• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

হাদীসের প্রথম পাঠ – ১১

You are here: Home / ধর্মকারী / হাদীসের প্রথম পাঠ – ১১
July 6, 2017
লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ


পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭  > পর্ব ৮

> পর্ব ৯ > পর্ব১০

 

চিকিৎসা-বিজ্ঞান-মহাজ্ঞান


        পৃথিবীর একমাত্র
মহাবিজ্ঞানী
ছিলেন
ইসলামের নবী মুহাম্মদ, তিনি নিজে সূর্যকে আরশের নিকট সেজদা করতে দেখছেন! তারপরও বদমাইশ
নাস্তিকগুলা প্রমান চায়, সকলের কল্লা ফালাইয়া দেওয়া উচিত! মুহাম্মদ ছিলেন মাছি-কালোজিরা
বিজ্ঞানী, কাফেরগুলা সব ঔষধ আবিস্কার করতাছে কালোজিরা খাইয়া খাইয়া তাও নাস্তিকগুলোর
হুশ হয়না!

বুখারী-৪-৫৪-৪২১:    মুহাম্মদ
সূর্য অস্ত যাওয়ার সময়
আবু যার-কে বললেন, তুমি কি জানো, সূর্য কোথায় যায়? আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলই
ভাল জানেন। তিনি বললেন: তা যেতে যেতে আরশের নীচে গিয়ে সিজদায় পড়ে যায়। এরপর সে পুনঃ
উদিত হওয়ার অনুমতি চায় এবং তাকে অনুমতি দেওয়া হয়। আর অচিরেই এমন সময় আসবে যে, সিজদা
করবে তা কবুল করা হবে না এবং সে অনুমতি চাইবে কিন্তু অনুমতি দেওয়া হবে না। তাকে বলা
হবে যে পথে এসেছ, সে পথে ফিরে যাও। তখন সে পশ্চিম দিক হতে উদিত হবে–এটাই মর্ম হল আল্লাহ
তাআলার বাণীঃ এবং সূর্য ভ্রমণ করে ওর নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞের
নিয়ন্ত্রণ। (৩৬:৩৮)

বুখারী-৯-৯৩-৪৭৬:    মুহাম্মদ বলেছেন: গায়েবের কুঞ্জি পাঁচটি, যা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য
কেউই জানে না। (১) মাতৃজঠরে কি গুপ্ত রয়েছে তা জানেন একমাত্র আল্লাহ্। (২) আগামীকাল
কি সংঘটিত হবে তাও জানেন একমাত্র আল্লাহ্। (৩) বৃষ্টিপাত কখন হবে তাও একমাত্র আল্লাহ্
ছাড়া অন্য কেউই জানে না। (৪) কে কোন ভূমিতে মারা যাবে তা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কেউই জানে
না। (৫) আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কেউই জানে না কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে।

 

বুখারী-৮-৭৪-২৪৬:    মুহাম্মদ বলেছেন: আল্লাহ তাআলা আদম-কে তাঁর যথাযথ আকৃতিতে সৃষ্টি
করেছেন, তাঁর উচ্চতা ছিল ষাট হাত। তিনি তাঁকে সৃষ্টি করে বললেন: তুমি যাও। উপবিষ্ট
ফিরিশতাদের এই দলকে সালাম করো এবং তুমি মনোযোগ সহকারে শুনবে তারা তোমার সালামের কী
জবাব দেয়? কারণ এটাই হবে তোমার ও তোমার বংশধরের সম্ভাষণ (তাহিয়্যা) তাই তিনি গিয়ে বললেন:
‘আসসালামু আলাইকুম’। তারা জবাবে বললেন: ‘আসসালামু আলাইকা ওয়া রাসূলুল্লাহ’। তারা বাড়িয়ে
বললেন: ‘ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বাক্যটি। তারপর নবী আরো বললেন: যারা জান্নাতে প্রবেশ করবে
তারা আদম-এর আকৃতি বিষ্টি হবে। তারপর থেকে এ পর্যন্ত মানুষের আকৃতি ক্রমশ হ্রাস পেয়ে
আসছে।

