লিখেছেন সাদিয়া সুমি
৬.
একজন মৃত মানুষ ফিরে এসে বলুক পরকাল সত্য। আমি অবশ্যই ধার্মিক হব।
৭.
খাদিজার সাথে মোহাম্মদের দাম্পত্য জীবন সুখকর ছিল না। মোহাম্মদ ছিলেন তার তৃতীয় স্বামী। খাদিজার অঢেল সম্পদের মালিকানায় প্রতি মোহাম্মদের ভীষণ দুর্বলতা ছিল। এই সময়ে তিনি একটিও বিয়ে করেন নি। একেবারে লক্ষ্মী ছেলেটি হয়ে ছিলেন। যেই খাদিজা মরল, আর ওমনি আজান দিয়ে বিয়ে করা শুরু করলেন। যুদ্ধবন্দী, ছেলের বউ এমনকি শিশুও বাদ পড়ল না। এক্রোমেগালি নামক রোগের কারনে তার যৌনআগ্রহ অতিরিক্ত ছিল। কিন্তু যৌনতার স্থায়িত্ব ছিল খুব কম। তাঁর অতৃপ্ত স্ত্রীরা যাতে বেঁকে না বসে, সেজন্য কুরানে আয়াত রচনা করে তিনি তাদের শাসাতেন। স্ত্রীরা আল্লার আয়াতের ভয়ে মোহাম্মদকে ছেড়ে যেত না। আর সবাই ভাবত, মোহাম্মদ একজন সুপুরুষ।
৮.
ইবাদত করার জন্য আল্লা মানুষ তৈরি করেছেন! অর্থাৎ কাজ-কাম ফেলে রাতদিন কানের কাছে ‘আল্লাহু আল্লাহু’ করে আল্লার কানদুটো ঝালাপালা করে দেবে, এজন্য তিনি মানুষ বানিয়েছেন! কী পিকিউলার আইডিয়া!
৯.
গেলমান শব্দটির বিশুদ্ধ উচ্চারণ ‘গিলমান।’ এর আরবী রূপ ‘غِلْمَانٌ’। শব্দটি গোলাম ‘غلام’ শব্দটির বহুবচন। ছোট বাচ্চা ছেলেদেরকে ব্যবহার করে পুরুষের বিকৃত যৌনাকাংখা মিটানো। সমাজে এমন বিকৃত প্রথা অনেক আগে থেকে প্রচলিত। যেমন, সম্রাট আলেকজান্ডার থেকে শুরু করে গজনীর সুলতান মাহমুদ প্রায় সবারই গেলমান ছিল। গজনীর সুলতান মাহমুদ তার প্রিয় গেলমানকে লাহোরের উচ্চপদেও বসিয়েছিলেন। অনেকেই সুলতান মাহমুদকে মুসলিম শাসকদের মাঝে অন্যতম মহান হিসেবে তুলে ধরেন। তবে আল-বিরুনী, শেখ সাদী প্রমুখের লেখায় তার ভয়ংকর রূপ ফুটে উঠে।
১০.
‘৭০-এর দশকে চালু ছিল প্রগতিশীল রাজনীতি আর এখন চলে ধর্মান্ধ মৌলবাদ। ‘৭০-এর দশকে মেয়েরা পরত শাড়ি, আর এখন পরে বোরখা।
আমাদের স্বাধীনতার এটাই ৪২বছরের অর্জন।
Leave a Reply