লিখেছেন বাংলার উসমান মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ ইসলাম
ভাবতে ডর লাগে, আমরা মুমিনরা যারা কেবল ধর্মকেই জীবন যাফনের নীতি নির্ধারক মুনে করি, তাহাদিগকে আল্লাহ যুদি মুক্ত কোইরা আদেশ করেন, যা এক সপ্তাহ চরে বেরাই খা, ধর্ম ছাড়া গুরাফেরা কর, তবে এই এক সফতাহে কি কি করি ফেলতাম আমরা মুমিনরা, তার একটা লিস্ট কারাসি:
হিজাব আইন না থাইকলে বরো বরো মেয়েসেলেরা সোটো সোটো সেলেমেয়েদের ড্রেস ফরি গারমেন্স, স্কুলে যাইত?মুমিনারা মাদ্রাসায় যাইত? ধান ক্ষেতে কাম কোইত্তে যাইত খাটি খাওয়া নারীরা? যার ফলে আমরা যারা সদ্য এক সপ্তাহের জন্য ইসলাম ধর্ম হইতে ছাড়াপ্রাপ্ত হয়েসি, তারা দেশের সমস্ত নারিদিগকে ধরি ধরি ধর্শন করি দিতাম? কারন আমরা মুমিনরা ত বিশ্বাস করি, পুরুশ নারী দিখা মাত্রই লালা ছাড়ি দিবে, নয়ত সে নিকি ফুরুষই না! আর আমরাই ত বলি বুকের ওলনা গলায় দেলে ত ধর্ষন ঘটবেই!
সুতরাং যাকে দিখা যাবে বুকে ওলনা গলায় ফরিহিত অবস্তায়, তাকে ৭১ এর পাকিস্তানি কায়দায় নির্মমভাবে বলতকার করা হবে।
এক সপ্তাহের জন্য ইসলাম ধর্ম ছাড়ি দেলে আমরা মুয়াজ্জিনরা ইন্দু বারির মেয়েদের মশজিদে ঢুকাই ভিতর থিকা খিল মারি দিব! কারন,ঐ এক সপ্তাহ ত আল্লাহ আমাগের গুনা লিখবেন না। কেননা আমরাই ত বলি থাকি ইসলাম না থাইকলে মানুশেরা শুদু পাপ আর পাপ করি যাইত।
বাংলাদেশের মানুষ এক সপ্তাহ ইসলাম থেকে মুক্তি ফাইলে সারা দেশে দুরনতিবাজি করবে,তাই না? জিনিস ফত্রের দাম বাড়াই দিবে,খাবারে ফরমালিন দিবে,ঘুষ খাইবে। এখন ত এইগুলা এদেশে ঘটে না,নাকি? হিহিহি
দেশে এখন খুন না হইলেও, ধর্ম-মুক্তির ঐ ১ সপ্তাহ জুড়িয়া দেশে খুন হইত, গুম হইত, মন্ত্রি সাহেব ৭৫ লক্ষ মারি দেয়ার ধান্দায় থাকত।
ইসলামবিহিন দেশে ফহেলা বৈশাখে আমরা রমনায় বুম ফুটাইতাম নিতান্তই দুষ্টামি করিয়া, মরুক কিসু সাদারন নিরিহ মানশ। এমনকি,দেশের কোনো বড় নেত্রির জনসভায় গ্রেনেড মারিতাম।
এখন ত আমরা আস্তিক, তাই বুম ফুটাই না,মানশ হত্যা করি না!
বার এ ডুকি সব মদ খাই ফেলতাম কারন এই ধর্মহীন সপ্তাহে আল্লাহ আমাদিগকে মনের খায়েশ মিটানির সুযুগ দিসেন।
সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় হাঁইটতাম আর মিছা কতা কৈতাম খালি। এখন ধর্ম ফালন করিয়া আমরা সাধু। প্রতিদিনের লেনদেনে শঠতামি করি না।
আসলে ভারতীয় উফমহাদেশের আমরা সকলেই ত মুমিন হই বা হিন্দু হই এক একটা পিশাচ। মন ও মননশীলতার চামড়া নিকষ কালো আন্ধার। তাই ধর্মের খোলস দ্বারা নিজেদের আসল রুপ ঢাকি রাখার ধান্দায় থাকি। তাই আমাগের ধর্মের প্রয়োজন।
Leave a Reply