লিখেছেন সাদিয়া সুমি
১৬.
একেকটা মানুষ হচ্ছে একেকটা কম্যুনিটি। সেই কম্যুনিটিতে বাস করে প্রায় পাঁচ কোটি কোটি জীব, যারা সকলে এককোষী। আর ঐ কম্যুনিটির পরিচালক হচ্ছে স্বয়ং মানুষটি। সবগুলি এককোষী জীব মারা গেলে ঐ কম্যুনিটির অবলুপ্তি হয়। অর্থাৎ মানুষটি মারা যায়। সুতরাং মানুষ কোনো একক প্রাণী নয়। কোন মানুষ মারা গেলে বুঝতে হবে পাঁচ কোটি কোটি জীব মারা গেছে। জীবসত্তা হচ্ছে স্নায়ুকোষের তৈরি কর্মকাণ্ড। এই স্নায়ু কোষগুলিই অন্য কোষগুলিকে বিভিন্ন নিউরো ট্রান্সমিটারের দ্বারা নিয়ন্ত্রন করে এবং দেহের কথা বলা, শোনা, খাওয়া, চিন্তা করা ইত্যাদি কাজগুলি প্রয়োজন অনুসারে করে থাকে। সকল কর্মকাণ্ডের সমন্বয়ও এই স্নায়ু কোষেরাই করে থাকে। এখানে ঈশ্বর বা অতিজাগতিক শক্তির কোনো অস্তিত্ব নেই।
১৭.
যা কিছু চোখে দেখি, ঈন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করি, যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করি – তা-ই সত্য। সত্য কখনো বিশ্বাসনির্ভর হয় না।
১৮.
গরুছাগল জবাই করতে হলে আল্লার নাম নিয়ে দোয়া পড়তে হয়। অথচ মাছ জবাই করতে গেলে তা লাগে না। তার মানে কি মাছের জীবন নেই?
আরেকটা কথা: দোয়া পড়ে জবাই করলে কি কষ্ট কম লাগে?
১৯.
আল্লার কাছে আমাকে কেন মুনাজাত করতে হবে? তিনি কি জানেন না, কখন আমার কী দরকার? তিনি নাকি সবজান্তা। আমার কোনো মতামত না নিয়েই তিনি আমাকে তৈরি করেছেন। সুতরাং আমার ভালমন্দ দেখার দায়িত্ব এককভাবে তাঁর। আমাকে ফকিরের মত তার কাছে চাইতে যেতে হবে কেন?
২০.
যখন মুসলিম ছিলাম, তখন অমুসলিমদের মানুষই মনে করতাম না। আমাকে শেখানো হয়েছিল তাদের ঘৃণা করতে। ইসলাম ত্যাগ করার পর আমি এখন পৃথিবীর সকল মানুষের [রাজাকার ও ছাগু বাদে] প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শিখেছি।
Leave a Reply