১.
মুছলিম বুড়া ভাম কোনও কিশোরের ওষ্ঠচুম্বন করলে (উদাহরণ: ছবি ১, ছবি ২) ইছলাম তাতে সমস্যা দেখে না। তবে পুরুষের গালে নারী চুম্বন করলে সেটা শরিয়াবিরোধী। অতএব নারীকে জনসমক্ষে বেত্রাঘাত করতে হবে।
২.
নারীদের নিয়েই ইছলামে যতো সমস্যা। ইন্দোনেশিয়ার এক অঞ্চলে আইন করা হয়েছে: বিপজ্জনক হলেও মোটর সাইকেলে মেয়েদের বসতে হবে দু’পা এক পাশে দিয়ে। দু’পাশে পা দিয়ে বসলে মমিনীয় ঈমানদণ্ড নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে নিশ্চয়ই!
৩.
আমেরিকান বা ইয়োরোপীয় যাত্রীবহুল উড়ন্ত বিমানে হঠাৎ কোনও মুছলিম উঠে দাঁড়িয়ে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার করে উঠলে বাকি যাত্রীরা কীভাবে আঁতকে উঠবে, সেটা কল্পনা করতে পারেন? ঠিক তেমনই ঘটেছে আমেরিকার এক বিমানে। দু’মিনিটের ভিডিও-রিপোর্ট। এক সুইস বিমানেও ঘটেছে অনুরূপ ঘটনা।
৪.
উগ্র ‘মানবাধিকারতন্ত্র’ ইছলামকে নাকি পরীক্ষার মুখোমুখি ফেলে দিয়েছে, বলেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন অকপট সত্যটি, মানবাধিকার ইছলামপরিপন্থী। তাই মানবাধিকারের মতো মৌলিক ব্যাপারকে টিটকারি মেরে ‘তন্ত্র’ হিসেবে প্রচারের চেষ্টা তার।
৫.
ইছলামী জঙ্গিদের দল বোকো হারাম-এর কীর্তিকাণ্ডে আর যা-ই হোক মডারেট বা কট্টর মুছলিমদের কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। হয়তো প্রচ্ছন্ন বা নীরব সমর্থন আছে, কে জানে! এক দল ‘ইহা ছহীহ ইছলাম নহে’ বলে দায়িত্ব সেরে ফেলেছে, আরেক দল হয়েছে উটপাখি। অর্থাৎ প্রতিবাদ নেই কোনও পক্ষ থেকেই। থাকবেই বা কেন! নবীজির কার্টুন তো প্রকাশ হয়নি কোনও পত্রিকায়! হলে শ’দুয়েক লাশ ফেলে দিয়ে (২০০৬ সালে যেমন) সক্রিয় প্রতিবাদ জানাতে পারতো মুছলিমেরা। এখন বোকো হারামের এতোসব ঘটনার পরেও আমেরিকার মুছলিম সংগঠনগুলোও ‘ইহা ছহীহ ইছলাম নহে’ বাণী জিকির করছে। তাদের কথা যদি সত্যিই হয়, তাহলে গলা খুলে প্রতিবাদে এতো অনীহা কেন? গঠনা কী?
৬.
এক মুছলিম চিকিৎসা নিতে গেছে এক ক্যাথলিক হাসপাতালে। হঠাৎ করে চিকিৎসা-সেবা নেয়ার বাসনা তার উবে গেল। কারণ – হাসপাতালের দেয়ালে ক্রুশের আধিক্য। সে উপস্থিত এক নার্সকে বিনা কারণে বিচ, ফ্যাসিস্ট বলে গালিগালাজও করলো। সবই ছহীহ কাজ, কিন্তু একটা ব্যাপার বুঝলাম না, খ্রিষ্টানদের হাসপাতালে তাকে কে বলেছে যেতে? মহাকবিরাজ মহানবী বর্ণিত সর্বরোগহরী কালিজিরা কোনও কাজে দেয়নি? গুগল-অনুবাদ।
৭.
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে শান্তিকামী দুই মুছলিম দলের মহব্বত প্রবল আকার ধারণ করায় মসজিদটি বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
৮.
