(ইছলাম যেহেতু একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, তাই যৌনাঙ্গ জীবনব্যবস্থাও তাতে আছে। যৌনতা বিষয়ে মোমিন ও মোমিনাদের অনেকের মনেই নিশ্চয়ই নানাবিধ প্রশ্ন জাগে; সেসবের কোনও কোনওটার উত্তর হয়তো পাওয়া যাবে নিচের প্রশ্নোত্তরে। উত্তরগুলো দিয়েছেন, আমার ধারণা, মডারেট নামের সুবিধাবাদী কোনও মুছলিম। কারণ তাঁর দেয়া কিছু উত্তর স্পষ্টতই ইছলামসম্মত নয়।
সম্পূর্ণ অবিকলভাবে প্রকাশিত।
বি.দ্র. ৮ নম্বর প্রশ্নোত্তর মিস কইরেন না!)
নিম্নে ইসলামে যৌনতা সর্ম্পকিত কিছু প্রশ্নোত্তর তুলে ধরা হলোঃ
১. আমি স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করতে গেলে কী সামনের দিক থেকেই করতে পারবো? পিছন দিক থেকে করা যাবে?
– আপনি সামনে এবং পিছনে উভয় দিক থেকেই সঙ্গম করতে পারবেন। তবে সঙ্গম অবশ্যই যোনীপথ দিয়ে করতে হবে।
২. আমি শুনেছি পায়ূপথে সঙ্গম করা হারাম। কথাটা কি সত্যি?
– হ্যাঁ, এটি সত্যি। মহানবী (সঃ) পায়ূপথে সঙ্গম করা হারাম করেছেন।
৩. আমার স্বামী প্রায়ই আমার সাথে জোর করে সঙ্গম করে। কিন্তু তখন আমার সঙ্গম করার ইচ্ছা থাকে না। এক্ষেত্রে কী করণীয়?
– এক্ষেত্রে করণীয় যে, আপনি আপনার স্বামীকে বোঝান যে, আপনার ইচ্ছা না থাকলে তখন তার বিরত থাকাই উত্তম। কারণ, এতে দুজনই সঙ্গমের পূর্ণ আনন্দ লাভে ব্যর্থ হয়। তখন সেই সঙ্গমটা একপক্ষীয় হয়ে যায়।
৪. আমার স্বামী প্রায়ই আমাকে তার পুরুষাঙ্গ চুষতে বলে এবং আমার যোনী চুষতে চায়। কিন্তু আমার চুষতে ইচ্ছা করে না এবং আমারটাও চুষতে দেই না। খুব ঘৃণা লাগে। যদি গোপনাঙ্গ চোষা হয় তাহলে এতে কোন পাপ হবে কী?
– ইসলামে গোপনাঙ্গ চোষণ সম্পর্কে হাদিসে কোন সঠিক ব্যাখ্যা না থাকার ফলে এ আচরণকে হারামও বলা যাবে না, আবার হালাল ও বলা যাবে না। সুতরাং গোপনাঙ্গ চোষণের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ আপনাদের ওপর।
৫. আমার হস্তমৈথুন করার অভ্যাস আছে। এটা কী পাপ?
– ইসলামে হস্তমৈথুন সম্পর্কে হাদিসে কোন সঠিক ব্যাখ্যা নেই যে এটি হারাম নাকি হালাল। তবে যদি আপনি এটাকে পাপ মনে করে থাকেন তাহলে ধীরে ধীরে হস্তমৈথুনের অভ্যাসটি ত্যাগ করতে পারেন।
৬. ইসলামে একজন পুরুষ দুজন নারীকে একসাথে নিয়ে সঙ্গম করতে পারবে কিনা?
– যেহেতু ইসলামে একই লিঙ্গের দুজন ব্যক্তি একে অপরের গোপনাঙ্গ দেখতে পারবে না, সেক্ষেত্রে এ ধরণের সঙ্গমকে না বলাই ভালো।
৭. আমি এবং আমার স্ত্রী কী একসাথে গোসল করতে পারবো? এটা কি জায়েজ?
– হ্যাঁ, অবশ্যই পারবেন এবং এটি জায়েজ।
৮. আমি শুনেছি যে ইসলামে একে অপরের গোপনাঙ্গ দেখা নিষেধ। কিন্তু আমার স্বামী আমার গোপনাঙ্গের দিকে তাকিয়ে সঙ্গম করে। এতে কী কোন সমস্যা হবে?
– স্বামী-স্ত্রী একে অপরের গোপনাঙ্গ দেখতে পারবে। এতে কোন বাঁধা নেই, অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কোন পর্দা নেই। তবে স্ত্রীর গোপনাঙ্গের দিকে তাকিয়ে সঙ্গম করলে পুরুষের চোখের জ্যোতি কমে যায়।
৯. নিজেদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে অন্যদের সাথে খোলামেলা আচরণ করা কি ঠিক?
