তফসির করেছেন খ্যাতিমান চটিপতি রসময় গুপ্ত
কোরান একটি হলেও তার তফসিরের সংখ্যা অগণ্য। সেসব পড়লে দেখা যায়, একজনের তফসিরের সঙ্গে আরেকজনের তফসিরের মিল তো নেইই, বরং সেগুলো প্রায়শই ভিন্ন অর্থবাহী ও ক্ষেত্রবিশেষে পরস্পরবিরোধীও। অনুমান করা দুরূহ নয় যে, তফসিরকারীরা যার যেভাবে খুশি আপন মনের মাধুরী মিশায়ে বিশ্লেষণ করেছে একেকটি আয়াত। তফসিরের সময় আমি অবশ্য মন নয়, তবে প্রায় ‘মন’-এর মতোই উচ্চার্য একটি প্রান্তিক অঙ্গ ব্যবহার করি। আর তাই কোরানের কোনও আয়াত পড়ে আমার ধনের ডগায় মাথায় যে-চিন্তাটি আসে, সেই চিন্তার বীজপাত ঘটাই তফসিরে। আমার তফসির আকারে ছোট হলেও দৃঢ় এবং ব্র্যাকেট-পরা অবস্থায় মূল সুরার ফাঁকে ফাঁকে ঢোকানো।
সূরা কোরাইশ
(মক্কায় অবতীর্ণ)
আয়াত সংখ্যা 4
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤـَﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম
করুণাময় (অর্থাৎ রসময়) , অতি দয়ালু (সেক্সি)।
ﻟِﺈِﻳﻠَﺎﻑِ ﻗُﺮَﻳْﺶٍ (1
কোরাইশের (যৌন) আসক্তির কারণে,
ﺇِﻳﻠَﺎﻓِﻬِﻢْ ﺭِﺣْﻠَﺔَ ﺍﻟﺸِّﺘَﺎﺀ ﻭَﺍﻟﺼَّﻴْﻒِ (2
(নারী) আসক্তির কারণে তাদের শীত ও
গ্রীষ্মকালীন সফরের।
ﻓَﻠْﻴَﻌْﺒُﺪُﻭﺍ ﺭَﺏَّ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟْﺒَﻴْﺖِ (3
অতএব তারা যেন এবাদত করে এই
(বেশ্যা) ঘরের পালনকর্তার
ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃَﻃْﻌَﻤَﻬُﻢ ﻣِّﻦ ﺟُﻮﻉٍ ﻭَﺁﻣَﻨَﻬُﻢ ﻣِّﻦْ ﺧَﻮْﻑٍ (4
যিনি তাদেরকে (যৌন) ক্ষুধায় (চার বিবি ও বাহাত্তর হুর দ্বারা) আহার
দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদেরকে
নিরাপদ করেছেন।
Leave a Reply