যেসব ‘মহিলারা’ নারী হওয়ার পরেও ধর্মের পক্ষে সাফাই গায়, তাদের জন্য আসলেই করুণা হয়। তাদের মগজ ধোলাইয়ের পরিমান ঘরের আর সব পুরুষের মগজ ধোলাইয়ের সমষ্টির চেয়েও অনেক অনেক গুন বেশি হবে। আর সে কারণেই ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু বললে এরাই আগে তেড়ে আসে, এবং নিজেদের ভাই-ব্রাদার, বাচ্চা-কাচ্চাকে আগে ভাগে ধর্মের খোলসের মধ্যে ঢুকাতে যায়।
ওদিকে হাদিসে আছে, নবী বলেছে যে তিন জিনিসের মধ্যে অশুভ আছে, তা হলো নারী, বাড়ী আর ঘোড়া। সমগ্র মানব জাতির জন্য নারীর চেয়ে ক্ষতিকর আর কিছুই সে রেখে যাচ্ছি না। মহিলাদের দেখলে নামাজ হয় না। এরকম আরো অনেক নারী অবমাননাকর কথা দেখানো যাবে ধর্মগ্রন্থ থেকে।
কিন্তু এখানে যেটা দেখা যাচ্ছে, মসজিদের রাস্তায় নারীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিচ্ছে মুসলমানরা। কোনো নারী বা অন্য কেউ এই সব মসজিদ কর্তৃপক্ষ মুসলমানদের সাথে তর্ক করতে পারবেন না। তাদের বিরুদ্ধে যেতে পারবেন না। প্রতিটা রাস্তাতেই একদিন একটা একটা করে মসজিদ হবে। ওদিকে হাসিনা নিজেই ঢোলে বাড়ি দিয়ে আবার ঘোষণা দিছে সারাদেশে সরকারী ভাবে আরো ৫০০ মসজিদ বানিয়ে দেবে।
আর এটা তো সবে শুরু। এভাবে সারাদেশে সব রাস্তায় হবে মসজিদ, আর একে অন্যের দেখাদেখি সব রাস্তাতে এমন সাইনবোর্ড ঝুলবে–‘মহিলাদের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষেধ’। সংকুচিত হয়ে আসবে নারীদের চলাফেরার জায়গা। সময় থাকতে পদক্ষেপ না নিলে শেষ পর্যন্ত সেই শরিয়া আইন–মেয়েদের ঘর থেকে বের হওয়াই নিষিদ্ধ–সেটাই হয়ে যাবে।
আসেন, আলহামদুলিল্যাহ বইলা ইসলামের পথে আগে বাড়ি।
ফটো © Hasib Haque
Leave a Reply