(ধর্মকারী বরাবরই সিরিজময়। অতএব আরও একটি সিরিজের অবতারণা করা নিশ্চয়ই যায়েজ।
‘ইসলামী ইতরামি’ ও ‘লিংকিন পার্ক’ সিরিজে ধর্মান্ধদের কাণ্ডকারখানা সংক্ষেপে বর্ণনা করে লিংক ধরিয়ে দেয়া হয়। তো একদিন নিলয় নীল প্রস্তাব দিলেন, তিনি নানান ধর্মের ধর্মগুরু ও মোমিনদের ঘটানো কিছু কিছু কীর্তি সবিস্তারে লিখতে আগ্রহী। তিনি এমনকি অতি নিয়মিত লেখা দেয়ার হুমকিও প্রদান করেছেন। তাঁর হুমকিতে ভীত ধর্মকারী মাঝেমধ্যে তার অলিখিত আইনের (‘প্রথম পাতায় এক লেখকের একটির বেশি লেখা থাকবে না’) ব্যত্যয় ঘটাতে সম্মত হয়েছে।
সিরিজের নামে পাঁচটি বিশেষ্যপদ ব্যবহার করা হলেও শব্দসংখ্যা আসলে ন’টি: ধর্ম, কর্ম, কাণ্ড, কীর্তি, কাহিনী, ধর্মকর্ম, কর্মকাণ্ড, কাণ্ডকীর্তি ও কীর্তিকাহিনী।)
লিখেছেন নিলয় নীল
স্বামী উমরাহ্ পালন না করায় ৩৩ কুয়েতি নারীর তালাকের আবেদন
কথামতো সৌদি আরবের মক্কায় উমরাহ পালন করতে না যাওয়ায় কুয়েতের ৩৩ জন নারী তাদের স্বামীদের তালাক দেওয়ার আবেদন করেছেন। স্বামীদের সবাই মক্কায় উমরাহ পালন করতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরোয়। অথচ তা না করে তারা লেবাননে নববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। কুয়েতের একজন আইনজীবী এ তথ্য জানিয়েছেন।
আবদুল্লাহ আল শিবানি নামের ওই আইনজীবী বলেন, স্ত্রীদের কাছে মিথ্যা বলা ও তাদের সঙ্গে প্রতারণার কারণে অনেক পুরুষকে বিবাহিত জীবনের ইতি টানতে হয়। কুয়েতের আল সেয়াসাহ দৈনিকে ওই আইনজীবীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, চলতি বছর শুরুতে ৩৩ জন নারী আমার কাছে আসে তাদের স্বামীদের তালাক দেওয়ার আবেদন নিয়ে। ওই নারীরা এর কারণ ব্যাখা করে বলেন, তাদের স্বামীরা মক্কায় ওমরাহ পালন করতে যাওয়ার কথা বলে লেবাননে গিয়ে নববর্ষ উদযাপন করে।
শিবানি বলেন, দম্পতিদের কাছে বিবাহ একটি ফ্যাশন, বিবাহবিচ্ছেদের ব্যাপারটা সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি বলেন, বিবাহবিচ্ছেদকে দম্পতির মধ্যে একটা হাল ফ্যাশন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সামান্য কারণেও বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে কুয়েতে। বিবাহ নিবন্ধনকারীদের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই পত্রিকার খবরে বলা হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বামীরা স্ত্রীদের বিরুদ্ধে খুবই তুচ্ছ অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করে। যেমন, স্ত্রী তার স্বামীর অনুমতি না নিয়ে চুল রঙিন করলে বা স্ত্রীর মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরোলে। কুয়েতে বিবাহবিচ্ছেদ বেড়ে যাওয়ায় দেশটির ধর্মীয় নেতা এবং মানবাধিকার কর্মীরা এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
Leave a Reply