লিখেছেন রহমান পৃথু
জাকির নায়েকের মিথ্যা কথা শুনলে গা জ্বালা করে।
লক্ষ্য করবেন, “ইউরোপ, আমেরিকা, চীন, জাপানে নারীদের কোনো অধিকার নেই, তাঁরা প্রতিনিয়ত যৌননির্যাতনের শিকার” – তিনি ও তাঁর শিষ্যরা এমন মিথ্যা কথা নিয়মিত প্রচার করেন।
এবং তাঁরা বোঝানোর চেষ্টা করেন, সব অধিকার একমাত্র কুরানে, মুসলিম দেশের নারীরা এই মর্যাদা উপভোগ করেন, সৌদি আরবের নারীরা ভাল আছেন… ইত্যাদি।
মিথ্যা বলে ইসলামের কৃতিত্ব জাহির করাই এদের কাজ। মুসলমানদের ঈমান টিকে আছে মিথ্যার উপর।
একবার চিন্তা করে দেখুন:
নিউইয়র্ক, লন্ডন, প্যারিসের নারীদের যদি সৌদি আরবে বসবাসের প্রস্তাব দেয়া হয় – কেউ কি তা গ্রহণ করবে?
কিন্তু সৌদি আরব, পাকিস্তান, ইরান, আফগানিস্তানের মেয়েদের নিউইয়র্ক, প্যারিস, লন্ডনে বসবাসের সুযোগ দেয়া হোক – হলফ করে বলতে পারি – এক দিনে সব মুসলিম দেশের নারী উজাড় হয়ে যাবে।
কুরানে ‘ধর্ষণ’ নামের ধারণাটির কথাই উল্লেখ নেই এবং সঙ্গত কারণেই ধর্ষণের কোনো শাস্তির বিধানও নেই সেখানে।
সম্ভবত, এ কারণেই সৌদি আরবে বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, থাইল্যন্ডের গৃহপরিচারিকারা যৌনদাসী হিসেবে ধর্ষিতা হচ্ছে প্রতিদিন – ইসলামসম্মত উপায়ে।
আরবে অবলা নারী-শিশুদের ভোগ করে পরিবারের সব পুরুষ মিলে। পুলিশের কাছে রিপোর্ট হয় না। ধর্ষণের প্রত্যক্ষদর্শী ৪ জন সাক্ষী জোগাড় করতে না পারলে জেনার অপরাধে উল্টো সে নারীকেই শাস্তি ভোগ করতে হয়। ক্ষেত্রবিশেষে তাকে পাথর মেরে হত্যা করা হয়।
ধর্ষণের সময় পুরুষাঙ্গ সম্পূর্ণ প্রবেশ করেছিল কি না – তার বিস্তারিতভাবে সাক্ষীদের দৃষ্টিগোচর হতে হবে – এটা শরিয়া আইনের কথা।
অথচ নাস্তিকদের দেশে, পাশ্চাত্যে স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বামীর যৌনমিলন ধর্ষণ বলে গণ্য হয়।
কাফের, বিধর্মীদের সাথে মুসলমানদের নৈতিক মান, জ্ঞান, শিক্ষা, সততা, মানবাধিকার, নীতিবোধের কোনো তুলনা হয়?
Leave a Reply