হুমায়ুন আজদের ‘আমার অবিশ্বাস’ নামের বইটা পড়তে শুরু করেছিলাম বেশ আগে। ধর্মকারী তখন স্থগিতাবস্থায়। কিন্তু কিছুদূর পড়ার পরে লক্ষ্য করলাম, বইটিতে উদ্ধৃতিযোগ্য ছত্রের ছড়াছড়ি। পড়া তখনই থামিয়ে দিয়ে স্থির করলাম, ধর্মকারী আবার সচল হলে ধর্মকারীর পাঠকদের (অনেকেরই বইটা পড়া আছে, জানি, তবুও…) সঙ্গে টাটকা পাঠমুগ্ধতা ভাগাভাগি করবো। তাই পড়তে শুরু করলাম আবার। বিসমিল্যা।
৪৪.
ধর্মকে শ্বাশত সর্বজনীন মনে করার একটা চাপ রয়েছে; তবে ধর্ম শ্বাশত নয়, সর্বজনীনও নয়। কোনো ধর্ম নেই, যা মানুষের শুরু থেকে চলে এসেছে, ও চিরকাল চলবে; কোনো ধর্ম নেই, যাতে বিশ্বাস করে সবাই।
৪৫.
অনেক সত্য আছে, যা সবাই শুধু বিশ্বাস নয়, স্বীকার করে; কিন্তু বিশেষ একটি ধর্ম ও তার বিধাতায় বিশ্বাস করে শুধু ওই ধর্মের মানুষ। অন্য ধর্মের মানুষের কাছে তা হাস্যকর ও, অনেক সময়, ঘৃণার বিষয়।
৪৬.
মানুষ মর্মমূলে ধর্মবিরোধী, মানুষের পক্ষে বেশি ধর্ম সহ্য করা অসম্ভব; – ধার্মিকেরাও যতোটা ধার্মিক তার চেয়ে অনেক বেশি অধার্মিক। মানুষের সৌভাগ্য মানুষ বেশি ধর্ম সহ্য করতে পারে না, তাই বিকাশ ঘটেছে মানুষের।
৪৭.
বেশি ধর্মে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে, ধার্মিক মানুষ অসুস্থ মানুষ।
৪৮.
মানুষ যদি আপাদমস্তক – চব্বিশ ঘণ্টা, তিরিশ দিন, বারো মাস – ধার্মিক প্রাণী হতো, আজো তাহলে থাকতো আদিম অবস্থায়।
Leave a Reply