লিখেছেন গোলাপ
পর্ব ০১ > পর্ব ০২ > পর্ব ০৩ > পর্ব ০৪ > পর্ব ০৫ > পর্ব ০৬ > পর্ব ০৭ > পর্ব ০৮ > পর্ব ০৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫ > পর্ব ২৬ > পর্ব ২৭ > পর্ব ২৮ > পর্ব ২৯ > পর্ব ৩০ > পর্ব ৩১ > পর্ব ৩২ > পর্ব ৩৩ > পর্ব ৩৪ > পর্ব ৩৫ > পর্ব ৩৬ > পর্ব ৩৭ > পর্ব ৩৮ > পর্ব ৩৯ > পর্ব ৪০ > পর্ব ৪১ > পর্ব ৪২ > পর্ব ৪৩ > পর্ব ৪৪ > পর্ব ৪৫ > পর্ব ৪৬ > পর্ব ৪৭ > পর্ব ৪৮ > পর্ব ৪৯ > পর্ব ৫০
বদর যুদ্ধের অপ্রত্যাশিত সাফল্যের পর স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ক্রমান্বয়ে আরও বেশি নৃশংস হয়ে ওঠেন। তিনি তাঁর মতবাদ ও কর্মের কটাক্ষকারী ও সমালোচনাকারী বেশ কিছু আদি মদিনাবাসী ইহুদিকে হত্যার আদেশ জারি করেন। তাঁর অনুসারী ঘাতকরা রাতের অন্ধকারে অমানুষিক নৃশংসতায় সেই মানুষগুলোকে কীভাবে হত্যা করেছিলেন তার বিশদ আলোচনা গত পাঁচটি পর্বে করা হয়েছে।
এই লোকগুলোর একমাত্র অপরাধ ছিলো এই যে, তাঁরা মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের সন্ত্রাসী আক্রমণাত্মক আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের মৌখিক প্রতিবাদ ও জনমত গঠনের চেষ্টা করেছিলেন। তাঁদের কটাক্ষ, প্রতিবাদ, সমালোচনা ও প্রচেষ্টা ছিল অ-হিংস। তাঁদের কেউই মুহাম্মদ কিংবা তাঁর অনুসারীদের কখনোই কোনোরূপ শারীরিক আঘাত করেননি।
মদিনাবাসী ইহুদিরা যখন সংঘবদ্ধভাবে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা না নিয়ে ছিলেন উৎকণ্ঠিত ও ভীত সন্ত্রস্ত, তখন মুহাম্মদ মদিনায় তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আক্রমণাত্মক আগ্রাসী প্রচারণা শুরু করেন। বরাবরের মতই তিনি তাঁর আবিষ্কৃত আল্লাহর নামে ইহুদিদের হুমকি, শাসানী, ভীতি প্রদর্শন করা শুরু করেন। মদিনায় শক্তিমান মুহাম্মদের এই সকল হুমকি, শাসানী ও ভীতি প্রদর্শন মক্কায় অবস্থানকালীন দুর্বল মুহাম্মদের ঐশ্বরিক মৃত্যু-পরবর্তী শাস্তি কিংবা পরোক্ষ হুমকি, শাসানী, ভীতি প্রদর্শনের মত ছিল না (পর্ব-২৬)।
এখন তিনি শক্তিমান! তাঁর বিরুদ্ধবাদীদের শায়েস্তা করার ক্ষমতা তিনি অর্জন করেছেন! তিনি মদিনার ইহুদিদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, যদি তাঁরা তাঁকে নবী হিসাবে গ্রহণ করে তাঁর বশ্যতা স্বীকার করতে রাজী না হয়, তবে তিনি তাঁদেরকে ভিটেমাটি থেকে বিতাড়িত করবেন। মদিনায় যে ইহুদি গোত্রটি তাঁর এই নৃশংসতার প্রথম বলী হন, সেই ইহুদি গোত্রের নাম “বনি কেইনুকা”।
বনি কেইনুকা গোত্রকে ভিটে-মাটি থেকে উৎখাত ও তাঁদের সমস্ত সম্পত্তি লুট:
