• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

বৌদ্ধশাস্ত্রে পুরুষতন্ত্রঃ নারীরা হল উন্মুক্ত মলের মতো দুর্গন্ধযুক্ত (পর্ব – ০১)

You are here: Home / চুতরাপাতা / বৌদ্ধশাস্ত্রে পুরুষতন্ত্রঃ নারীরা হল উন্মুক্ত মলের মতো দুর্গন্ধযুক্ত (পর্ব – ০১)
November 9, 2013

লিখেছেনঃ নিলয় নীল

প্রাচীন ভারতে নারী জীবন সংসার তথা বিবাহ দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত ছিল। নারীর শৈশব-যৌবন-বার্ধক্য যথাক্রমে পিতা-স্বামী-পুত্রের দ্বারাই নির্ধারিত থাকতো। এর ফলে পুরুষ অধীনতা নারীর জন্য হয়ে পড়ে অপরিহার্য। হিন্দুধর্মের থেকে অপেক্ষাকৃত আপাতদৃষ্টিতে উত্তম ধর্ম হিসেবে বৌদ্ধধর্মের আগমন ঘটে এই ভারতে। হিন্দুধর্মের জাতিভেদ থেকে শুরু করে ঈশ্বরের প্রচলিত আরাধনার মতো অনেক কিছুই এখানে অনুপস্থিত ছিল বলে একে আপাতদৃষ্টিতে উত্তম ধর্ম বলেই গণ্য করেন অনেক দার্শনিক।

একাডেমিক ও নন একাডেমিক ভাবে দীর্ঘদিন ধরে বৌদ্ধ শাস্ত্র অধ্যায়ন করে দেখেছি আর সব প্রচলিত ধর্ম মতের মতোই বৌদ্ধ ধর্মে আছে সমসাময়িকতার প্রবল প্রভাব। আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় বৌদ্ধ ধর্মের দার্শনিক তত্ত্ব নয় বরং আজকে আমরা আলোচনা করবো বৌদ্ধ ধর্মে পুরুষতান্ত্রিক ক্ষমতাবলয় নিয়ে। এই আলোচনা করার অন্যতম কারণ হল, আমাদের বাঙ্গালীদের মধ্যে অনেকেরই বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে না জেনেই এই ধর্মের প্রতি এক ধরনের অনুরাগ কাজ করে। বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে বাংলা ভাষায় বিশেষ করে অনলাইনে ততোটা আলোচনা বা সমালোচনা আমি কখনোই দেখিনি যতটা ইসলাম বা হিন্দু ধর্ম নিয়ে হয়ে থাকে।

buddha

গৌতম বৌদ্ধ বিতৃষ্ণ ছিলেন তৎকালীন সাংসারিক জীবনাবর্তে। এই জন্য তিনি তার স্ত্রীকেও ত্যাগ করেন। যেহেতু সংসারে বসে অষ্টাঙ্গিক মার্গ পালন করে নির্বাণ লাভ করা সম্ভব নয়, সেহেতু অবশ্যই সাংসারিক মায়া ও কাম ত্যাগ করে গৃহত্যাগী হতে হবে। আর সাংসারিক মায়া ও কাম ত্যাগ করার প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে নারীকে চিহ্নিত করেন গৌতম বৌদ্ধ। তিনি বলেন, নারী যেহেতু গৃহের মোহ তৈরি করে তাই নারী অবশ্যই পরিত্যাজ্য।

সমগ্র বৌদ্ধ বানীকে তৃতীয় মহাসঙ্গিতি সূত্র, বিনয় ও অভিধর্ম নামে অভিহিত করা হয়। এদেরকে একত্রে বলা হয় ত্রিপিটক। যেহেতু আমরা বৌদ্ধ ধর্মে নারীদের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করবো সেহেতু আমাদের বেশীর ভাগ আলোচনাই হবে সূত্রপিটকের খুদ্দক নিকায়ের অন্তর্গত জাতকের কাহিনীতে আলোচিত নারীর প্রতি গৌতম বৌদ্ধের নির্দেশনামূলক বক্তব্য। জাতক কাহিনীতে নীতিকথা সম্পন্ন হয় সাধারনত তিনটি পর্যায়ে যথা-

১) বর্তমান বস্তু ( এখানে কোন সংকট উপস্থাপিত হয়েছে শাস্তার (পথপ্রদর্শকের) কাছে।
২) অতীত বস্তু ( এখানে সংকট মীমাংসার জন্য অতীতের দৃষ্টান্ত প্রদান করেন শাস্তা)
৩) সমাধান ( অতীত বাস্তবতার আলোকে বর্তমানের টীকাভাষ্য রচনা করে দিকনির্দেশনা দেন শাস্তা)

(সিরিজ আকারে লেখা হচ্ছে, চলতে থাকবে)

Category: চুতরাপাতাTag: বৌদ্ধধর্ম
Previous Post:আমাদের রাখাল প্রেম বুঝে নাই, বুঝেছে খালি বিয়া…
Next Post:বৌদ্ধশাস্ত্রে পুরুষতন্ত্রঃ নারীরা হল উন্মুক্ত মলের মতো দুর্গন্ধযুক্ত (পর্ব – ০২)

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top