লিংকগুলো পাঠিয়েছেন নিলয় নীল
আজ যারা পহেলা বৈশাখ পালন করবে তারা কুফরী করবে। কারণ, প্রকৃতপক্ষে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান হচ্ছে হিন্দু মুশরিক ও মজুসীদের। এতে তারা পান্তা-গান্ধা খায়, গানবাজনা করে, র্যালী করে, জীব-জানোয়ারের মুখোশ পরে, মিছিল করে, ডুগডুগি বাজিয়ে নেচে নেচে হৈহুল্লোড় করে, পুরুষরা ধুতি ও কোণাকাটা পাঞ্জাবী যা হিন্দুদের জাতীয় পোশাক তা পরে, মেয়েরা লাল পেড়ে সাদা শাড়িসহ হাতে রাখি বাঁধে, শাঁখা পরে, কপালে লাল টিপ ও চন্দন এবং সিথিতে সিঁদুর দেয়, বেপর্দা, বেহায়া হয়- যা ইসলামী শরীয়তে সম্পূর্ণ হারাম ও কুফরী।
…
কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী পহেলা বৈশাখ পালন করা কাট্টা হারাম, নাজায়িয ও কুফরী। কারণ ইসলামী শরীয়তে মুসলমানগণের জন্য বিধর্মীদের অনুসরণ করা সম্পূর্ণ হারাম। উল্লেখ্য, প্রকৃতপক্ষে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান হচ্ছে হিন্দু মুশরিকদের ঘট পূজা, বৌদ্ধদের উল্কি অঙ্কন আর মজুসীদের নওরোজ পালনের অনুষ্ঠান। তাহলে মুসলমানগণ কী করে পহেলা বৈশাখ পালন করতে পারে।
পথিমধ্যে এত বেহায়াপনা দৃশ্য আগে কখনও চোখে পড়েনি। যেখানে ইসলামে মেয়েদের পর্দা করা ফরয করা হয়েছে সেখানে মেয়েরা বেপর্দা হয়ে একেক জন ছেলের হাতধরে পাশাপাশি চলছে। এছাড়া অন্য আরেকটি ঘটনা হলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা গরমের মধ্যে বাসে থাকা কি যে কষ্ট তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে অক্ষম। আমি মনে মনে ভাবতে ছিলাম- এটা ঢাকা শহর না অন্য কোনো শহর! হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে, “জান্নাতের দরজায় লেখা থাকবে দাইয়্যূস কখনও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।”
…
পথিমধ্যে মেয়েরা যে রকম খোলামেলা পোশাক-পরিচ্ছদ, সাজ-সজ্জা এবং যেরূপ আচরণ করছিল তা দেখে মনে হল- এরা দাইয়্যূস পুরুষের চেয়ে বেশি দাইয়্যূছ এবং খারাপ। এই নববর্ষ উদযাপনের যতোটুকু যেমন মানুষ কষ্ট ভোগ করেছে, তার চেয়ে বেশি বেহায়াপনা হয়েছে। এমন পরিস্থিতি দেখে কোনো ব্যক্তির মনে হবে না যে, বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এই বিষয়গুলো উলামায়ে ছূ’রা দেখেও না দেখার ভান করে। বরং তারা ১লা বৈশাখকে নিয়ামত মনে করে। তাহলে যারা নববর্ষ পালন করা নিয়ামত মনে করে তারা আসলে কি? ঈমানদার ব্যক্তি মাত্রই এ প্রশ্ন সবার কাছে রইল। যে অনুষ্ঠান করলে মানুষ খুব কষ্ট পায় এবং বেহায়াপনা বৃদ্ধি পায়, মুসলমানের মুসলমানিত্ব থাকে না সেই অনুষ্ঠান বন্ধ করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরয।
Leave a Reply