লিখেছেন কবীর উদ্দীন
৪২৬.
– নবীর শ্বশুর হযরত ওমর, করছিস তুই কী?
– নবীর বিবি করছে হিসু, পাছা দেখতেছি।
৪২৭.
গৌতম বুদ্ধের হৃদয় ছিল দয়ায় ভরপুর। সর্বজীবের প্রতি তার অপরিসীম দয়া ছিল। তাই তিনি মনুষ্য-সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছিলেন, নিজেদের উদরপূর্তির জন্য অন্য জীবদের হত্যা না করতে। তিনি মানুষদেরকে তৃণভোজী পশুদের মতন তৃণভোজী হয়ে জীবনপাত করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তখনও “উদ্ভিদের প্রাণ আছে” এটা আবিষ্কৃত হয়নি। গৌতম যদি জানতেন, উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে, আঘাতে তারাও ব্যথা পায়, তাহলে কি তিনি মানুষকে ইট, বালি, সিমেন্ট, পাথর, নুড়ি, প্লাস্টিক, লোহা, ইস্পাত, সোনা, রূপা, কয়লা, গ্যাস, মাটি, বই-খাতা-কলম, টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল, জামা-কাপড় ইত্যাদি জড়বস্তু খেয়ে জড়ভোজী হয়ে জীবন অতিবাহিত করতে বলতেন?
৪২৮.
লোকে রজঃস্রাব সম্পর্কে তোমাকে প্রশ্ন করে, বলো ওটা নাপাকী সুতরাং ঋতুবতীর কাছ থেকে দূরে থাকো এবং তাদের সাথে সংগত হয়ো না। পাক কোরান, ২;২২২
আল্যাপাক নারী-পুরুষসহ সবকিছু বানিয়েছেন। তিনি খুব পাক। এতই পাক যে, কথায় কথায় তার নামের সাথে সেটা উল্লেখ না করলে তার পাকতা হ্রাস পায়। তো পাক আল্যা তার তৈরি নারীর শরীরে এই নাপাক শারীরিক প্রক্রিয়াটি দিয়েছিলেন কোন নাপাক উদ্দেশ্যে? আবার পাক কোরানে তা উল্লেখ করেছেন! এই নাপাক কথায় কি কোরানপাকের পাকআ নষ্ট হয়ে যায়নি?
৪২৯.
আব্রাহামিক ধর্মগ্রন্থগুলি বলে, পুরুষের হাড় থেকেই নারীর জন্ম। যে-পুরুষ তার হাড় থেকে নারীর জন্ম দিয়ে থাকে, সে-পুরুষ কোন দুঃখে নিজে নারীর গর্ভে জন্ম নেয়?
নারী সন্তান ধারণ করে তার জঠরে। তার গর্ভেই একটু একটু করে বেড়ে ওঠে মানবশিশু। তার গর্ভ থেকেই জন্ম নেয় নারী ও পুরুষ। তবুও কেন অসংখ্য নারী বিশ্বাস করে, পুরুষের হাড় থেকে তাদের জন্ম?
৪৩০.
আল্ল্যা বলেছেন, তিনি নিরাকার। প্রশ্ন হলো, তিনি যে নিরাকার, এই কথাটি তিনি বললেন কেমন করে? কী দিয়ে? কথা বলতে মুখ লাগে। নিরাকারের মুখ থাকে কি? কিংবা কথা বলার জন্য যার মুখ থাকে, তাকে কি নিরাকার বলা যায়?
Leave a Reply