হগলে কয় বিম্পি-জামাত-শিবির দেশ জুইরা নাশকতা চালাইতাছে।
ভুল, সবই ভুল। এরা আসলে দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতেছে। আর জানেনই তো ভালো কামে ম্যালা বাধা-বিঘ্ন আসে। নবীর ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালে কী হইত?–বাধা-বিঘ্ন আইলেই বাধা-বিঘ্নরে কোতল কইরা ইসলাম প্রতিষ্ঠার কামে ধাপে ধাপে আগাইয়া যাইত। বিম্পি-জামাত-শিবিররাও নবীর উম্মত (অবজেকশন থাকলে বলেন, দেখি কোন খাঙ্কির পোলা কওয়ার সাহস রাখে যে বিম্পি-জামাত-শিবির মুসলমান না)…ইসলাম প্রতিষ্ঠার কালে সামনে বাধা-বিঘ্ন পাইলে এরাও নবীর মত জ্বালাইয়া-পোড়াইয়া সামনে আগাইয়া যাইতেছে। আর এমন হইতেই পারে–সেইটা আর সব মুসলমানরাও জানে। তাইতো সবাই চুপ কইরা ইসলামের বিজয় দেখতাছে।
আগে বাংলাদেশ আগাইত। অহন ইসলাম আগাইতেছে। সবাই বলেন সোবহান্পাল্লাহ!
: আল্যা হইলো নবীর ফেক নিক।
: কী আশ্চর্য! আপনি তো অবিশ্বাসী, আল্যাকে বিশ্বাসই করেন না। তাহলে আল্যাকে নিয়ে আজে-বাজে কথা বলেন কেন?
: আমার বিশ্বাস- আল্যা হইলো নবীর ফেক নিক। এইবার ঠিকাছে?
[বিঃদ্রঃ কারো বিশ্বাসে আঘাত দিতে নাই।]
খবর: বিশ্বের শীর্ষ ১০ দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্রের মধ্যে ৮টিই মুসলিমপ্রধান দেশ এবং ৫টিই আরবের।
সিদ্ধান্ত: ইসলাম সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম এবং মুসলমানেরা সব জমজমের পানিতে ধোয়া খর্জুরপত্র।
২. মুসলমানরা শান্তিপ্রিয়, এরা সবাই শান্তি চায়, শান্তির জন্য জিহাদ করে। তাই মুসলমানেরা দুর্নীতিতে ফার্স্ট হয়। আর দুর্নীতিতে লাস্ট হয় ডেনমার্ক আর নিউজিল্যাণ্ডের মত কাফের দেশ। এরা শান্তি চায় না, শান্তির জন্য জিহাদও করে না। লাস্ট হবে না তো কী হবে!
৩. দুর্নীতিতে মুসলমানরা কেন বিশ্বসেরা হয়, সেটা বুঝতে হলে চুরি-ডাকাতি-লুট করা জিনিস-পত্র আর গনীমতের মালের পাঁচ ভাগের একভাগ যে আল্যার নামে বরাদ্দ থাকত, সেই ভাগটা আসলে কই যাইত–তার রহস্য জানতে হবে।
মানব সভ্যতার ইতিহাসে যে প্রাণীটি সবার আগে মানুষের সবচেয়ে উপকারী এবং প্রভুভক্ত প্রাণীতে পরিনত হয়েছিল, সেটা হচ্ছে কুকুর। এরকম একটা প্রাণীর প্রতি নবী-ইসলাম-মুসলমানদের এত বিদ্বেষের কারণ কী? কুকুরে নবী এবং ইসলামের কী এমন ক্ষতি করেছিল? স্বামীহারা, সন্তানছাড়া-কালীন সময়ে নবীর আম্মার কুকুর নিয়ে ঘুমানোর যে কানাঘুষা শোনা যায়, সেইটাই কি তাহলে সত্যি, নাকি আরো কোনো কাহিনী আছে?
যাহোক, সংক্ষেপে আপাতত–
ইসলাম আবির্ভাবের পূর্ব পর্যন্ত : দুনিয়ার সবচেয়ে প্রভুভক্ত প্রাণী–কুকুর।
ইসলাম আবির্ভাবের পর থেকে : দুনিয়ার সবচেয়ে প্রভুভক্ত প্রাণী–মুসলমান।
মুসলমানদের মধ্যে দুর্নীতিপ্রবণতা বেশি কেন?
