ছহীহ তর্ক-তরিকা

লিখেছেন বুদ্ধ মোহাম্মদ যীশু কৃষ্ণ

যেসব মুমিন ভাই নাস্তিকদের সাথে যুক্তিতর্কে না পেরে ব্লগ বা ফেসবুক থেকে পলায়ন করেন, তাঁদেরকে সাহায্য করতে আমি আছি। আজ আমি আপনাদের দেখাবো, কীভাবে যুক্তি ছাড়াই নাস্তিকদের কুপোকাত করবেন, এবং আপনার নিজের ও ধর্মের ইজ্জত কীভাবে বাঁচাবেন।

১. যখন দেখবেন কোনো নাস্তিক যুক্তির মাধ্যমে আপনার ধর্মকে বাঁশ দিয়ে ফেলেছে, তখনি তার পোস্টে মুরাদ টাকলা ভাষায় দীর্ঘ কমেন্ট (ল্যাদানো) শুরু করুন। এর কারণে সেই নাস্তিকের পক্ষে আপনার লেখা বোঝা কঠিন হবে, যতবার আপনি কমেন্ট করবেন, ততবারই মুরাদ টাকলা স্টাইলে। আর যখন সেই নাস্তিক ধৈর্য হারিয়ে অথবা বিরক্ত হয়ে আপনার ছাগ্লামি ও কথা বুঝতে না পেরে উত্তর দেয়া বন্ধ করবে, তখন মনে করবেন, জিত আপনার হয়েছে, ইসলাম কে আপনি রক্ষা করতে পেরেছেন।

২. যখন কোনো নাস্তিক কুরানের ভুলে ভরা আয়াত উপস্থাপন করবে, তখন তাকে বলবেন, সে যে কুরান পড়েছে, তা ইহুদীদের অনুবাদ করা। যদি সে মুসলিম অনুবাদকের কুরান থেকে ভুল দেখায়, তখন বলবেন, আরবিতে ছাড়া কোরানের অরিজিনাল অর্থ বোঝা সম্ভব নয়। যদি সে আরবি থেকে বাংলা বা ইংরেজিতে অনুবাদ করে উপস্থাপন করে, তখন তাকে বলবেন, একজন মোল্লা-মুফতি-আলেমের কাছে সাহায্য নিতে, যিনি তাকে ঐ আয়াত সম্পর্কে সব বুঝিয়ে দেবেন। চাইলে আপনি কোনো হুজুরের মোবাইল নাম্বার বা ঠিকানা দিতে পারেন। অথবা অনলাইনের ছাগুসম্রাটদের ব্লগ আর নোটের লিংক কপি-পেষ্ট করতে পারেন।

৩. যদি কোনো নাস্তিক হাদিস থেকে দয়ার খুনি নবীজির লজ্জাকর কীর্তির রেফারেন্স নিয়ে আপনার পাউরুটির মত তুলতুলে ঈমানে আঘাত করে, তখন আপনি বলতে পারেন, উহা জাল হাদিস। তা দিয়াও কাম না হইলে আপনে ২ নাম্বার ফর্মুলা ইউজ করবেন এবং সফলকাম হবেন (ইনশাল্লাহ)।

৪. আপনার বেহেস্তের হুর মিস করাতে পারে, এমন পোষ্ট পাওয়া মাত্রই আপনার ছাগু ব্রাদারহুডদের লিঙ্ক দিয়ে সেই পোস্ট পর্যন্ত নিয়ে যান এবং সবাই মিলে সেই নাস্তিকের যুক্তির বদলে অনবরত মা-বোন তুলে গালাগালি এবং ঠিকানা ফোন নাম্বার চেয়ে কল্লা ফেলাবার হুমকি দিয়ে তাকে থামাবার চেষ্টা করবেন। এতেও কাজ না হলে কোরানের হিপনোটাইজ মার্কা আয়াত কপি-পেস্ট করুন, যেমন – তাদের দিলে সিলমোহর মারা, উহারা (নাস্তিকেরা) মূর্খ, বধির, অন্ধ; উহাদের চোখ-কান-মুখ-দিল-অন্তরে আল্লাহ তালা-মোহর মেরে দিয়েছেন, তুমি যতই বুঝাও, উহারা ঈমান আনিবে না ইত্যাদি। অথবা সর্বশেষে বলতে পারেন, আল্লায় আপনার হেদায়েত করুক।

আপাতত এই ফর্মুলাগুলা দিয়া চালাইতে থাকেন, আগামীতে আরো পাইবেন।

সর্বশেষে ভুলেও ভুইলা যাইবেন না যে, আপনে একজন মুমিন। এবং মুমিনেগো অজুহাত বানাইতে টাইম আর টাকা লাগে না।