খালেদা জিয়া কী পরিমান টাকা মেরেছে, সেটা সঠিক জানা না গেলেও, এটুকু বোঝা যাচ্ছে যে তারেকের ভাঙা কোমরের চিকিৎসা করিয়ে আর তেমন কিছু অবশিষ্ট নাই যা দিয়ে খালেদার নড়বড়ে দল আর ভাঙা চেয়ার মেরামত করা যায়।
হাসিনা খালেদার থেকে ভালোই শিক্ষা নিছে। সে ভালো করেই বুঝতে পারছে, তারও ক্ষমতা চিরদিন থাকবে না। হয়তো এ-ও বুঝতে পারছে, তার নিজের আয়ুও বেশিদিন নাই। তাই ক্ষমতা আর আয়ু যতদিন আছে ততদিন জয়রে এমন একটা অবস্থায় নিয়ে যেতে চাইছে যাতে গদি হাতছাড়া হওয়ার পরবর্তী সময়ে বোনাস হিসাবে যদি শরীরের কোনো কিছু ভাঙা পড়ে, তাতে যেন চিকিৎসা করার পরেও কিছু থাকে যা দিয়ে জয় ইচ্ছে করলে দলের হালটা অন্তত অক্ষত রাখতে পারবে।
শুধু তাই নয়, খেয়াল করলে দেখবেন বর্তমান এমপি-মিনিস্টার তো বটেই, অন্যান্য প্রভাবশালীদেরও ভবিষ্যত প্রজন্ম দেশের বাইরে কোনো না কোনো দেশে নিরাপদ অবস্থায় আছে। সামান্য সরকারী চাকরি করেই দেশেই কতজনে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করে ফেলছে, আর এরা যে কী করছে তা কল্পনারও বাইরে!
কিন্তু সবাই এভাবে বিদেশে ভবিষ্যত প্রজন্ম এবং টাকা পাচার করছে কেন? এরা বুঝে গেছে যে বাংলাদেশ বসবাসের অযোগ্য এবং ভবিষ্যতে আরো খারাপ অবস্থা হবে। কিন্তু টাকা পাচার করছে কোথা থেকে? এই যে প্রায়ই শোনেন, ব্যাংক থেকে টাকা হাওয়া, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারী, ঋণখেলাপি, ব্যাঙ্ক লুট, ব্যাঙ্কের টাকা হ্যাক–সরকারের পরোক্ষ হাত ছাড়া এসব কোনো ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব না। এই টাকারই মূল অংশটা চলে যায় সরকার প্রধানের হাতে, আর বাকিটা চ্যালা-চামুণ্ডুরা চেটে খায়।
তো এসব কতদিন চলবে? রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি… সুতরাং এর কোনো শেষ নেই। যতদিন জনগণ ভোদাই হয়ে থাকবে, ততদিন এসব চলতেই থাকবে। আর এগুলো নিয়ে যাতে হাউকাউ না হয়, সেজন্য একদিকে আবাল জনগণরে খাওয়ানো হচ্ছে ধর্মের আফিম, আর যারা একটু আধতু চিল্লাফাল্লা করতে পারে, তাদেরকে ব্যস্ত রাখা হচ্ছে নাস্তিক-প্রগতিশীল মানুষদের হত্যা আর হত্যার বিচার চাওয়ার পেছনে। আবার অপহরণ মামলার মত কাহিনী করা হচ্ছে জনগণের সিমপ্যাথি পাওয়ার উদ্দেশ্যে। আমেরিকাতে আমেরিকান নাগরিক যদি অপহরণ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়, তাতে আমেরিকার পুলিশের মাথা ব্যথা নাই, কিন্তু বাংলাদেশের প্রতিটা হিন্দিচুলের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
অপহরণ ষড়যন্ত্রের আসামি গ্রেফতার হয়, অথচ দেশে সাধারণ জনগের নিরাপত্তার ব্যাপারে সরকারের কোনো খবর নেই। যেখানে সরকারের হাত আছে, সেখানে বছরের পর বছর পেরিয়ে যাবে, কিন্তু খুনীদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। ভেরিয়েশন আনতে শুধু নাস্তিকদেরই হত্যা করা হচ্ছে না; মডারেট মুসলিম থেকে শুরু করে মুয়াজ্জিন-সাধুদেরও রাখা হচ্ছে। ভাবতে পারেন মুয়াজ্জিন-সাধুদের তো মানসিক ভাবে অসুস্থরা মারছে। নোপ! সরকার অনেক ভাবেই বৈধতা দিয়ে উস্কে দিয়েছে এইসব হত্যাকাণ্ড। আর বিচারহীনতার সুযোগ নিয়ে বিষয়টা এখন ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়েছে ‘মানসিক ভাবে অসুস্থ’ সাধারণ জনগণের মধ্যেও। জনগণ নানা ভাবে মরবে, আর দেশের সমস্ত সম্পদ চলে যাবে গুটিকয়েক লোকের হাতে, যারা অদল-বদল হয়ে ক্ষমতায় আসবে আর জনগণরে গুটি হিসাবে ব্যবহার করবে।
সরকার যে চাপাতির আগুন জ্বালিয়ে দিছে সবখানে। অতএব হে ভোদাই জনগণ, কোপাকুপি চালিয়ে যাও, কেউ কোপ খেলে নাস্তিক আখ্যা দিয়ে চুপ করে থাকো, আর অপেক্ষা করো চাপাতিটা কখন নিজের ঘাড়ে এসে পড়বে লোক দেখানো ‘সহিহ মুসলিম’ না হওয়ার অপরাধে।
Leave a Reply