নিবেদিতপ্রাণ বিশিষ্ট ও আদি মুসলিম ঐতিহাসিকদের বর্ণনামতে ঘটনাটি ঘটেছিল বদর যুদ্ধের পর পরই। হিজরতের দ্বিতীয় বর্ষে। তারিখটি ছিল মার্চ ২৭, ৬২৪ সাল। কুরাইশদের বিরুদ্ধে মুহাম্মদের প্রথম সরাসরি যুদ্ধের (বদর যুদ্ধ) সাফল্যে উল্লাসিত মুহাম্মদ। ইতিপূর্বে আহলে কিতাবদের (ইহুদি ও খ্রিষ্টান) প্রতি মুহাম্মদের বাণী পৌত্তলিক কুরাইশদের তুলনায় ছিল সংবেদনশীল। তিনি আশা করেছিলেন যে, ইহুদি ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায় তাঁকে নবী হিসাবে মেনে নিয়ে তাঁর বশ্যতা স্বিকার করে নেবেন! বিফলতায়, তাঁর শক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মদিনায় ইহুদিদের প্রতি তাঁর বাণী ক্রমান্বয়েই হচ্ছে কঠোর ও সাংঘর্ষিক।
ইমাম বুখারীর (৮১০-৮৭০ সাল) বর্ণনা:
সহি বুখারি: ভলিউম ৪, বই ৫৩, নম্বর ৩৯২:
‘আবু হুরাইরা হতে বর্ণিত: আমরা মসজিদে অবস্থানকালে আল্লাহর নবী আমাদের কাছে এলেন এবং বললেন, “চলো আমরা ইহুদিদের কাছে যাই।” আমরা বের হলাম এবং বাইত-উল-মিদরাছে পৌঁছলাম। তিনি তাদেরকে বললেন,
‘যদি তোমরা ইসলাম গ্রহণ করো, তাহলে তোমরা নিরাপদ। তোমাদের জানা উচিত যে, এই ভূমির মালিক আল্লাহ এবং তার রসুল। আমি তোমাদেরকে এই ভূমি থেকে বিতাড়িত করবো।
সুতরাং, যদি তোমাদের কেউ কোনো সম্পত্তির মালিক হও, তা বিক্রি করার অনুমতি তোমাদের দেয়া হলো। নয়তো জেনে রাখো এই ভূমির মালিক আল্লাহ ও তার রসুল।” [1]
>>> এই ঘটনার অল্প কিছুদিন পরে ইহুদি বনি কেইনুকা গোত্রের সমস্ত লোককে মুহাম্মদ কীভাবে তাঁদের শত শত বছরের পৈত্রিক ভিটে-মাটি ও বসত-বাড়ি থেকে চিরতরে বিতাড়িত করেছিলেন, তাঁদের স্থাবর ও অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি লুট (গনিমতের মাল) করেছিলেন, তার বিশদ বিবরণ আদি ও বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিকরা লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। সেই বর্ণনাগুলো হলো নিম্নরূপ: [2][3][4][5]
মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ) বর্ণনা:
‘আল্লাহর নবী তাদেরকে বাজারের নিকট একত্রিত করেন এবং তাঁদের উদ্দেশ্যে যে ঘোষণাটি দেন, তা ছিল নিম্নরূপ:
“হে ইহুদীরা, সতর্ক হও এবং মুসলমানিত্ব বরণ কর, নতুবা আল্লাহ কুরাইশদের মত তোমাদের ওপরও প্রতিশোধ নেবেন। আমি যে আল্লাহ প্রেরিত নবী, তা তোমরা অবগত আছো। তোমাদের ধর্মগ্রন্থ এবং আল্লাহর প্রতি তোমাদের প্রতিশ্রুতি পত্রে তার উল্লেখ আছে।”
তারা উত্তর করলো, “হে মুহাম্মদ, প্রতীয়মান হচ্ছে যে, তুমি আমাদেরকে তোমার অনুসারীদের মতই বিবেচনা করছো। বিভ্রান্ত হয়ো না, তুমি যাদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ছিলে, তারা ছিল যুদ্ধে অজ্ঞ। তাই জিততে পেরেছ। খোদা সাক্ষী, যদি আমরা তোমার সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হই, তাহলেই বুঝবে যে, আমরা কত শক্তিশালী।”
তখন তাদের উদ্দেশ্যে নাজিল হলো এই আয়াতটি:
