লিখেছেন শ্রোডিঞ্জারের বিড়াল
আজকে আমরা কোরানের আয়াত দেখবো।
সুরাহ আত তাকভীর (৮১:১৯)
আরবি উচ্চারণে:
Innahu laqawlu rasoolin kareem
বিভিন্ন বিখ্যাত ইসলামিক স্কলারের ইংরেজি অনুবাদ:
Sahih International:
[That] indeed, the Qur’an is the word of a noble Messenger.
Pickthal:
That it is indeed the speech of an illustrious messenger.
Yusuf Ali:
That this is verily the word of an honoured messenger;
Dr. Ghali:
Surely it is indeed the saying of an honorable Messenger.
বাংলা অনুবাদ:
নিশ্চয়ই এই কোরআন একজন সম্মানিত রসূলের বাণী।
এখন কোরানেই তো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে যে, কোরান একজন মানুষের অর্থাৎ মুহাম্মদ এর নিজের বানী।
তো মুমিনরা, আপনারা কেন এইটাকে আল্লাহর বাণী বলে চালাইতে চাইতেছেন, জানতে পারি?
আপনাদের জন্যে এটার কিন্তু অতি সহজ দুইটা সমাধান আছে।
প্রথম সমাধান:
“আমার খিদা লাগছে একথা বলেছে পিয়ন” এর মুমিনীয় মানে হইলো গিয়া – পিয়ন একটা চিঠি পাইছে, সেই চিঠিতে লিখা আছে যে চিঠি-প্রেরকের খিদা লাগছে, এখানে মূলত সেইডাই বুঝানো হইছে, যাদের মস্তিষ্কে উত্তম ছাগীয় ত্যানাপ্যাঁচানি নাই, তারা এইসব উচ্চমার্গীয় কথা বুঝবে না।
দ্বিতীয় সমাধান:
অন্য কোনো ছুরার আয়াত আইনা, সুরাহ আত তাকভীর ৮১:১৯ এই সুরাহ, এই সুরার উল্লিখিত আয়াতের মায়েরে বাপেরে ডাকিয়া অন্য কোন সুরা যেমন সুরা আল হাক্কা ৬৯:৪০ দেখাইয়া ছাগলা ত্যানা প্যাঁচাইয়া “মানি না মানি না, তালগাছ আমার” দাবি করে এবং কিছু ব্যক্তিগত আক্রমণ ও গালিগালাজ করলে সওয়াব পাওয়া যায়।
তৃতীয় সমাধান:
কোরানের আয়াতের মাঝে প্রায়ই নানা রকম ভুল, ভ্রান্তি ও অসঙ্গতি দেখা যায়, যেগুলা আয়াতের মাঝে ব্র্যাকেট দিয়ে অন্য কিছু লিখে সমাধান করতে হয়।
ধরেন, “গরু আকাশে উড়ে” লিখা থাকলে সেটাকে “গরু (বিমানে করে) আকাশে উড়ে” লিখে শুধরাইতে হয়।
ঠিক সেভাবে Innahu laqawlu rasoolin kareem-এর মাঝে আনীত, বাহিত, বা বর্ণিত এসব না থাকলেও এর অনুবাদে ব্র্যাকেট লাগিয়ে “নিশ্চয়ই এই কোরআন একজন সম্মানিত রসূলের (আনিত) বাণী” করে দিলেই মুমিনীয় ল্যাঠা খুব সুন্দরভাবে চুকে যায়।
এতএব ডিয়ার ছহি মুমিনস, এই তিন মেথডের যে কোনো এক মেথড কমেন্টে প্রয়োগ করুন, সুরাহ আত তাকভীর ৮১:১৯ কে মিথ্যা ও ভুল প্রমান করে দোজাহানের নেকি হাছিল করুন।
আমিন।
Leave a Reply