লিখেছেন সাদিয়া সুমি
৬৬.
কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় নিউইয়র্ক যাবে নাকি বেহেশতে যাবে, সে বলবে নিউইয়র্ক। তার কারণ, বেহেশতে যেতে হলে প্রথমত মরতে হবে, যেটা সে চায় না। দ্বিতীয়ত বেহেশত বিষয়টির উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণাদি একেবারেই নেই। তাই মানুষ বেহেশত চায় না, এই সুন্দর পৃথিবীতে অনন্তকাল বেঁচে থাকতে চায়। বেঁচে থাকার মত আনন্দের কোনোকিছু এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আর দ্বিতীয়টি নেই।
৬৭.
মুসলিমরা দাবি করে থাকে যে, তালিবান, বোকো হারাম, জামাত-শিবির সহিহ ইসলামিক না এবং তারা ইসলামধর্মকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে।
অথচ এই “ধর্মবিকৃতিকারী”দের বিরুদ্ধে মুসলিম সমাজের কোনো উচ্চবাচ্য নেই। তাদের উচ্চবাচ্য ও অভিশাপগুলো সবই তারা নিক্ষেপ করে তাদের ধর্মের ভুল ও অসঙ্গতি ধরিয়ে দেওয়া লেখক,অ্যাকটিভিস্ট, চিত্রশিল্পী এবং তার্কিকদের প্রতি, যারা নাকি তাদের ধর্মের ও ঈমানের ক্ষতি করছে।
৬৮.
মরুভূমিতে মহাসাগর খোঁজার মতই উদ্ভট হচ্ছে কোরানের মধ্যে বিজ্ঞান খোঁজা।
৬৯.
ধরা যাক, আল্লা আছেন। কিয়ামতের পর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসপ্রাপ্ত পৃথিবীর তো কোনো অবস্থান বা অস্তিত্বই নেই। সেখান থেকে কোটি কোটি বছর আগের মরে যাওয়া মানুষগুলোকে (যাদের কোনো অস্তিত্বই বর্তমান নেই) কবর ও চিতা থেকে উঠিয়ে পুনর্জীবিত করলেন। বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করালেন বেচারাদের। হাশরের ময়দানে (যেহেতু পৃথিবী ধ্বংসপ্রাপ্ত, কাজেই হাশরের অবস্থান আসমানের কোন একখানে হতে পারে) আল্লা বিচার করছেন। এদিকে সূয্যিমামা মাথার আধহাত ওপরে নেমে এসেছেন। তাপমাত্রা ২ লক্ষ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রায় সকল বস্তুই শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়। ফলে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো ও বিচারকের আসনে বসে থাকা আল্লা স্বয়ং নিজে শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে বিদ্যুত চৌম্বকীয় তরঙ্গ হয়ে উধাও হয়ে গেলেন। আমি ভীষণভাবে চিন্তিত, তখন কার বিচার কে করবে? হাশরের ময়দানটাও তো শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে উধাও হয়ে যাবে। তখন আমাদের প্রাণপ্রিয় আল্লার কি হবে? তখন কি আল্লার মৃত্যু হবে?
৭০.
মোহাম্মদ তার অনুসারীদের দরূদ পড়তে বলেছেন যেখানে সুপারিশ করা হয়েছে আল্লাহ যেন মোহাম্মদকে বেহেশতবাসী করেন। এতে বোঝা যায় তিনি বেহেশতে যেতে পারবেন কি পারবেন না, এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন না। তাই তার অনুসারীদের আল্লাহর কাছে দরূদ পড়ার মাধ্যমে সুপারিশ করতে বলেছেন, আল্লাহ যেন মোহাম্মদকে বেহেশত দান করেন।
Leave a Reply