৩:১২-১৩ – “কাফেরদিগকে বলে দিন, খুব শিগগীরই তোমরা পরাভূত হয়ে দোযখের দিকে হাঁকিয়ে নীত হবে – সেটা কতই না নিকৃষ্টতম অবস্থান। নিশ্চয়ই দুটো দলের মোকাবিলার (বদর যুদ্ধে কুরাইশ ও মুসলিম দল) মধ্যে তোমাদের জন্য নিদর্শন ছিল। একটি দল আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করে। আর অপর দল ছিল কাফেরদের এরা স্বচক্ষে তাদেরকে দ্বিগুণ দেখছিল। আর আল্লাহ যাকে নিজের সাহায্যের মাধ্যমে শক্তি দান করেন। এরই মধ্যে শিক্ষণীয় রয়েছে দৃষ্টি সম্পন্নদের জন্য।” [6]
এর কিছুদিন পরেই বনি কেউনুকার ঘটনাটি যেভাবে সংঘটিত হলো:
‘এক আরব মহিলা কিছু মালামাল বনি কেউনুকা গোত্রের বাজারে এনে বিক্রি করছিল। সে যখন এক স্বর্ণকারের দোকানের সামনে বসেছিল তখন লোকজন তাকে তার আচ্ছাদিত মুখমণ্ডল অনাবৃত করার আহ্বান করলে মহিলাটি তা করতে অসম্মতি জানায় (‘–but she refused’)।
সে অবস্থায় স্বর্ণকারটি চুপিসারে তার ঘাগরার কিনারাটি তার পিঠের পিছনে বেঁধে রাখে এবং মহিলাটি দাঁড়ানোর সময় অসংযতরুপে অনাবৃত হয়ে পরে। তাই দেখে তারা হাসাহাসি শুরু করে।
মহিলাটি উচ্চস্বরে চিৎকার করে উঠলে একজন মুসলমান তৎক্ষণাৎ সেই ইহুদী স্বর্ণকারটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আক্রমণ করে এবং খুন করে।
এই ঘটনায় অন্যান্য ইহুদীরা সেই মুসলিম হত্যাকারীর ওপর আক্রমণ চালায় এবং তাকে হত্যা করে।
(মৃত) মুসলিমটির পরিবার ইহুদিদের বিরুদ্ধে অন্যান্য মুসলমানদের সাহায্য কামনা করে। মুসলামানরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং বনি কেউনুকা ও মুসলমানদের মধ্যে কোন্দলের সৃষ্টি হয়।
বনি কেউনুকা গোত্রটি নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করার পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহর নবী তাদেরকে চারিদিক থেকে অবরোধ করে রাখেন।
এমতাবস্থায় আবদুল্লাহ বিন উবাই বিন সালুল (খাযরাজ গোত্রের) মুহাম্মদের কাছে আসে এবং বলে:
“হে মুহাম্মদ আমার লোকদের (বনি কেউনুকা তখন খাযরাজ গোত্রের মিত্র ছিল) প্রতি সদয় হোন।”
কিন্তু নবী তার কথায় কর্ণপাত করেন না। সে আবারও নবীকে একই অনুরোধ করলে নবী যখন মুখ ঘুরিয়ে নেন, তখন সে তার হাত দিয়ে নবীর জামার কলার চেপে ধরলে নবী এতটায় রাগান্বিত হন যে, তাঁর মুখমণ্ডল প্রায় কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করে।
নবী বলেন, “তোমার ব্যবহারে আমি হতবাক, আমাকে যেতে দাও।”
আবদুল্লাহ বিন উবাই জবাবে বলে,
“না! আল্লাহর কসম, আমি আপনাকে যেতে দেব না, যে পর্যন্ত না আপনি আমার লোকদের প্রতি অনুগ্রহ ও সুবিচার না করবেন।
এই নিরস্ত্র চার শত এবং অস্ত্রসজ্জিত আরও তিন শত মানুষ, যারা আমাকে যাবতীয় শত্রুর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিয়েছে, তাদেরকে আপনি এক সকালের মধ্যেই খুন করবেন?
