সোশ্যালিজম-কমিউনিজম – এই শব্দগুলো উচ্চারণ করলে যে-দেশটির কথা আমাদের মাথায় আসে সর্বাগ্রে, সেটা রাশিয়া। সেই রাশিয়ায় এখন কী হাল কমিউনিস্ট পার্টির? মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদের আদর্শের কতোটুকু তারা ধরে রেখেছে তাদের চেতনা, বিশ্বাস ও কর্মকাণ্ডে? এসব নিয়ে পৃথক আলোচনা হতে পারে। তবে…
রাশিয়া-প্রবাসী মোকাম্মেল-এর পাঠানো ছবি ও সংবাদগুলো পড়ে ধারণা করা যায়, মার্ক্স-লেনিনের ধর্মসংশ্লেষহীনতার নীতিটি তারা একেবারেই বিসর্জন দিয়েছে।
রাশিয়ার কমিউিনস্ট পার্টির প্রধান গেনাদি জ্যুগানভ মার্ক্সবাদবিরোধী ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ধর্মবিশ্বাস ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব।
রাশিয়ার প্রধান কমিউনিস্ট চার্চে – নিবেদিতপ্রাণ খ্রিষ্টান হিসেবে
তিনি এমনকি এ-ও বলেছেন, যারা রাশিয়ার খ্রিষ্টান অর্থোডক্স চার্চের সমালোচনা করে, তারা রাশিয়ার শত্রু, এবং কমিউনিজমের মূলনীতি ও খ্রিষ্টান অর্থোডক্স প্রস্তাবিত বিশ্বাসের মধ্যে কোনও সংঘাত নেই। যিশুর শিক্ষা ও কমিউনিজম প্রস্তাবিত নীতিবোধগুলো পাশাপাশি রাখলে আপনি অবাক হয়ে এই দুয়ের মতৈক্য লক্ষ্য করবেন।
“ভেদাভেদ নেই যিশু আর মার্ক্সের দর্শনে”
এছাড়া তিনি মস্কোস্থ Cathedral of Christ the Savior-এ গেছেন এবং খ্রিষ্টীয় রীতিতে ভক্তি প্রকাশ করেছেন।
কমিউনিস্টের ধর্মবিশ্বাস – এটা এখন বাস্তবতা?
* পুণ্যবাণ ধর্মীয় ব্যক্তিদের মাথার ওপরে জ্যোতিশ্চক্র (nimbus বা halo) থাকে বলে বিশ্বাস করা হয়। ওপরের তিন ছবিতে রাশিয়ার প্রধান কমিউনিস্টের মাথার চারপাশের লাল বৃত্তটি তাঁর অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী নয় কিন্তু! এমনকি ওটি তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাসসূচক কোনও চিহ্নও নয়। স্রেফ তাঁকে চিনিয়ে দেয়ার জন্যে এই বৃত্তটি ব্যবহার করা হয়েছে।
Leave a Reply