১.
ভোরে ঘুম থেকে উঠতে পারেনি বলে ছয় বছর বয়সী মাদ্রাসা-ছাত্রকে মাদ্রাসা-শিক্ষক ছ্যাঁকা দিয়েছে লোহার দণ্ড দিয়ে। হায়! শিশুদের কিছুতেই রেহাই নেই এদের হাত থেকে। হয় ঈমানদণ্ড, নয় লোহার দণ্ড…
২.
অন্ধকারকে আরও প্রবলভাবে আলিঙ্গনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রুনেই। সে দেশে পরনারী- বা পরপুরুষগমনের শাস্তি – পাথর ছুঁড়ে মৃত্যুদণ্ড, চুরির সাজা – হাতের কব্জি কর্তন ও ইত্যাকার শরিয়া আইনসম্মত শাস্তি সরকারীভাবে প্রয়োগ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
৩.
নিচের খবরটা পড়ে জানতে কৌতূহল হলো: এই চুতিয়ার মাইন্ডসেটটাই জঙ্গি-টাইপ বলে সে ধর্মান্তরিত হয়ে মুছলিম হয়েছে? নাকি মুছলিম হবার পরে তার মাইন্ডসেট বদলে সে জঙ্গিতে পরিণত হয়েছে?
৪.
১৯ জনকে হত্যা করে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে আরও এগিয়ে গেল নাইজেরিয়ার ইছলামীদের দল।
৫.
বাগদাদে একটি শান্তিময় আত্মঘাতী বোমা হামলায় মারা গেছে কমপক্ষে ৩৮ জন।
৬.
পৃথিবীর সবচেয়ে শান্তিময় দেশ ফাকিস্তানে ট্রেন হামলায় শান্তিবিরোধী ৭ জনকে পরপারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
৭.
মিসরের এক চার্চে চলছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। সেখানে হামলা চালিয়ে ২ জন শিশুসহ চারজনকে হত্যা করার মাধ্যমে খ্রিষ্টানদেরকে শান্তির পথে আসার দাওয়াত দিলো ইছলামীরা।
৮.
সরকারী গুপ্তচর সন্দেহে আট ও দশ বছরের দুই বালককে হত্যা করেছে ইছলামী তালেবানরা।
৯.
“বোন, তুমি বেহেশতে যাবে” – এমন প্রতিশ্রুতি পেয়ে একশো বাহান্নজন পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হয়েছে যৌন জিহাদে অংশ নেয়া এক মেয়ে। মূল সংবাদের গুগল-অনুবাদ।
১০.
হালাল সেক্স শপ এবার প্যালেস্টাইনে! অপেক্ষায় আছি, কবে হালাল পর্ন, হালাল হুইস্কি, হালাল বরাহমাংস পাবো…
১১.
চৌদি আজবে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি কল্পবিজ্ঞানকাহিনীর বিক্রি বন্ধ করার আদেশ দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞানভিত্তিক কল্পকাহিনীর এই বইটির বিষয়বস্তু: জ্বীনের সঙ্গে মানুষের প্রেম (হাসি চেপে রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে)! অবশ্য যে দেশে বিজ্ঞানের যেমন হাল, সে দেশের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী তেমন পদেরই হবার কথা, তাই না?
১২.
বর্তমানে পৃথিবীতে ‘অনার কিলিং’ বা পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে পরিবারে সদস্যকে হত্যার শতকরা নব্বই ভাগেরও বেশি সংঘটিত হয় মুছলিম সমাজে। এবং কলঙ্ক-আনয়নকারীরা অবধারিতভাবে সব সময়ই মেয়ে। ছেলেরা কি কখনও পরিবারের কলঙ্কের কারণ হতে পারে? অবশ্যই না। এই যেমন, প্যালেস্টাইনে এক পিতা সমাজের দাবির মুখে নিজ হাতে হত্যা করেছে তার কন্যাকে।
১৩.
ফাকিস্তানেও এক পিতা তার কন্যা ও কন্যার প্রেমিককে গুলি করে হত্যা করে নিশ্চিত করেছে তার পরিবারের সম্মান।
১৪.
পরিসংখ্যান অনুসারে, ছহীহ ইছলামী দেশগুলোয় ধর্ষণের সংখ্যা খুবই কম বলে নিরন্তর প্রচার চালায় ছাগুবাহিনী। কিন্তু ইছলামী আইন অনুযায়ী, চারজন পুরুষ সাক্ষী ছাড়া ধর্ষণের অভিযোগ করলে উল্টো ধর্ষিতাকেই শাস্তিভোগ করতে হয়, ফলে ইছলামী দেশগুলোয় ধর্ষিতারা নীরব থাকাটাই শ্রেয় মনে করেন – এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি ছাগুকুল উল্লেখ করতে ভুলে যায়। ইছলামী শাসনব্যবস্থায় ধর্ষিতার শান্তি পাবার উদাহরণ অগণ্য। এখানে আরও একটি।
(ওপরের সংবাদগুলো টাটকা নয়, আগে ফেসবুকে প্রকাশিত। তবে আর্কাইভজাত করে রাখতে এখানে আবার প্রকাশ করা হলো।)
Leave a Reply