এদিকে ফাকিস্তানে এক মসজিদের নাম রাখা হয়েছে এক হত্যাকারীর সম্মানে। ব্ল্যাসফেমি আইন সংস্কারের আহ্বান জানানো রাজনীতিবিদকে হত্যা করে বীর বনে যাওয়া সেই ব্যক্তি এই সম্মানে ভূষিত হয়েছে। খুনি, হত্যাকারী, ধর্ষক, শিশুকামী, যুদ্ধবাজ ও ইছলাম ছাড়া সকল ধর্মবিদ্বেষী নবীর অনুসারীদের পক্ষে এমন কাজ নিশ্চিতভাবেই শোভন এবং নবীর প্রতি সম্মানসূচকও বটে।
৯.
নবীজি নয় বছর বয়সী মেয়ের সঙ্গে ছহবত করে কোটি কোটি মুছলিমের সবচেয়ে শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি বনে যেতে পারলে তারই উম্মত, এক মসজিদের ইমাম দশ বছর বয়সী মেয়ের সঙ্গে ছহবত করে প্রেপ্তার হবে কেন? সুন্নত পালন করা কি অপরাধ?
১০.
ইছলামবাজেরা ব্যাপক বিনোদনী সব ফতোয়া দেবে, কিন্তু সেসব নিয়ে হাসাহাসি করলে মুছলিমেরা মাইন্ড করে। মহাবিপদ! একটা ফতোয়ায় বলা হয়েছিল, মুছলিমদের জন্য মঙ্গলগ্রহে যাওয়া নিষেধ। তো এ নিয়ে দুই সুইস কমেডিয়ান মন্তব্য করেছিলেন যে, মঙ্গলগ্রহ ভ্রমণে মুছলিমদের প্রধান সমস্যা হবে: কাবা কোনদিকে অবস্থিত, সেটা বুঝে ওঠা সম্ভব হবে না। তবে মুছলিমদের জন্য সুবিধেও যে নেই তা নয়। যেমন, পাথর নিক্ষেপ করে হত্যার জন্য পাথরের অভাব সেখানে হবে না। শুনে ইছলামীরা মাইন্ড খেয়েছে। গুগল-অনুবাদ।
১১.
ইছলামের নবীর আরেক খাছ উম্মত, এক মসজিদের ইমাম, তার তিন অপ্রাপ্তবয়স্ক ভ্রাতুষ্পুত্রী/ভাগ্নির ওপরে যৌননির্যাতন চালিয়েছে। সবচেয়ে কৌতূহলোদ্দীপক ব্যাপার হচ্ছে, তার নিজের সন্তানেরাও তার যৌননির্যাতনের শিকার হয়েছে – এই মর্মে তার স্ত্রী অভিযোগ দাখিল করলে এই তিনজন মুখ খোলার সাহস পায়।
১২.
ফাকিস্তানে কোরান শিক্ষার স্কুলের শিক্ষক দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে জামাতে ধর্ষণ (হয়তো ভেবেছিল, জামাত করে ধর্ষণ করলে ২৭ গুণ বেশি ছওয়াব) করে ধরা পড়ে।
১৩.
ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ইছলামের সায়াতলে আনতে ইছলামী স্টাইলে অর্থাৎ শান্তিপূর্ণ উপায়ে জোরাজুরির মাধ্যমে ধর্মান্তরকরণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আহত হন এক নামাজী। ব্যাটায় মাইর তো খাবেই! ছওয়াব কামানোর সময় ডিশটাপ দিলে কার মেজাজ ঠিক থাকে?
১৪.
আরও এক ইমামদোবাজীর ঘটনা। মিষ্টি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে আট বছর বয়সী বালিকাকে মসজিদে নিয়ে এসে তার ওপরে চড়াও হবার সময় লোকজনের হাতে ধরা পড়ে যায় এক ফাকিস্তানী ইমাম।
১৫.
চেক প্রজাতন্ত্রের দুই-তৃতীয়াংশ লোক ইছলামকে ভয় পায়। নাহ্, চেকরা, দেখা যাচ্ছে, একেবারেই শান্তিকামী নয়।
১৬.
