রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ এক নাস্তিক ও এক মুমিনের সাথে দেখা হয়ে গেল। আমি তাদেরকে জিজ্ঞাস করলাম:
– মদ পান করা এবং বাজার থেকে যুবতী নারী কিনে বাসায় এনে জোরপুর্বক সেক্স করা – এই দুইটি কাজের ভিতরে কোনটি খারাপ কাজ?
মুমিন বলিল:
– ইসলামে মদ খাওয়া হারাম, তবে নারী কেনাবেচা ইসলামে হালাল। নবীজির সুন্নাহ হিসাবে ক্রীতদাসীর সাথে সেক্স করাও হালাল। তাই মদের পরিবর্তে আমি নারীকেই বেছে নিবো।
নাস্তিক বলিল:
– মদ খেলে অন্য কারো ক্ষতি করা হয় না, তবে কোনো নারীর অনুমতি ছাড়া তার সাথে সেক্স করা যায় না। তাই আমি মদকেই বেছে নিবো।
এরপর দুইজনে মিলে আমাকে প্রশ্ন করল:
– হুজুর, আপনার মতে কোনটি খারাপ কাজ?
আমি একটু অপ্রস্তুত হয়ে উত্তর দিলাম:
– ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবীজির আত্মীয়স্বজন, সাহাবীগন সবাই মদ বা ওয়াইন খেতেন। পরে জিহাদে হেরে যাবার ভয়ে ওয়াইন খাওয়া নিষেধ করা হয়। তবে নবীজি ওয়াইন খেতে মানা করলেও ভোদকা, টাকিলা, হুইস্কি ইত্যাদি খেতে নিশেধ করেন নাই। কারণ ফেসবুক, ইউটিউব, টাকিলা, হুইস্কি, পর্নহাব… ইত্যাদি কী জিনিষ, তা নবীজি জানতেন না। তাই ইসলামে এগুলো হারাম না। এছাড়াও দেখবেন, ইসলামে দাবা খেলা হারাম হলেও ক্রিকেট খেলা হারাম নয়। পাকিস্তানীরা ক্রিকেট খেলে। তাই ইসলামে ওয়াইন খাওয়া হারাম হলেও ভোদকা খাওয়া হারাম নয়।… যাই হোক, আমি রাসুলের সুন্নাহ অনুসরণ করে বাজার থেকে ক্রীতদাসী কিনে আনব। এরপর দুইজনে মিলে ভোদকা খাব। এরপর ক্রীতদাসী যদি জোর করে আমার সাথে সেক্স করতে চায়, তাহলে আমি কি না করতে পারি?
নাস্তিক এবং মুমিন দুইজনে বলিল:
– নীল নিমো হুজুর, আপনি আসলেই একজন বিচক্ষণ মানুষ। আল্লাহ এবং ক্রীতদাসী দুইজনেই খুশি থাকবে। একেবারে উইন উইন সিচুয়েশন।
আল্লাপাকের কাছে হাজার শুকরিয়া, নাস্তিক-আস্তিক দুইজনেই একটি বিষয়ে একমত হল।
Leave a Reply