যে কোনও ধর্মগ্রন্থ মানেই পরস্পরবিরোধী বাণীর খনি। এই যেমন, বাইবেল (শব্দটিতে এ-কারের বদলে আ-কার বসাতে গিয়েও নিজেকে সামলে নিলাম) নামের ঐশী কিতাবে মাত্র ৪৩৯ খানা পরস্পরবিরোধিতা আবিষ্কার করা গেছে। উৎসাহীরা এই তালিকা সম্বলিত দেড় মেগার পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্টে সর্বমোট বইয়ের সংখ্যা সাতাশ। তার মধ্যে চারজন লেখকের (মথি, মার্ক, লুক, জন) রচিত চারখানা বইয়ে বর্ণিত হয়েছে যিশুর জীবন, মৃত্যু ও পুনরুত্থানের গালগল্প। সেগুলোকে বলা হয় গসপেল (গসিপ বললে সঠিক হতো), যার অর্থ – শুভ সংবাদ। বাংলা বাইবেলে এই বইগুলোর নাম – মথি লিখিত সুসমাচার, লুক লিখিত সুসমাচার (ধর্মকারীর সিরিজ ‘লুক্স লিখিত সুসমাচার’-এর নামকরণের রহস্য অনেকের কাছে উন্মোচিত হলো নিশ্চয়ই)… ইত্যাদি।
তো এই চার লেখকের দেয়া অনেক তথ্যই বিস্তর বিভ্রান্তির জন্ম দেয়। এখন যেহেতু ইস্টারের মৌসুম, তাই এসবে ইস্টার অর্থাৎ মৃত্যুর পরে যিশুর আবার জীবিত হবার ঘটনা সংক্রান্ত তথ্যভিন্নতা বিষয়ে চমৎকার একটি নিবন্ধে চোখ বুলিয়ে নিন। বিশদ পড়ার বিশেষ প্রয়োজন নেই, শুধু নিবন্ধান্তে উল্লেখিত মাত্র ১৭ টি ‘তথ্যবৈচিত্র্য’ লক্ষণীয়।
Leave a Reply