লিখেছেন ওয়াশিকুর বাবু
৪.
প্রথমে তারা ধর্মবিদ্বেষী কতল করল…
আমি হাততালি দিলাম।
কারণ আমারও অনুভূতি আছে।
তারপর তারা নাস্তিকদের কতল করল…
আমি কলেমা পড়ে নিজের আস্তিকতার প্রমাণ দিলাম।
কারণ আমারও ঈমান আছে।
তারপর তারা বিধর্মীদের কতল করল…
আমি লুঙ্গি উঁচিয়ে ঈমানদণ্ড দেখিয়ে দিলাম।
কারণ আমারও খৎনা আছে।
তারপর তারা মডারেটদের কতল করল…
আমি দাড়ি-টুপি রেখে পাক্কা মুমিন হলাম।
কারণ আমারও হুরের লোভ আছে।
তারপর তারা ভিন্ন ফেরকার ধার্মিকদের কতল করল…
আমি তাদের দলে ভিড়ে কতলে অংশ নিলাম।
কারণ আমারও জানের ভয় আছে।
তারপরও তারা আমার হাতের তালু কেটে নিল…
কারণ প্রথমে হাততালি দিয়েছিলাম, যা হারাম…
৫.
– মদীনা সনদ অনুযায়ী চললে নাকি দেশ শান্তিতে থাকবে? অথচ ফারাবি গং সরাসরি নাস্তিকদের কতল করার হুমকি দিচ্ছে।
– মদীনা সনদে নাস্তিকদের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
– প্রতিনিয়ত হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নির্যাতিত হচ্ছে।
– মদীনা সনদে হিন্দুদের নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
– আদিবাসীদের নিয়ে কিছু আছে? তাদের উপর চলছে দমন-নিপীড়ন।
– মদীনা সনদে আদিবাসীদের নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
– তাহলে কাদের নিয়ে বলা হয়েছে?
– মুসলিম, মদীনায় তৎকালীন সময়ে বসবাসরত কয়েকটি গোত্র আর ইহুদীদের নিয়ে।
– বাংলাদেশে তো সেসব কোনো গোত্র বা ইহুদী নেই!
– তাতে কী? মুসলিমরা তো আছে।
– তাহলে বাকিদের অধিকার?
– সকল অধিকার সংখ্যাগরিষ্ঠের।
– কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতা?
– ধর্মনিরপেক্ষ হইলে কি আর মদীনা সনদ দিয়ে দেশ চালাতে হয়? সব ধর্মেই তো কম-বেশি শান্তির বাণী আছে। সরকার পারবে সেসবের উদাহরন দিতে? মদীনা সনদের কথা বলা মানেই তো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা মেনে নেওয়া। এর মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতা থাকে কীভাবে?
Leave a Reply