লিখেছেন লুক্স
৩৮১.
চিন্তা কইরা দেখলাম-আমি শফী হুজুরের পক্ষে; তিনি বুজুর্গ মানুষ, সত্যি কথাই বলেছেন। এতো বড় হুজুর তো আর বানাইয়া বানাইয়া মিথ্যা কথা বলতে পারেন না। তাছাড়া তিনি নাস্তিকগো সামান্য কল্লা-ই তো চাইছেন, চোখ তো আর চান নাই।
শফী হুজুর ভুল কথা বলেছেন, বাংলা ভাই আর শায়েখ রহমান ঠিক পথে ছিলেন না, বিন লাদেন ইসলামের শত্রু ছিলেন – এসব মিথ্যা কথা বইলা মডারেটগো মতো ইসলামরে বিকৃত করার বদনাম মাথায় নিতে পারবো না। হাতের কাছেই কোরান-হাদিস; খামোখা শফী হুজুর, বাংলা ভাই আর বিন লাদেনগো দোষ দিয়া লাভ কী? যতো দোষ মধ্যযুগে আরবের গুহায় বইস্যা লেখা ঐ একখান বইয়ের। ঐ কচুর বইখান ব্যান কইরা দিলেই তো ঝামেলা শেষ হইয়া যায়।
৩৮২.
হিন্দুদের ঘরবাড়ী পোড়ানোতে মুসলমানদের মায়াকান্না আমার সহ্য হয় না, যেখানে ইসলামই এ কাজের অনুমতি দিয়েছে।
৩৮৩.
এই বইটি পড়লে জানতে পারবেন:
– কোন নবী টানা চল্লিশ দিন জীবিত কবরে ঘুমাইয়া ছিলেন, কিন্ত নামাজ কাযা করেন নাই।
– কোন নবী মাছের পেটে থেকে পুরা রমজান মাস আল্লাহর জিকির করেছিলেন।
– কোন নবী টানা ২৫ বছর কিছু না খেয়ে আল্লাহর মোনাজাতে লিপ্ত ছিলেন।
– আরো জানতে পারবেন, কোন নবী ধ্যান করতে করতে পাথরের মতো শক্ত হয়ে গেছিলেন, আর ১০০ বছর পর ধ্যান ভাইঙ্গা লাফ দিয়া উঠিয়া দাড়াইলেন।
মাদ্রাসা শিক্ষকদের লেখা এই বইগুলো প্রকাশ্যে বিক্রি হয়। মাইক হাঁকিয়ে বিক্রি হয়। মানুষ কেনে, আর পড়ে পাগলও হয়। এই বইগুলো আর লেখকদের বিরুদ্ধে সরকারের কোনো আইন নেই, পুলিশের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, সচেতন মানুষের কোনো বাধাও নেই।
অথচ আপনি কোরানের অপবিজ্ঞান, অসঙ্গতি আর কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আধুনিক বৈজ্ঞানিক সমাধান দিয়ে একটি বই লিখুন, আমি নিশ্চিত সরকার আপনার বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে, পুলিশ আপনাকে পেটাবে আর জনগণ আপনাকে দেশ ছাড়া করবে।
৩৮৪.
আসলে নতুন জ্ঞান-বিজ্ঞান আর যুক্তির সামনে ভাববাদী ও ধর্মীও গোষ্ঠিগুলির হার অনিবার্য।
৩৮৫.
– আর যারা অবিশ্বাস করে আর আমাদের নিদর্শনসমুহকে মিথ্যারোপ করে, তারা দোজখবাসী। (কোরান ৫:১০)
– তার (অবিশ্বাসী) জন্য এই দুনিয়াতে রয়েছে লাঞ্ছনা, আর কিয়ামতের দিনে আমরা তাকে আস্বাদন করাব জ্বলা-পোড়ার শাস্তি। (কোরান ২২:৯)
– যারা আমাদের নির্দেশাবলীতে অবিশ্বাস করে, নিশ্চই তাদের আমরা অচিরে আগুনে প্রবেশ করাবো। যতবার তাদের চামড়া পুরোপুরি পুড়ে যাবে ততবার আমরা সেগুলো বদলে দেব তার পরবর্তে অন্য চামড়া দিয়ে যাতে তারা শাস্তি আস্বাদন করতে পারে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ হচ্ছেন মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞ্যানী। (কোরান ৪:৪৫)
হুমকি এই প্রকাণ্ড মিথ্যাকে একটা নাটকীয় গুরুত্ব প্রদান করে। আঘাতটা এতই তীব্র যে, একজন এ সম্পর্কে নির্বিকার থাকতে পারে না। একজন মানুষ কীভাবে এতটা নিশ্চিত হতে পারে যে, ঈশ্বর অবিশ্বাসীদের শাস্তি দেবেন? অথবা একজন মানুষ কীভাবে এতজনকে হত্যা করতে পারে শুধুমাত্র তাকে অবিশ্বাস করার জন্য?
Leave a Reply