বুখারী-৪-৫৫-৫৪৯:    মুহাম্মদ বলেছেন: তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টির উপাদান স্বীয়
মাতৃগর্ভে চল্লিশ দিন পর্যন্ত জমা রাখা হয়। এরপর অনুরূপভাবে (চল্লিশ দিনে) তা আলাকারুপে
(রক্তপিণ্ড) পরিণত হয়। তারপর অনুরূপভাবে (চল্লিশ দিনে) তা গোস্তের টুকরার রূপ লাভ করে।
এরপর আল্লাহ্ তার কাছে চারটি বিষয়ের নির্দেশ নিয়ে একজন ফিরিশতা পাঠান। সে তার আমল,
মৃত্যু, রিজিক এবং সে কি পাপি হবে না পুণ্যবান হবে, এসব লিখে দেন। তারপর তার মধ্যে
রূহ ফুঁকে দেয়া হয়। (ভুমিষ্টের পর) এক ব্যাক্তি একজন জাহান্নামীর আমলের ন্যায় আমল করতে
থাকে এমনকি তার ও জাহান্নামীদের মধ্যে এক হাতের ব্যবধান থেকে যায়, এমন সময় তার ভাগ্যের
লিখন এগিয়ে আসে। তখন সে জান্নাতবাসীদের আমলের ন্যায় আমল করে থাকে। ফলে সে জান্নাতে
প্রবেশ করে। আর এক ব্যাক্তি (প্রথম হতেই) জান্নাতবাসীদের আমলের অনুরুপ আমল করতে থাকে।
এমন কি শেষ পর্যন্ত তার ও জান্নাতের মাঝে মাত্র এক হাতের ব্যবধান থেকে যায়। এমন সময়
তার ভাগ্যের লিখন এগিয়ে আসে। তখন সে জাহান্নামীদের আমলের অনুরূপ আমল করে থাকে এবং পরিণতিতে
সে জাহান্নামে প্রবেশ করে।

বুখারী-৪-৫৫-৫৪৬:    মুহাম্মদ-এর মদীনায় আগমনের খবর পৌঁছল, তখন আবদুল্লাহ ইবনে সালাম
তাঁর কাছে আসলেন। এরপর তিনি বলেছেন, আমি আপনাকে এমন তিনটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে চাই
যার উত্তর নবী ছাড়া আর কেও অবগত নয়। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কিয়ামতের প্রথম নিদর্শন কি?
আর সর্বপ্রথম খাবার কি, যা জান্নাতবাসী খাবে? আর কি কারণে সন্তান তার পিতার সাদৃশ্য
লাভ করে? আর কিসের কারণে (কোন কোন সময়) তার মামাদের সাদৃশ্য হয়? তখন মুহাম্মদ বললেন,
এইমাত্র জিব্রাঈল আমাকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন। রাবী বলেন, তখন আবদুল্লাহ বললেন, সে
তো ফিরিস্তাগণের মধ্যে ঈহুদীদের শত্রু। মুহাম্মদ বললেন: কিয়ামতের প্রথম নিদর্শন হলো
আগুন যা মানুষকে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে তাড়িয়ে নিয়ে একত্রিত করবে। আর প্রথম খাবার
যা জান্নাতবাসীরা খাবেন তা হলো মাছের কলিজার অতিরিক্ত অংশ। আর সন্তান সদৃশ হওয়ার রহস্য
এই যে পুরুষ যখন তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে তখন যদি পুরুষের বীর্যের পূর্বে স্খলিত
হয় তখন সন্তান তার সাদৃশ্যতা লাভ করে।

বুখারী-৪-৫৪-৪৮৩:    আবু জামরা যুবায়ী থেকে বর্ণিত: আমি মক্কায় ইবনে আব্বাস-এর কাছে
বসতাম। একবার আমি জ্বরে আক্রন্ত হই। তখন তিনি আমাকে বললেন, ‘তুমি তোমার গায়ের জ্বর
যমযমের পানি দ্বারা শীতল কর।’ কেননা, রাসুলুল্লাহ বলেছেন, এটা দোযখের উত্তাপ থেকেই
হয়ে থাকে। অতএব তোমরা তা পানি দ্বারা ঠান্ডা করো, অথবা বলেছেন যমযমের পানি দ্বারা ঠান্ডা
করো।

বুখারী-৭-৬৭-৪৪৬:    একটি ইঁদুর ঘিয়ের মধ্যে পড়ে মরে গিয়েছিল। তখন মুহাম্মদ-এর কাছে
এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন: ইঁদুরটি এবং তার আশ-পাশের অংশ ফেলে দাও; এরপর
তা খাও।

বুখারী-৭-৭১-৬৭৩:    মুহাম্মদ
বলেছেন: যখন তোমাদের
কারো কোনো খাবার পাত্রে মাছি পড়ে, তখন তাকে সম্পূর্ণভাবে ডুবিয়ে দিবে, তারপরে ফেলে
দিবে। কারণ, তার এক ডানায় থাকে ঔষধ, আর অন্য ডানায় থাকে রোগ জীবানু।

