• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

বিশ্বাসের দরজায় করাঘাত!: পর্ব ০৬ – (সবচেয়ে বেশি পুণ্যবান কে?)

You are here: Home / ধর্মকারী / বিশ্বাসের দরজায় করাঘাত!: পর্ব ০৬ – (সবচেয়ে বেশি পুণ্যবান কে?)
November 7, 2016
লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ
পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫
শহরে একই নামের তিন ক্লাসমেট ছিলো আমার, চেনার সুবিধার জন্য তাদের টাইটেল দিয়েছিলাম, ‘মোটা’, ‘কালা’ এবং ‘শুটকা’; মনে করুন, তাদের নাম ছিলো সেলিম, তাতে নাম দাড়াবে এরকম, মোটা-সেলিম, কালা-সেলিম, শুটকা-সেলিম; টাইটেল তাদের চেহারা ও শরীরের গঠন প্রকাশ করতো!
নবম শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষার পর, শুটকা-সেলিমের মামা তার গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে যাবার প্রস্তাব দিলেন; আমরা চারজন একবাক্যে রাজি হয়ে রওনা দিলাম, এবং পড়লাম মহা যন্ত্রণায়!
মামা তাবলীগ জামাত করতেন; পাঁচ বেলা নামাজে দাঁড় করানোর সাথে সাথে ইসলামী জ্ঞান বিতরণ শুরু করলেন, বুখারী হাদিসের বই পড়তে দিলেন; সেই সাথে রাতে শোবার আগে বললেন, “যদি এই-এই সূরা পড়ে ঘুমাতে যাস, তবে পুরা নিদ্রাই তোদের আমলনামায় পুণ্য হিসাবে লেখা হবে।”
যাইহোক, একরাতে আমাকে দায়িত্ব দিলেন; এশার নামাজ শেষ করার পর হতে পরদিন সকাল পর্যন্ত তিন সেলিমের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশি পুণ্য পাবার কাজ করবে, তাকে তিনি একশত টাকা উপহার হিসাবে দেবেন; আর বিচারক হিসাবে আমাকে দেবেন পঞ্চাশ টাকা।
পরের দিন সকালে মামা প্রশ্ন করলেন, কে সবচেয়ে বেশি পুণ্য পাবার কাজ করেছে; আমি বললাম, “মোটা-সেলিম, কারণ আর দু’জনের মত সমান-সমান কাজ করলেও, পুরো রাত নাক ডেকে বেশি পুণ্য অর্জন করেছে সে; তাই একশত টাকা উপহার হিসাবে মোটা-সেলিমের প্রাপ্য!”
মামার চেহারা লাল হয়ে গেলো, উচ্চস্বরে বলে উঠলেন, “নাক ডাকার সাথে বেশি পুণ্য লাভের সম্পক কী? তুই কি আমার সাথে রং-তামাশা করিস!”
উত্তর যা দিলাম, তা শোনার পর, মামা সেদিন সকালেই সবাইকে বাসায় পাঠিয়ে দিলেন।
সংক্ষেপে উত্তর ছিলো এরকম: “মামা, নবী মুহাম্মদ (সাঃ) যা করতে আদেশ দিতেন, যা সমর্থন করতেন এবং নিজে যা করতেন, তা সুন্নত। সুন্নত কাজ করা অবশ্যই পুণ্য বা সওয়াবের কাজ; তবে যে কাজ নবী মুহাম্মদ (সাঃ) নিজে নিয়মিত করতেন, তা করলে অবশ্যই বেশি পুণ্য লাভ করা সম্ভব; নবী মুহাম্মদ (সাঃ) নিয়মিত ঘুমের ভেতর নাক ডাকতেন; যেহেতু মোটা-সেলিম, নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর মতই সারারাত ঘুমের মধ্যে নাক ডেকে বেশি সুন্নত পালন করেছে, তাই বিচারক হিসাবে আমি তাকে বিজয়ী ঘোষনা করেছি!
মামা ক্ষেপে উঠে বললেন, “কে বলেছে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) নাক ডাকতেন?”
আমি উত্তর দিলাম, “মামা, আপনি নিজেই তো আমাদের বুখারী হাদিস শরিফ পড়তে দিয়েছেন, সেখানেই একাধিক হাদিসে লেখা আছে, নবী মুহাম্মদ (সাঃ) ঘুমালেই নাক ডাকতেন; আপনি মনে হয় শুধু নামাজই পড়েন, নিজে কখনও বুঝে বুখারী শরিফ পড়ে দেখেন নাই! যদি বুঝে পড়তেন, তবে আমার কাথায় কোনো ভাবেই রাগ করতে পারতেন না!”
টেবিল থেকে বুখারী হাদিসের বইটি নিয়ে ৮-১০ টি হাদিস দেখিয়ে দিলাম নবী মুহাম্মদের নাক ডাকার; মামা চুপ করে রইলেন, আর মামীকে বলে দিলেন আমাদের বাসায় পাঠানোর ব্যাবস্থা করতে!
আর হ্যাঁ, টাকাটা আজ পর্যন্ত পাওয়া হয়নি; তাই বলে ভাববেন না, আপনাদের হাদিস দেখাবো না! তবে টাকা না পাওয়ার শোকে একটির বেশি দেখাতে ইচ্ছা করছে না; বাকিগুলো নিজ দায়িত্বে খুঁজে নিন!
পূর্ণাকারে দেখতে ছবির ওপরে ক্লিক করতে হবে
তাহলে; মুমিন মুসলিম ভাই-বোনেরা নিয়মিত নাক ডাকুন, এবং নবীর সুন্নত পালন করে সবচেয়ে বেশি পুণ্যবান হয়ে উঠুন!
(চলবে)
Category: ধর্মকারীTag: ইসলামের নবী, রচনা, হাদিস
Previous Post:ছহীহ হাছপাতাল
Next Post:পর্ণহীনা হাওয়া

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top