আল্লাহর কসম! তাহলে আমিও বলে রাখি, আমার আশংকা পরিস্থিতি অন্যরূপ হতে পারে।“
নবী বলেন, “তারা তোমার।”
আল্লাহর নবী তাদেরকে তাদের ভিটে-মাটি থেকে বিতাড়িত করার হুকুম জারি করেন। আল্লাহপাক বনি কেউনুকা গোত্রের কাছ থেকে লুন্ঠিত সমস্ত সম্পদ (Booty) নবী ও তাঁর অনুসারীদের করায়ত্ব করালেন।
বনি কেউনুকা গোত্রের লোকেরা কোনো জমি-জমার মালিক ছিল না। কারণ, তারা ছিল স্বর্ণ ব্যবসায়ী। আল্লাহর নবী তাদের বহু অস্ত্র-শস্ত্র, উপার্জিত অর্থ এবং ব্যবসাসামগ্রী হস্তগত করেন। যে ব্যক্তি তাদের বিতাড়িত করার দায়িত্বে ছিল, তার নাম ‘উবাইদা বিন আল সামিত’—।
আল্লাহর নবী দলপতির অধিকার বলে সেই লুণ্ঠিত সম্পত্তির এক-পঞ্চমাংশ হিস্যা প্রথমেই গ্রহণ করেন [“সাফি” – সর্বপ্রথমে দলপতির হিস্যা বাছাইয়ের অধিকার)]; তারপর বাকি চার-পঞ্চমাংশ বিতরণ করেন তাঁর অনুসারীদের মধ্যে।
আল তাবারীর (৮৩৯-৯২৩ সাল) অতিরিক্ত বর্ণনা:
আল-জুহরী < উরওয়াহ ইবনে যুবায়ের হইতে বর্ণিত:
“জিবরাইল নিম্নবর্ণিত আয়াতটি আল্লাহর নবীর নিকট আনয়ন করে,
(৮:৫৮) – ‘তবে কোন সম্প্রদায়ের ধোঁকা দেয়ার ব্যাপারে যদি তোমাদের ভয় থাকে, তবে তাদের চুক্তি তাদের দিকেই ছুঁড়ে ফেলে দাও’ — ।
জিবরাইলের এই আয়াতটি বিলি করা শেষ হলেই আল্লাহর নবী বলেন, ‘আমার আশংকা বানি কেউনুকা গোত্রের উপর।” [7]
[>>> মুহাম্মদের এই ৮:৫৮ ঐশী বাণীর সরল অর্থ হলো – অমুসলিমদের সাথে চুক্তিবদ্ধ ইসলাম বিশ্বাসীরা যে কোনো মুহূর্তে তাঁদের সেই চুক্তি ভঙ্গ করতে পারে; “প্রয়োজন শুধুমাত্র সন্দেহ পোষণ”!]
আল ওয়াকীদির (৭৪৮-৮২২ খ্রিষ্টাব্দ) অতিরিক্ত বর্ণনা:
“আল্লাহর নবী তাদেরকে ১৫ দিন পর্যন্ত চারদিক থেকে ঘেরাও করে রাখেন, যাতে তাদের কেউই বেরিয়ে আসতে না পারে। তারপর তারা সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করে। তাদের পায়ে শৃঙ্খল পড়ানো হয়।
আল্লাহর নবী তাদেরকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আবদুল্লাহ বিন উবাই তাঁর সাথে বনি কেউনুকার পক্ষ হয়ে কথা বলে।“
ইসলামী ইতিহাসের ঊষালগ্ন থেকে আজ অবধি প্রায় প্রতিটি ইসলাম বিশ্বাসী প্রকৃত ইতিহাস জেনে বা না জেনে ইতিহাসের এ সকল অমানবিক অধ্যায়গুলো যাবতীয় চতুরতার মাধ্যমে বৈধতা দিয়ে এসেছেন। বিষয়গুলো অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিধায় বাংলা অনুবাদের সাথে মূল ইংরেজি অনুবাদের অংশটিও সংযুক্ত করছি। – অনুবাদ, টাইটেল ও [**] যোগ – লেখক।]
The Campaign against the Banu Qaynuqa
The Narrative of Imam Bukhari (810-870 AD)
Sahi Bukhari: Volume 4, Book 53, Number 392:
‘Narated By Abu Huraira : While we were in the Mosque, the Prophet came out and said, “Let us go to the Jews” We went out till we reached Bait-ul-Midras. He said to them,
“If you embrace Islam, you will be safe. You should know that the earth belongs to Allah and His Apostle, and I want to expel you from this land.