কোরান-হাদিসের আলোকে তার একটা কারণ পেয়েছি–সবার আগে নবীর উরফে আল্যা লুট করা জিনিসপত্র এবং গণিমতের মালের ২০% খাইত। তারপর আবার বাকি ৮০% থিকাও ভাগ বসাইত। আল্যার বান্দা/নবীর উম্মতরাও আল্যা-নবীরে অনুসরণ করে। নবীর পরে এখন পর্যন্ত তারেক চুরাই (মিস্টার ১০%) সর্বশ্রেষ্ঠ দুর্নীতিবাজ; প্রকাশ্যে ২০%-এর সবচেয়ে কাছাকাছি একমাত্র সে-ই যেতে পেরেছে।
কুকুরের মত একটা প্রাণীর প্রতি নবী-ইসলাম-মুসলমানদের এত বিদ্বেষের কারণ কী?
চুতরাপাতার গবেষণায় যে কারণটা উঠে এসেছে, সেটা হলো–নবী পেটে থাকতেই নবীর আম্মা স্বামীহারা হয়। তারপর নবীর জন্মের পর থেকেই নবীরেও তার কাছ থেকে আলাদা করে দেয়া হয়। প্রায় কয়েকবছর পরে নবীর আম্মা নবীরে ফিরা পায় এবং তার কিছুদিন পরই মারা যায়। এই সময়গুলো নবীর আম্মা কুত্তা নিয়া ঘুমাইত। আর নবীর বড় হয়ে অন্যদের মুখে সেইটা জানার পর থেকেই লজ্জা এবং বিব্রত অবস্থায় পড়ত। তাই যখন ক্ষমতা পাইছে, তখন ঘরে কুত্তা প্রবেশ হারাম কইরা দেয়।
অনেকের মত, “নবীজি ছিলেন নিশাচর, রাত বিরাতে এবাড়ি ওবাড়ি, এপাড়া ওপাড়া করা যে তার স্বভাব ছিল তা আমরা ইতিহাস থেকে জানতে পারি, এমনকি উনি মেরাজেও গেছিলেন রাত্রি বেলা। মানুষের বন্ধু কুকুর রাত্রিবেলা মানুষকে এবং মানুষের ঘরবাড়ি পাহারা দেয় ফলে কুকুরের কারনে নবীজির রাত্রি বেলায় গতায়াত দুর্বিসহ হয়ে গিয়েছেল মনে হয়। তাই কুকুর হারাম।”–Nasir Abdullah নামে একজন ঠিক এভাবেই জানিয়েছেন। যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত। এটাও আরেকটা কারণ হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত মবিলদের এ ব্যাপারে শুধু গালাগালি ছাড়া তেমন কোন প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি, কিংবা কোনো যুক্তি-তথ্য উপস্থাপন করতে দেখা যায়নি। তাহলে ধরে নিলাম ওই কথাগুলোই সত্য, এবং মুসলমানরা সেটা জানে বলেই এ ব্যাপারে চুপ।
কয়েকদিন ধরে ব্যাপক হারে শোনা যাইতেছে, মুসলমানরা গনতন্ত্র বোঝে না। আসলেই তাই। প্রভুভক্ত প্রাণীদের জন্য গনতন্ত্র নয়; এরা শুধু প্রভুদের পা চাটতে জানে। তাই আল্যাতন্ত্র/নবীতন্ত্র/একনায়কতন্ত্রই এদের জন্য পারফেক্ট। এই জিনিসটা আমি অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। তাই বরাবরই জামাতিদের সাপোর্ট দিয়েছি। কেননা তারা আল্যার আইন কায়েম করতে চায়। প্রভুভক্ত প্রাণী হিসাবে প্রতিটা মুসলমানের তা-ই কর্তব্য, তাই না? কিন্তু এখন জামাতি-বিএনপিরা আল্যার আইন কায়েমের পরিবর্তে গনতন্ত্রের মত কাফেরীয় জিনিসের কথা বলতেছে। ওদিকে আমলীগ চাইছে তারা একারাই থাকবে…অনেকটাই আল্যা/নবীতন্ত্রের মত। তাই এখন আমলীগরেই সাপোর্ট দিতেছি। প্রতিটা মুসলমানদেরও এখন উচিত আমলীগরে সাপোর্ট দেয়া। জয় বাংলা, জয় বন্ধবন্ধু।
মানব সভ্যতার ইতিহাসে বিভিন্ন প্রকার সভ্যতার কথা শোনা যায়। কিন্তু “আরব সভ্যতা” বলে কিছু নাই। আরবরা কোনকালেই সভ্য ছিল না, এখনও সভ্য নয়, কোনকালেই সভ্য হবে না। এরা চিরকাল বর্বর ছিল, আছে, থাকবে।
Leave a Reply