– না। এটি মোটেই ঠিক নয়। নিজেদের দাম্পত্য জীবনের কথা অন্যজনদের না বলাই ভালো। তবে চিকিৎসার প্রয়োজনে ডাক্তারের কাছে নিজেদের দাম্পত্য জীবনের কথা বলতে পারেন।
১০. সঙ্গম করার পূর্বে কী শৃঙ্গার (ফোরপ্লে) করা জরুরী?
– হ্যাঁ। কারণ পুরুষদের যৌনইচ্ছা হঠাৎ করে আসে আবার হঠাৎ করে চলে যায় কিন্তু নারীদের যৌনইচ্ছা আস্তে আস্তে করে আসে আবার আস্তে আস্তে করে যায়। তাই সঙ্গমের পূর্বে শৃঙ্গার করা জরুরী।
১১. সঙ্গম শেষে কী নারীদের গোসল করা জরুরী?
– হ্যাঁ। শুধু নারীদেরই নয়, পুরুষদেরও গোসল করে পবিত্র হয়ে নেয়া জরুরী।
১২. কনডম ব্যবহার করে কী জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যাবে?
– যেহেতু মহানবীর যুগে কনডম আবিষ্কার হয়নি, তাই সেসময়ের আরবের লোকরা আল-আযল পদ্বতি ব্যবহার করতো, অর্থাৎ বীর্যপাত হওয়ার আগে যোনীপথ থেকে পুরুষাঙ্গ বের করে বীর্যপাত করতো। তবে যে আত্না আসার, সেটা আসবেই। তা যতই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্বতি অবলম্বন করা হোক না কেন। তাই কনডম ব্যবহার করে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা আর না করা সেটা সম্পূর্ণ আপনাদের ব্যাপার।
১৩. আমার মাসিকের সময় আমার স্বামী প্রায়ই পায়ূপথে সঙ্গম করতে চায়। কিন্তু আমি বাঁধা দেই। আমি জানি যে, মাসিকের সময় এবং পায়ূপথে সঙ্গম করা হারাম। তবে স্বামী-স্ত্রীর জন্য এ আইন শিথিল কিনা?
– না। সঙ্গমের ক্ষেত্রে এ দুটো বিষয় কখনোই শিথিল নয়। এ দুটি বিষয় সম্পর্কে ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
১৪. স্বামী-স্ত্রী কি একে অপরের শরীরের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করতে পারবে?
– হ্যাঁ। এতে কোন সমস্যা নেই।
১৫. ইসলামে সঙ্গমের জন্য কি কোন নির্দিষ্ট আসন রয়েছে?
– না। আপনি যেভাবে ইচ্ছা বা যে আসনে সঙ্গম করলে আপনাদের সুবিধা হয় সেসব আসন অবলম্বন করতে পারেন।
১৬. যেহেতু মাসিকের সময় সঙ্গম নিষেধ, সেক্ষেত্রে কী শৃঙ্গার করা যাবে?
– চাইলে শৃঙ্গার করতে পারেন, তবে তা চুম্বন, স্তন চোষা এবং টিপ দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ব রাখবেন।
১৭. আমার স্বামী আমার স্তনের বোঁটা চুষে এবং স্তন টিপে। এটা কী জায়েজ?
– হ্যাঁ। এটি অবশ্যই জায়েজ। তাছাড়া স্তন টিপলে প্রাকৃতিকভাবেই আপনার স্তন বড় হবে।
১৮. আমি কী আমার স্ত্রীর স্তনের দুধ খেতে পারবো? এটি কী জায়েজ?
– না। এটি জায়েজ নয়। যদি আপনি ইচ্ছা করে খান, তাহলে আপনার স্ত্রী আপনার জন্য হারাম হয়ে যাবে। তাছাড়া স্তনের দুধ শুধুমাত্র সন্তানের জন্য, স্বামীর জন্য নয়।
১৯. সঙ্গমের সময় শরীরে কী একটু হলেও কাপড় রাখা উচিত?
– এটি রাখলে ভালো। তবে চাইলে পুরোপুরি উলঙ্গ হয়েও সঙ্গম করতে পারেন। সেটা আপনাদের ব্যাপার।
২০. স্বামী-স্ত্রী কী উলঙ্গ হয়ে বিছানায় শয়ন করতে পারবে?
– হ্যাঁ। এতে কোন সমস্যা নেই।
(লিংক পাঠিয়েছেন টোস্টার)
Leave a Reply