো ভাবেই টিকে আছে।
একটা ব্যাপার এখানে লক্ষ্যনীয়–সম্রাট অশোকের সময়কাল তখন (খ্রিষ্টপূর্ব ৩শ বছর আগে)–বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব এবং বিস্তার হচ্ছে, এবং সেই সাথে আর্য ব্রাহ্মণদেরও উপস্থিতি। এই সময়কাল ধরে সামনে এগিয়ে আমরা যদি চর্যাপদের সময় পর্যন্ত আসি, তাহলে দেখা যায় ততদিনে আদিবাসীরা তাদের লোকায়েত ধর্মের পাশাপাশি বৌদ্ধ দর্শনও গ্রহণ করেছে। (চর্যাপদ খ্রিস্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত বাংলা ভাষার প্রাচীনতম সাহিত্য নিদর্শন। সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণের আধ্যাত্মিক রচনা হলেও এতে তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থার কিছু চিত্রও পরিষ্কার। চর্যাপদের অনেক পদে ডোমদের কথা আসছে। উইকি মতে, “ডোম একপ্রকার হিন্দু তফসিলি জাতিবিশেষ। পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের বাঁকুড়া, বীরভূম ইত্যাদি জেলায় প্রচুর সংখ্যায় বাগদিরা বাস করেন।…ডোমদের উপবর্ণগুলির মধ্যে পেশার ভিত্তিতে নামকরণের প্রবণতা রয়েছে।…ডোমরা ঐতিহ্যগতভাবে ঝুড়ি-নির্মাতা, কৃষক, শ্রমিক ও ঢাকী।” এরাই বাংলার আদিবাসী।) চর্যাপদে দেখা যায় এই ডোমেরা নানাপ্রকার বাদ্যযন্ত্র বানাতে পারতেন। নাচ গানেও এরা পারদর্শী ছিলেন। নাচ গানের ভিতর দিয়ে বুদ্ধদেবের জীবন কাহিনী রূপদান করতেন বলে উল্লেখ আছে।
এই সময়কালের মধ্য দিয়ে নিশ্চয়ই আরো নানা ধর্মের-বর্ণের-জাতের সাথে তাদের সংমিশ্রন হয়েছে। আর সেভাবেই বাঙালীরা হয়ে উঠেছে পৃথিবীর অন্যতম প্রধান সংকর জাত। আর দ্বাদশ শতকে বল্লাল সেন উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে এই নিম্নবর্ণের মানুষগুলোকে তাদের কর্ম অনুসারে বিভিন্ন বর্ণে বিভক্ত করে দিয়ে বাঙালীদের মধ্যে জাত-পাতের মত একটা ঘৃণ্য প্রথা ঢুকিয়ে দেন।
এই সেন বংশের আগে বাংলায় ছিল পাল অর্থাৎ বৌদ্ধ শাসন। তার মানে সম্রাট অশোকের সময় থেকে সেনদের আসার আগ পর্যন্ত বৌদ্ধদের প্রভাবই ছিল বেশি এবং তারপর এই দেশে হিন্দু জাগরণের সূত্রপাত। এসময় থেকেই বাংলার বৌদ্ধরা ব্রাহ্মণ্য হিন্দুসমাজের পীড়নে কেউ কেউ হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেন, কেউ কেউ নেপাল, ভুটান ও তিব্বতের পথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পলায়ন করেন। চর্যাপদ হয়তো এইভাবেই তাদের সাথে বাংলা থেকে নেপালে চলে যায়। তারপর সেনদের পতন হলে মুসলমান শাসন শুরু হয়–সেটা ভিন্ন কাহিনী।
———–
তো দেখা গেল এই নাচ গান করে বেড়ানো আদিবাসীরা পশ্চিমাঞ্চলের বাঁকুড়া, বীরভূম এলাকায় বেশি। বাংলার আরো অনেক এলাকায়ও কম বেশি আছেন।
এইবার আবার সেই “উত্তরা” মুভিটার দিকে নজর দেই। অভিজিত বসুর গাওয়া এই ঢাক ঢোল কাঁসর করতাল বাঁশী বাজিয়ে গান করে বেড়ানো আদিবাসীদের এই গানটার কথা, সুর, মিউজিক, আর বিশেষ করে নাচের দিকে খেয়াল করেন–
https://www.youtube.com/watch?v=-r92OMMcijk
আরো একটি-
https://www.youtube.com/watch?v=HAnltM9iqWw
আরো একটি-
https://www.youtube.com/watch?v=veT3l34Hx6g
উপরে বন্যার নাচের সাথে মিল পান? কিংবা নিজেও কি মনে মনে তাল মিলাতে পারছেন না?
