লিখেছেন: সাব্বির হোসাইন
২০০৮ সাল:
এক অস্ট্রেলীয় নারী অভিযোগ করেন, একদল দুর্বৃত্ত তাঁকে ওষুধ খাইয়ে গণধর্ষণ করে।
ফলশ্রুতিতে, আদালত ওই নারীকে ১১ মাসের কারাদণ্ড দেয়।
২০১০ সাল:
এক ব্রিটিশ নারী অভিযোগ করেন, দুবাইয়ের হোটেলের এক কর্মচারী তাঁকে ধর্ষণ করেছে।
ফলশ্রুতিতে, আদালত ওই নারীকে বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্কের কারণে কারাদণ্ড দেয়।
২০১২ সাল:
এক ব্রিটিশ নারী অভিযোগ করেন, দুবাইয়ে তিনজন পুরুষের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
দুবাইয়ের আদালত উল্টো তাঁকে মদ্যপানের অভিযোগে অর্থদণ্ড দেয়।
২০১৩:
এ বছরের মার্চে, ২৪ বছর বয়সী নরওয়েজীয়ান আর্কিটেক্ট মারতে দেবোরা দালেলভ দুবাইয়ে নিজ হোটেল কক্ষে সহকর্মী দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন।
দেবোরা দুবাই পুলিশকে বিষয়টি জানালে, তারা দেবোরাকে বিবাহ-বর্হিভূত যৌন-সম্পর্কের দায়ে চারদিন জেলে আটকে রাখে।
পরবর্তীতে, ১৭ জুলাইয়ে, দুবাই আদালত দেবোরার অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারের রায় ঘোষনা করে।
রায়ে বলা হয়:
* “দেবোরার ধর্ষককে” মদ্যপান ও বিবাহ-বর্হিভূত যৌন সম্পর্ক করার অপরাধে ১৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
* “দেবোরাকে” অনৈতিক যৌন সম্পর্ক স্থাপন, ভুয়া জবানবন্দি প্রদান ও মদ্যপানের অপরাধে দুবাইয়ের আদালত ১৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়।
সেলুকাস! সেলুকাস!! সেলুকাস!!!
দুবাইয়ে ভিক্টিমকে সাজা দেয়া হলো এবং কালপ্রিটটির চেয়ে বেশি সাজা দেয়া হলো…
আমার মাথায় কিছু আসছে না…
দুবাই তথা, আরব-আমিরাত সভ্য কোন রাষ্ট্র নাকি, হিরক-রাজ্য…!? !? !?
Leave a Reply