লিখেছেন আল্লামা নাস্তিক
জান্নাত কী? জান্নাত চিরশান্তির জায়গা।
কারা জান্নাতী হবে? যারা আল্লাহর নির্দেশ পালন করবে, তারাই জান্নাতী হবে।
আসলেই কি তাই? মনে হয় না, আসুন একটু পর্যালোচনা করি।
পুরুষ এবং নারী আল্লাহর দুই সৃষ্টি। দুই জাতিই আল্লাহর সন্তুষ্টির চেষ্টায় জীবন পারি দেয়, এবাদত করে। কিন্তু ফলাফল কী? পুরুষ জান্নাতীরা পাবে ৭২ টা করে হুর।
আর নারী জান্নাতীরা? তারা সেই পৃথিবীর বিবাহিত স্বামী। তারা যেমন পৃথিবীতে অবনত মস্তকে জীবন পার করছে, জান্নাতেও তেমনি অবনত মস্তকেই থাকতে হবে। নারী অধিকারের কথা এখানে অপ্রাসঙ্গিক।
তারা পৃথিবীতে যেমন স্বামী খেদমতে জীবন পার করছে জান্নাতেও তেমনি স্বামী খেদমতেই কাটাতে হবে। আরো খেয়াল করুন, হুর-গেলমান শুধু পুরুষ জান্নাতীদের জন্যই তৈরি হয়েছে।
আমরা সবাই জানি, শিশুরা নিষ্পাপ। এখন লক্ষ্য করুন, কিছু কিছু ইসলামী স্কলার মতামত দিচ্ছে, হুর হলো সেই মেয়েরা, যারা বালেগা হওয়ার পুর্বেই মারা গেছে, এবং যাদের পিতামাতা চিরস্থায়ী জাহান্নামী। দয়ালু আল্লাহ সেই বালেগা মেয়েদের হুর রুপে তৈরি করবেন শুধু জান্নাতীদের মনোরঞ্জনের জন্য। আর সেই সব বালক, যারা বালেগা হওয়ার পুর্বেই মারা গেছে, তাদেরকে আল্লাহ গেলমান বানিয়ে দেবে জান্নাতীদের সেবা করার জন্য। কোনো শিশুই কিন্তু জান্নাতী হবে না। তারা শুধু সেবা দাস-দাসী রুপে জান্নাতে অবস্থান করবে।
এসব কথা আমাদের সবারই জানা। জান্নাত ও জাহান্নাম একটা ভুয়া কাল্পনিক বিষয়, মহা নবী নিজেই এই জান্নাত নামের প্রলোভনের জন্ম দিয়েছে তার অনুসারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য। এবং তার একমাত্র লক্ষ্যই ছিলো শক্তসমর্থ পুরুষগুলো, যারা যুদ্ধ করতে পারবে; যারা তাকে দেশ দখলে সাহায্য করতে পারবে।
নাহলে সেই জান্নাতে পুরুষের প্রাধান্য কি বেশি হয়ে যাচ্ছে না? পুরুষ ছাড়া নারী বা শিশুরা সেখানে জান্নাতী হবে না। হবে পুরুষের খেদমতদার। জাহান্নামে শাস্তির বেলায় তো নারী-পুরুষ সমান, তাহলে জান্নাতের বেলায় এই বৈষম্য কেন?
Leave a Reply