এই নাচের পাশাপাশি আমার আরেকটা দুর্বলতা হলো বাংলার বৈষ্ণব সাহিত্য যেটা সেন বংশের সময় শুরু হলেও চরম উৎকর্ষ সাধন লাভ করে মুসলিম শাসকদের আমলে। তেমনি একটা বৈষ্ণব পদাবলী–কানু কহে রাই…(শুধু নাচের অংশটুকু এখানে দিলাম, আর পুরা গানটা এখানে পাবেন)–
https://www.youtube.com/watch?v=qkuXGdHDmdA
লোকগীতির পরে বাংলা সাহিত্যের একটা বড় অংশ জুড়ে আছে এই বৈষ্ণব পদাবলী। কিন্তু এই পদাবলী বাজনা বা এই টাইপের কোনো কিছু শুনলে এই রকম নাচও মনের অজান্তে নেচে উঠি। পথিক নবীর এই গানটার সাথেও এইভাবে নাচতাম–
https://www.youtube.com/watch?v=Frav0VcY5Mc
এর পর আসে বাংলার বাউল গান। বাউলরা যখন নেচে নেচে গান করেন তখন উপরের নাচগুলোরই সংমিশ্রন খুঁজে পাই।
———–
এইবার আবার একটু ইতিহাসের কাহিনী। আগেই বলেছি যে উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণ আর পরের দিকে মুসলমানদের হাত থেকে বাঁচার জন্যে অনেক বৌদ্ধ উত্তর-পূর্ব পথে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। কিন্তু সবাই তো যেতে পারেন নাই। অনেকে বাংলার উত্তর-পূর্ব দিকেই থেকে গেছেন। হয়তো এই জন্যে অসমীয়া নাচ এবং গানগুলোকেও ভালো লাগে। এই খানে আরেকটা প্রসঙ্গ বলি–হিন্দুদের মাঝে এখন খুব একটা দেখা না গেলেও একসময় ধ্বজা পূজা মানে গরুড়ধ্বজা, মীনধ্বজা, কপিধ্বজা প্রভৃতি পূজা এবং উৎসব প্রচলিত ছিল। এগুলা ছিল প্রাচীন সেই কোম সমাজের একেক গোষ্ঠীর এক এক পশু বা পক্ষীর ধ্বজা। আর্য ব্রাহ্মণদের পৌরানিক দেবদেবীদের মধ্যে এসব পশু-পক্ষী ছিল না। কিন্তু আর্য আর অনার্যের মিলনে যখন একটা নতুন সমাজ গড়ে উঠতেছিল তখন বাধ্য হয়েই একে অন্যের সংস্কৃতি কমবেশী গ্রহন করেছিলেন। সেভাবেই আর্যদের দেবদেবীদের বাহন হিসাবে অনার্যদের পূজনীয় এইসব পশু-পক্ষীও এক হয়ে গিয়ে পূজা পেতে লাগল, যা এখনো হিন্দু সমাজে বিদ্যমান। যখন অসমীয়াদের নাচ ভালো করে খেয়াল করি তখন তাদের নাচের মুদ্রার সাথে কেমন যেন পশু-পক্ষী অঙ্গভঙ্গীর অনেক মিল পাই। যদিও এটা আসলেই সত্য কিনা বা অন্যদের চোখে এটা পড়ে কিনা, আমার ঠিক জানা নেই। যা হোক অসমীয়া গানের প্রসঙ্গ আসলেই জুবিন গার্গের নাম আসবে, যাকে আমি প্রথম ভালো করে চিনেছিলাম মীরাক্কেলে তার অতিথি হয়ে আসার এই পর্বটায়। এর হিন্দি গান আগে শুনলেও এই অসমীয়া গানটা শুনে অসমীয়া গানের প্রতি বাড়তি একটা টান অনুভব করছিলাম–