So, if anyone amongst you owns some property, he is permitted to sell it, otherwise you should know that the Earth belongs to Allah and His Apostle.”’ [1]
The narrative of Muhammad Ibn Ishaq (704-768 AD):
The apostle assembled them in their market and addressed them as follows:
“O Jews beware lest God bring upon you the vengeance that He brought upon Quraysh and become Muslims. You know that I am a prophet who has been sent – you will find that in your scriptures and God’s covenant with you.”
They replied, “O Muhammad, you seem to think that we are your people. Do not deceive yourself because you encountered with people with no knowledge of war and got the better of them; for by God if we fight you, you will find that we are real men!”
The following verse came down about them (3:12-13):
‘Say to those who disbelieve: you will be vanquished and gathered to Hell, an evil resting place. You already had a sign in the two forces which met’, that is the apostle’s companions at Badr and the Quraesh. ‘One force fought in the way of God; the other thought they saw double their own force with their very eyes. God strengthens with His help whom He will. Verily in that is an example for the discerning.’ [6]
‘The affair of the Banu Qaynuqa arose thus:
An Arab woman brought some goods and sold them in the market of the Banu Qaynuqa. She sat down by a goldsmith, and the people tried to get her to uncover her face but she refused.
The goldsmith took hold of the end of her skirt and fastened it to her back so when she got up she was immodestly exposed, and they laughed at her.
She uttered a loud cry and one of the Muslims leapt upon the goldsmith and killed him. He was a Jew, and the Jews fell upon the Muslim and killed him.
Where upon the Muslims family called on the Muslims for help against the Jews. The Muslims were enraged, and bad feeling sprang up between the two parties.’
The apostle besieged them until they surrendered unconditionally.
Abdulah bin Ubayy bin Salul went to him when God had put them in his power and said,
‘O Muhammad deal kindly with my clients (now they were allies of Khajraj)’, but the apostle put him off.
He repeated the words and the apostle turned away from him, whereupon he thrust his hand into the collar of the apostle’s robe; the apostle was so angry that his face became almost black.
He said, “Confound you, let me go.”
He answered,
“No, by God, I will not let you go until you deal kindly with my clients. Four hundred men without mail (weapons) and three hundred mailed protected me from all mine enemies; would you cut them down in one morning?
By God, I am a man who fears that circumstances may change.”
The apostle said, “You can have them.”
The messenger of God gave orders to expel them (Banu Qaynuqa), and God gave their property as booty to his Messenger and the Muslims.
The Banu Qaynuqa did not have any land, as they were goldsmiths. The messenger of God took many weapons belonging to them and the tools of their trade. The person who took charge of their expulsion from Medina along with their children was ‘Ubadah bin Al-Samit.
— The Messenger of God took his share (one fifth) first as the chief [the “safi (first pick)” as a special privilege] and distributed the other four-fifths of booty among his companions.
Al-Tabari (839-923 AD) added:
According to Al Zuhri < Urwah Ibne Zubayr:
Gabriel brought the following verse down to the messenger of God,
(8:58): “And if thou fear treachery from any folk, then throw back to them their treaty fairly.”
When Gabriel had finished delivering this verse, the Messenger of God said, “I fear Banu Qaynuqa.” [7]
According to Al-Waqidi (748-822 AD):
“The messenger of God besieged them for fifteen days and prevented any of them from getting out. They then surrendered at the discretion of the Messenger of God.
They were fettered, and he wanted to kill them, but Abdullah bin Ubayy spoke to him on their behalf.
