১.
তাজ্জিব কথা! আল্যাফাকের সবচেয়ে পেয়ারের দেশ, তার প্রিয়তম বান্দার জন্মস্থান চৌদি আজবেও নাস্তিকদের উপস্থিতি কম নয়। পৃথিবীর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জরিপকারী সংস্থা গ্যালপ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালেই সেখানে নাস্তিকদের সংখ্যা ছিলো শতাংশের হিসেবে আমেরিকা বা ইয়োরোপের কিছু অঞ্চলের মতোই! এখানকার নাস্তিকদের ‘জঙ্গিত্ব’ লক্ষ্য করার মতো – তারা কোরানের পাতা ছিঁড়ে বা তার ওপরে পা রেখে ছবি তুলে ইন্টারনেটে প্রকাশ করে। Proud to be Athesit লেখা কাগজ হাতে ধরে কাবার প্রেক্ষাপটে তোলা তেমন একটি ছবি যথেষ্ট প্রচারও পেয়েছে। সচিত্র রিপোর্ট।
২.
সমগ্র আরব জাহানে নাস্তিক্যবাদের উত্থান সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট। আর এখানে পড়ুন ইরাকের নাস্তিকদের কাহিনী। মিশরও পিছিয়ে নেই। আরেকটি রিপোর্ট।
৩.
আমেরিকার মতো ধর্মকবলিত দেশেও ধর্মবিশ্বাসীর সংখ্যা কমে আসছে দ্রুত এবং এর পেছনে প্রধান কারণ ইন্টারনেট। আরেকটি রিপোর্ট বলছে – আমেরিকাতে ধর্মের দাপট দুর্বল হয়ে পড়ছে আশাতীত দ্রুত গতিতে।
৪.
বিভিন্ন সূত্রমতে, আমেরিকায় নাস্তিকের সংখ্যা শতকরা ১০ থেকে ২০ শতাংশ। তো আমেরিকার জেলখানাগুলোয় সেই অনুপাতে অর্থাৎ ১০ থেকে ২০ শতাংশ নাস্তিক থাকার কথা, তাই না? কিন্তু দেখা যাচ্ছে, আমেরিকান কয়েদিদের মধ্যে মাত্র ০.০২ (০.২০-ও নয়) শতাংশ নাস্তিক। নৈতিকতাহীন নাস্তিকদের পারফরম্যান্স এতো খারাপ কেনু?
৫.
ছিলো চার্চ, হয়ে গেল প্যানকেকশালা। সেই ১৯৭৯ সাল থেকে। অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে। তিনটি ছবি দেখুন।
৬.
পশ্চিম ইয়োরোপের অন্যতম ধর্মদুর্গত দেশ হিসেবে পরিচিত আয়ারল্যান্ডেও আশাব্যঞ্জক হারে হ্রাস পাচ্ছে ধর্মের প্রভাব। ডাবলিনের Trinity College-এর (নামটাই বাইবেলগন্ধী) বর্তমান নাম বদল করে রাখা হবে the University of Dublin. এ ছাড়া কলেজের ক্রেস্ট থেকে সরিয়ে ফেলা হবে বাইবেল।
৭.
প্রাথমিক স্কুলে ধর্মশিক্ষার জন্য নির্ধারিত সময়টুকু রিডিং ও অংক শিক্ষার পেছনে ব্যয় করা উচিত বলে ঘোষণা করেছেন আয়ারল্যান্ডের শিক্ষামন্ত্রী।
৮.
ধর্মের সমস্ত প্রভাব দূর করে ইথিওপিয়ার একটি দরিদ্র গ্রাম দ্রুত সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠে ধর্মসঙ্কুল প্রতিবেশী গ্র্রামগুলোর ভেতরে শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব জাগিয়ে তুলেছে। এ আর নতুন কী! হিংসা, ঈর্ষা আর শত্রুতাই অসহায় ও অক্ষম ধর্মবিশ্বাসের অন্যতম অস্ত্র।
৯.
সামাজিক মিডিয়াগুলোর প্রভাবে নাস্তিক্যবাদের পথে আসছে লক্ষ-কোটি মানুষ।
সামাজিক মিডিয়াগুলোর প্রভাবে নাস্তিক্যবাদের পথে আসছে লক্ষ-কোটি মানুষ।
১০.
ঈমান দুর্বল হয়ে আসছে কানাডীয়দেরও। ধর্মবিশ্বাস হারাচ্ছে তারাও।
Leave a Reply