নবীজির জন্ম ও মৃত্যুদিবসে ধর্মপ্রাণ প্লেবয়-এর পাঠানো ছোট্ট এই রচনাটি পড়ে আমরা সমবেত কণ্ঠে গাইতে পারি: নবীর মোর দয়ার খনি…
সূরা আল-আহযাব-এ আল্লাহ বনু কুরাইজার বিরুদ্ধে মোহাম্মদের যুদ্ধের বর্ণনা দিয়েছেন, যেখানে তার বীরত্ব ও আল্লাহর সাহায্যের বর্ণনাই শুধু আছে। কিন্তু পর্দার আড়ালের চিত্র দেখে চমকে উঠি। দয়াল নবীর এ কী রূপ!!!!
ইহুদী গোত্র বনু-কুরাইজা খন্দকের যুদ্ধের সময় মুসলিমদের অনেক সহায়তা দিয়েছিল। কিন্তু মোহাম্মদের ক্রমাগত ইহুদীবিদ্বেষী আচরণের কারণে একসময় তারা বিপন্ন বোধ করে এবং মক্কার কুরাইশদের সাথে সমঝোতা করে। এতে মোহাম্মদ দাবী করে বনু-কুরাইজা তার সাথে চুক্তি ভঙ্গ করেছে। যদিও ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইহুদী-ইতিহাস প্রফেসর নরম্যান স্টিলম্যান ও ওয়াট এর মতে – তারা মোহাম্মদের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাকে সাহায্য করতে রাজি হয়নি। মোহাম্মদের মতে – তখন জিব্রাইলের মাধ্যমে আসা নির্দেশমতে তিনি বনু কুরাইজার বিরুদ্ধে অভিযান চালান।
প্রসঙ্গত, এর আগে তিনি অপর দুই বড় ইহুদী গোত্র বনু কায়ানুকা ও বনু নাদিরকে তাদের ভূমি থেকে বিতাড়িত করেছিলেন। তিনি ৬২৭ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারী ও মার্চে এ অভিযান চালান এবং আত্মসমর্পণের আগ পর্যন্ত তাদেরকে ২৫ দিন অবরুদ্ধ করে রাখেন। মুহাম্মদের একজন সাথী সকল লোকদের হত্যা করতে, তাদের সম্পত্তি ভাগ করতে এবং মহিলা ও শিশুদের বন্দী হিসেবে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন। মুহাম্মদও সেটা লুফে নিয়ে ‘স্রষ্টারও একই রায়’ বলে ঘোষণা দেন। তখন তাঁর নির্দেশমতে ঐ গোত্রের সকল বয়ঃপ্রাপ্ত পুরুষদের গলা কেটে হত্যা করা হয়। মুসলিম সাহাবী তাবারীর মতে ৬০০-৯০০ লোককে ঐ সময় হত্যা করা হয়। সুন্নী হাদিসে সংখ্যা উল্লেখ না থাকলেও সকল পুরুষ ও একজন নারীকে হত্যা করা হয় বলে বিবৃত আছে। ইসলামী সূত্রমতে, অবশিষ্ট মহিলা ও শিশুদের অস্ত্র ও ঘোড়ার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়। এভাবেই মুহম্মদ আরবে শান্তির ধর্ম (!!) প্রতিষ্ঠা করেন।
Leave a Reply