>>> পাঠক, আসুন আমরা বনি কেইনুকা গোত্রের সমস্ত মানুষ কে বিতাড়িত করার প্রেক্ষাপট কে নির্মোহ ভাবে পর্যালোচনা করে সত্য অনুধাবনের চেষ্টা করি।
ঘটনার বিবরণে আমরা জানছি:
১) মুহাম্মদ বদর যুদ্ধে জয়লাভের পর মদিনার সমস্ত ইহুদি গোত্রদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, যদি তাঁরা তাঁর বশ্যতা স্বীকার (ইসলাম গ্রহণ) না করে তবে তিনি তাঁদের কে তাঁদের ভিটে-মাটি থেকে বিতাড়িত করবেন (ইমাম বুখারী: ৪: ৫৩:৩৯২), এবং ঐশী বাণীর আশ্রয়ে “তাঁর আল্লাহর” রেফারেন্স দিয়ে তাঁদেরকে প্রত্যক্ষ হুমকি প্রদর্শন (কুরান: ৩:১২-১৩) শুরু করেন।
২) তাঁর এই আক্রমণাত্মক “হুমকির” অল্প কিছুদিন পরেই বনি কেউনুকা বাজারে কর্মরত কিছু ইহুদি এক মুসলিম মহিলা বিক্রেতার মুখমণ্ডল অনাবৃত করার অনুরোধ করেন।
৩) কিন্তু মহিলাটি তাতে অসম্মতি প্রকাশ করলে তাদের “একজন” চুপিসারে সেই মহিলাটির ঘাগরার কিনারাটি তার পিঠের পিছনে বেঁধে রাখে এবং মহিলাটি দাঁড়ানোর সময় অসংযতরুপে অনাবৃত হয়ে পরে। নিঃসন্দেহে ব্যাপারটি বর্তমান সময়ের “ইভ টিজিং” জাতীয় ঘটনা।
৪) সেই অপরাধে ঐ ইহুদি লোকটিকে তৎক্ষণাৎই খুন করে একজন মুহাম্মদ অনুসারী।
৫) চোখের সামনে তাদেরই সমগোত্রীয় এক লোককে খুন হতে দেখে বাজারে উপস্থিত অন্যান্য ইহুদিরা উত্তেজিত হয়ে সেই খুনিকে করে খুন।
>>> স্পষ্টতই ঘটনাটি বখাটে লোকের উৎপাতজনিত কোন্দল। যেখানে প্রথম খুনি ব্যক্তিটি ছিল একজন মুহাম্মদ অনুসারী, এবং পরবর্তী খুনি সেই বাজারে অবস্থানরত উত্তেজিত কিছু জনতা। বনি কেইনুকা গোত্রের সমস্ত জনগোষ্ঠী এই “হত্যার” সাথে জড়িত ছিলেন, এমন আভাস কোথাও নেই। তা সত্ত্বেও মুহাম্মদ এই ঘটনা উপলক্ষে বনি কেইনুকা গোত্রের সমস্ত মানুষকে তাদের ভিটে-মাটি থেকে উৎখাত করে তাঁদের সমস্ত সম্পত্তি লুণ্ঠন করে তার এক-পঞ্চমাংশ নিজে আত্মসাৎ করেন ও চার-পঞ্চমাংশ তাঁর অনুসারীদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে দেন।
ঘটনার বিবরণে আমরা আরও জানতে পারি যে, সেদিন আবদুল্লাহ বিন উবাই হস্তক্ষেপ না করলে বনি কেইনুকা গোত্রের সমস্ত মানুষকে (৭০০ জন) মুহাম্মদ এক সকালের মধ্যেই খুন করতেন। তাঁদের জীবন রক্ষা পেয়েছিল এই অসীম সাহসী আবদুল্লাহ বিন উবাইয়ের কল্যাণে।
উক্ত ঘটনা যে বনি-কেইনুকা গোত্রকে বিতাড়িত করা ও তাঁদের সমস্ত সমস্ত সম্পত্তি লুট করার “এক অজুহাত মাত্র”, তা বোঝা যায় অতি সহজেই। কারণ মুহাম্মদ এই ঘটনার আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন যে, যদি তাঁরা তাঁর বশ্যতা স্বীকার না করে, তাহলে তিনি তাঁদেরকে বিতাড়িত করবেন (সহি বুখারি: ৪:৫৩:৩৯২); এই ঘটনা যদি না-ও ঘটতো, তথাপি বনি কেইনুকা যে মুহাম্মদের ছোবল থেকে রেহাই পেতেন না, প্রয়োজনে আল্লাহর ওহী নাজেল করে হলেও তিনি তাঁদেরকে খুন কিংবা বিতাড়িত করতেন, তা বোঝা যায় মুহাম্মদের পরবর্তী কর্মকাণ্ডে। বনি নাদির গোত্রকে উৎখাত এবং বনি কুরাইজার গণহত্যার বৈধতা দিতে তিনি “ওহীর” আশ্রয়” নিয়েছিলেন!