এরপর অনেকদিন টানা অসমীয়া গান শুনেছি। ইউটিউবে শুনতে গিয়ে নাচও দেখছি। যেমন এই একটা–
গানের চেয়ে এখানে নাচটাই আমার কাছে বেশী উপভোগ্য। আর খেয়াল করে দেখলে ঘুরে ফিরে সেই আদিবাসীদের নাচের সাথেই মিল পেয়ে যাই। ইউটিউবে আরো খুঁজে দেখলেও দেখবেন প্রায় সবগুলোই একই রকম ঢঙের।
তারপর অবাক হয়ে ভেবেছি, পশ্চিমের বাঁকুরাঞ্চল, পূর্বের আসাম–যেদিক থেকেই যেদিকে যাই সংস্কৃতির একটা মিল যা মনে করিয়ে দেয় সবাই সবার আত্মীয়। আবার যেখানে অমিল বলে মনে হয়, সেটাও ঠিক মোটা দাগে কাঁটাতারের সীমানা দিয়ে বিভক্ত করা যায় না। এভাবে একে একে সমস্ত মানবগোষ্ঠী হয়ে পশু-পক্ষী থেকে শুরু করে সমস্ত প্রাণীদের দিকে আগালেও কিছু না কিছু মিল বিদ্যমান। শুধু ধাক্কাটা লাগে যখন ইসলামের মুখোমুখি হই, যেন হাঁটতে হাঁটতে একটা পাথরের প্রাচীরে এসে ধাক্কাটা খেলাম! যেখানেই ইসলাম, সেখানেই আরব, শুধু ইসলামী আরব। মুসলমানদের সাথে আর কারো যেন কোন মিলই নেই বা সে সম্ভবনাও নেই–আরব নামক একটা ভিন্ন গ্রহের অধিবাসীদের সাথে এই পৃথিবীর আর সবার সব ধরনের আদান-প্রদান নিষিদ্ধ!
যা হোক, সর্বশেষ প্রশ্ন উঠতে পারে–এসব তো আমরা আগে থেকেই জানি…এও জানি যে আমরা আদিবাসী কৌম সমাজ থেকেই এসেছি, তারপরও এত বড় পোস্ট দেয়ার কারণ কী?
–জানা, আর নিজের মনের ভিতরে ডুব দিয়ে সেটা উপলব্ধি করার মধ্যে অনেক পার্থক্য। এই পোস্ট জাস্ট সেই উপলব্ধি…
=========
দ্বিতীয় সন্ধান : অন্তরাত্মার সন্ধানে (দ্বিতীয় সন্ধান)
খুব ভালো লাগল দাদা, কারণ আমি নিজেই এত কিছু জানতাম না। 🙂
গানগুলো মন জুড়ায়ে দিল 🙂 অত্যন্ত ধন্যব্দ
* ধন্যবাদ
Awesome 🙂
ভাল লাগল।
অসাধারণ।দুর্দান্ত।বাঙালির ইতিহাস নিয়ে এরকম আরো কিছু পোষ্ট আশা করছি।
অনেক কিছুই জানতে পারলাম
শেঁকড়ের খোজে যাত্রা ভালো লাগল …
একই অনুভুতি আমার ও হইছিল, আপ্নে আমার অনুভুতি চুরি করসেন
jst fall in love with u নতুন কইরা
ঠিক পরবর্তী পর্ব বলা যাবে না, তবুও প্রায় আড়াই বছর পরে আবার আরেকভাবে ‘সন্ধানের’ চেষ্টা– https://goo.gl/SBtrfr