বুখারী-৭-৭১-৫৯১:    আমরা (যুদ্ধের উদ্দেশ্যে) বের হলাম। আমাদের সঙ্গে ছিলেন গালিব
ইবনে আবজার। তিনি পথে অসুস্থ হয়ে পড়লেন। এরপর আমরা মদীনায় আসলাম তখনও তিনি অসুস্থ ছিলেন।
তাকে দেখাশুনা করতে আসের ইবনে ‘আতীক। তিনি আমাদের বললেন: তোমরা এই কালো জিরা সঙ্গে
রেখো। এ থেকে পাচটি কিংবা সাতটি দানা নিয়ে পিষে ফেলবে। তারপর তন্মধ্যে বায়তুনের কয়েক
ফোটা তৈল ঢেলে দিয়ে তার নাকের এদিক-ওদিকের ছিদ্র পথে ফোটা ফোটা করে ঢুকিয়ে দিবে। কেননা,
আয়েশা আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, তিনি নবী-কে বলতে শুনেছেন: এই কালো জিরা ‘সাম’
ব্যতীত সকল রোগের ঔষধ। আমি বললাম: ‘সাম’ কী জিনিস? তিনি বললেনঃ ‘সাম’ অর্থ মৃত্যু।

বুখারী-৭-৭১-৫৯২:    মুহাম্মদ বলেছেন: কালো জিরা ‘সাম’ ব্যতীত সকল রোগের ঔষধ। ইবনে
শিহাব বলেছেন: আর ‘সাম’ অর্থ হল মৃত্যু।

বুখারী-৭-৭১-৬১১:    উম্মে কায়স থেকে বর্ণিত: আমি আমার এক পুত্র সন্তানকে নবী-এর
নিকট নিয়ে গেলাম। ছেলেটির আলাজিহবা ফোলার কারণে আমি তা দাবিয়ে দিয়েছিলাম। তখন তিনি
বললেন: এ ধরণের রোগ ব্যাধি দমনে তোমরা নিজেদের সন্তানদের কেনো কষ্ট দিয়ে থাক? তোমরা
ভারতীয় চন্দন কাঠ ব্যবহার কর। কেননা, তাতে সাত ধরণের নিরাময় বিদ্যমান। তন্মধ্যে আছে
পাজরের ব্যথা। আলা জিহবা ফোলার কারণে এটির ধোয়া নাক দিয়ে টেনে নেয়া যায়। পাজরের ব্যথার
রোগীকে তা সেবন করান যায়।

বুখারী-৭-৭১-৬১৪:    এক ব্যক্তি মুহাম্মদ-এর কাছে এসে বলল যে, আমার ভাইয়ের পেট খারাপ
হয়েছে। মুহাম্মদ বললেন: তাকে মধু পান করাও। সে তাকে মধু সেবন করালো। এরপর বলল: আমি
তাকে মধু পান করিয়েছি কিন্তু পীড়া আরো বেড়ে চলছে। তিনি বললেন: আল্লাহ সত্য বলেছেন,
কিন্তু তোমার ভাইয়ের পেট অসত্য বলেছে।

 চলবে—

Category: ধর্মকারীTag: নরসুন্দর মানুষ, হাদিস
Previous Post:চিঠি হুমকি -৯: হুদাইবিয়ার আগে বনাম পরে – সময় অসঙ্গতি! কুরানে বিগ্যান (পর্ব-১৭০): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ –একশত চুয়াল্লিশ
Next Post:হিন্দুত্যানা ১: সেটা ছিল সত্য যুগ!

Reader Interactions

Comments

  1. নামহীন

    July 6, 2017 at 5:35 am

    মেডিকেল কলেজে "হাদিসের আলোকে চিকিৎসা" অন্তর্ভুক্তি এখন সময়ের দাবী। বাই দা ওয়ে, মহাউন্মাদের মাথাখানি বিকল হরার পেছনে কালাজিরার সাইড এফেক্ট আছে কিনা সে বিষয়ে গবেষণা হওয়াও জরুরী।

    Reply
    • নামহীন

      July 6, 2017 at 9:35 am

      কথা সত্য!

      Reply
  2. নামহীন

    July 8, 2017 at 6:58 am

    " তিনি বললেন: আল্লাহ সত্য বলেছেন, কিন্তু তোমার ভাইয়ের পেট অসত্য বলেছে। "
    আর উফায় নাই!
    অফেক্কা কইত্তাসি………..।
    -TruthToSaveGenearation

    Reply
    • নামহীন

      July 8, 2017 at 2:48 pm

      উফায় নাই! সত্য কহিছেন ভাই!

      Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top