মুহাম্মদকে নবী হিসাবে গ্রহণ ও তাঁর বশ্যতা স্বীকার না করার পরিণতি কীরূপ ভয়াবহ হতে পারে, তা মুহাম্মদ একটি গোত্রের বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, মহিলা ও শিশুসহ সমস্ত মানুষকে তাঁদের শত শত বছরের পৈত্রিক ভিটে-মাটি ও আবাসস্থল থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত করে তাঁদের সমস্ত সম্পত্তি করায়ত্ত (লুণ্ঠন) করার মাধ্যমে বাস্তবে রূপায়িত করে দেখিয়েছেন!
>>> পৃথিবীর প্রায় সকল ইসলাম বিশ্বাসী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে মুহাম্মদ মদিনায় আসার (জুন, ৬২২ খ্রিষ্টাব্দ) অল্প কিছুদিন পরেই মদিনায় বসবাসকারী ইহুদি ও অন্যান্য অমুসলিম গোত্রের সাথে এক লিখিত পারস্পরিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেন। ইসলামের ইতিহাসে যাকে “মদিনা সনদ” নামে আখ্যায়িত করা হয়। সাধারণ মুসলমানদের অধিকাংশেরই “মদিনা সনদ” সম্বন্ধে আদৌ কোনো ধারণা নেই। তাই তারা ইচ্ছেমত প্রতারিত হন।
এই “তথাকথিত মদিনা সনদ চুক্তি” দাবির সত্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা কতটুকু ও কী ছিল, তার শর্ত তার বিশদ আলোচনা মদিনা সনদ তত্ত্বে করা হবে। পাঠকরা যাতে বিভ্রান্ত না হন, তাই এ পর্বের আলোচনা প্রাসঙ্গিক বিষয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখছি। আলোচনার খাতিরে ধরে নেয়া যাক, এমন একটি চুক্তির অস্তিত্ব শতভাগ সত্যি!
বনি কেউনুকা, বনি নাদির, বনি কুরাইজা ও মদিনায় অন্যান্য ইহুদি গোত্রের ওপর মুহাম্মদের পৈশাচিক, নৃশংস অমানবিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বৈধতা দিতে পৃথিবীর সকল ইসলাম-বিশ্বাসী পণ্ডিত ও অপণ্ডিতরা অবতারণা করেন এই তথাকথিত শান্তি চুক্তি (মদিনা-সনদ) লঙ্ঘনের অজুহাত! তাঁরা উচ্চস্বরে গত ১৪০০ বছর ধরে প্রচার করে আসছেন যে, মদিনায় ইহুদিদের ওপর মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের যাবতীয় অমানবিক আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী হলো মদিনার ইহুদি সম্প্রদায়,
“কারণ, তাহারা চুক্তি ভঙ্গ করিয়াছিল!”
কিন্তু,
আদি ও বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিকদেরই বর্ণনায় আমরা প্রত্যক্ষ করছি যে, বিনা উস্কানিতে মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ ও তাঁর অনুসারীরা মদিনায় ইহুদিদের হুমকি, শাসানী, ভীতি প্রদর্শন এবং এমনকি তাঁদের পৈতৃক ভিটে-মাটী থেকে বিতাড়িত করতে চেয়েছেন; এবং তার অল্প কিছুদিন পর তাঁদের এক গোত্রের সমস্ত মানুষকে ভিটে-মাটি থেকে বিতাড়িত করেছিলেন।
অর্থাৎ,
সত্যই যদি এরূপ কোনো চুক্তির অস্তিত্ব আদৌ থেকে থাকে, তবে সর্বপ্রথম যে ব্যক্তিটি এই চুক্তিটি ভঙ্গ করেছিলেন, তিনি হলেন স্বঘোষিত আখেরি নবী মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ! ইহুদিরা নয়!”