মানবজীবনে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক কোনও বাণী বা আহ্বান কোরান-হাদিসের কোথাও আছে কি? আমার জানা নেই। তবে জ্ঞানার্জনের-জন্য-সুদূর-চীন-দেশে যাবার উপদেশসূচক তথাকথিত হাদিসের কোনও অস্তিত্ব নেই কিন্তু। নিশ্চয়ই কোনও ইছলামবাজের মস্তিষ্কপ্রসূত বাণী এটা। তো ইছলাম যে শিক্ষাবিরোধী হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। যেহেতু নবীজি লেখাপড়া করেনি, তাই লেখাপড়া না করাটা নিশ্চয়ই সুন্নত। সঙ্গত কারণেই ইছলামী জঙ্গি দলগুলো সব সময়ই শিক্ষা তথা জ্ঞানবিরোধী। ধর্মব্যবসা সবচেয়ে ভালো চলে নূরানী অন্ধকারে। ফাকিস্তানের এক ইংরেজি স্কুল বন্ধের হুমকি দিয়েছে ইছলামী ষণ্ডরা।
১৭.
নবীজি নিজে ছিলো মরুদস্যু, ডাকাত। তার লুটতরাজ ও ডাকাতির অজস্র নিদর্শন পাওয়া যায় ইছলামী তথ্যসূত্রগুলোতেই। এখন কথা হচ্ছে, কোরানের আয়াত (সুরা ৫, আয়াত ৩৮) অনুযায়ী, তার হাত কেন কেটে ফেলা হয়নি? নাকি চুরি করলে হাত কাটা, তবে ডাকাতি সুন্নত? এদিকে তুচ্ছ ভেড়া চুরির কারণে তারই জন্মভূমি চৌদি আজবে দু’জনের হাত কেটে ফেলার আদেশ দিয়েছে আদালত।
১৮.
চৌদি আদালত আসলে এমনই। নিজের পাঁচ বছর বয়সী কন্যাকে ধর্ষণের পরে হত্যা করেও এক ইছলামবাজ আইনের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে যায়, কিন্তু Free Saudi Liberals নামের ওয়েবসাইটে চৌদি ইছলামী ব্যক্তিত্বদের সমালোচনার অপরাধে আদালত এক যুবকের শাস্তি নির্ধারণ করেছে: ১০ বছরের জেল, ১০০০ বেত্রাঘাত ও ২৬৬৬০০ ডলার।
১৯.
চৌদি তথা ইছলামী বিচারবিধির আরও একটি নমুনা। সর্বমোট ৩২ বছরের জেল ও ৪৫০০ বেত্রাঘাত – পাঁচজন পুরুষের জন্য এই শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। তাদের অপরাধ? না, খুন-ধর্ষণ-ডাকাতি-হত্যা এসব নয়। তাদের অপরাধ ছিলো, তারা উদযাপন করেছিলো ভ্যালেন্টাইন ডে।
২০.
ইছলামী জ্ঞানবিরোধিতার আরেকটি উদাহরণ: মালয়েশিয়ায় চার্লস ডারউইনের The Origin Of Species সহ বেশ কিছু বইয়ের অনুবাদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২১.
ইছলামী বেহেশত বিষয়ে বিল মার বলেছিলেন: Promising pussy in the afterlife is the lowest thing I’ve ever heard in my life. তবে এই প্রতিশ্রুতি প্রলুব্ধকর বলেই মনে হয়। হুর পরীর লোভ দেখিয়ে নির্মগজ (নির্ঘিলু-ও বলা যেতে পারে) গর্দভদের ইছলামের সায়াতলে আনা খুব কঠিন নয়, বোধহয়। এমন একটি উদারহরণ। তবে এই খবরের গর্দভটিকে কেন জানি মাত্র ৪৪ হুরের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। ৭২ নয় কেন? বাকি ২৮ টি হুর কি তাহলে কন্ট্রাক্টর অর্থাৎ মধ্যস্বত্বভোগীর পাওনা?
Leave a Reply