মুহাম্মদ শুধু চুক্তি ভঙ্গ করেই ক্ষান্ত হননি! ঐশী বাণী অবতারণার (৮:৫৮) মাধ্যমে তিনি তাঁর অনুসারীদের শিখিয়েছেন যে, তারা অমুসলিমদের সাথে আবদ্ধ যে কোনো চুক্তি “শুধুমাত্র সন্দেহ পোষণের মাধ্যমে” অবলীলায় ভঙ্গ করতে পারে!
অমুসলিম কাফেরদের প্রতি একজন নিবেদিতপ্রাণ ইসলাম বিশ্বাসীর মনোভাব কী রূপ হওয়া বাঞ্ছনীয়, তা মুহাম্মদ তাঁর ব্যক্তিমানস জীবনীগ্রন্থ কুরানের পাতায় পাতায় বর্ণনা করেছেন (পর্ব: ২৬-২৭); একজন নিবেদিত প্রাণ ইসলাম-বিশ্বাসী এমনতর শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে অমুসলিম কাফেরদের প্রতি সদা-সন্দিহান হতে বাধ্য।
আর সেই অমুসলিম কাফেররা যদি কোনো ইসলাম বিশ্বাসীর বাণী ও কর্মকাণ্ডের কটাক্ষ, সমালোচনা, প্রতিবাদ অথবা ইসলাম প্রচার ও প্রসারে কোনোরূপ বাধা প্রদান করে, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে ইসলাম অনুসারীদের কীরূপ ব্যবস্থা নেয়া একান্ত কর্তব্য (ফরজ), তার ধারাবাহিক আলোচনা ত্রাস-হত্যা-হামলার গত তেইশটি পর্বে করা হয়েছে।
সুতরাং, কটাক্ষ, সমালোচনা বা বিরুদ্ধবাদী অমুসলিমদের সাথে ইসলাম বিশ্বাসীদের “চুক্তি বা সন্ধিপত্র” স্বাক্ষরের প্রয়োজন শুধুমাত্র তখনই, যখন তারা শক্তিমত্তায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল।
শক্তি সঞ্চয়ের পর এই সদা-সন্দিহান ইসলাম বিশ্বাসীরা তাদের সেই চুক্তি যে কোনো মুহূর্তে ভঙ্গ করতে পারে; ধর্মীয় বিধানেই! আর কখন যে তারা সেই চুক্তি ভঙ্গ করে অতর্কিত আক্রমণে ইসলাম-অজ্ঞ কাফেরদের সম্পূর্ণরূপে পরাস্ত ও বিধ্বস্ত করবে, তা কাফেররা কল্পনাও করতে পারবে না। ইসলাম বিশ্বাসীদের সাথে যে কোন চুক্তি/সন্ধি পত্র স্বাক্ষরের সময় অমুসলিমদের সর্বদাই এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে মনে রাখা দরকার।
আগেই বলেছি, মুহাম্মদের যাবতীয় নিষ্ঠুরতা ও অপকর্মের বৈধতা দিতে ইসলামী পণ্ডিত ও নিবেদিতপ্রাণ ইসলাম অনুসারীরা হাজারও মিথ্যার বেসাতী ও উদ্ভট যুক্তির অবতারণা করে এসেছেন শতাব্দীর পর শতাব্দী। এখনও তা চলছে এবং ভবিষ্যতে ও তা চলবে। এ ছাড়া তাদের অন্য কোনো পথই খোলা নেই (দশম পর্ব)।
[কুরানের উদ্ধৃতিগুলো সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হেরেম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা (http://www.quraanshareef.org/) থেকে নেয়া; অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর। কুরানের ছয়জন বিশিষ্ট অনুবাদকারীর পাশাপাশি অনুবাদ “এখানে”। (link): http://quran.com/1
(চলবে)
তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:
[1] সহি বুখারী: ভলিউম ৪, বই ৫৩, নম্বর ৩৯২
[2] “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ),
সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ: A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫ – পৃষ্ঠা ৩৬৩-৩৬৪
[3] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৭, ইংরেজী অনুবাদ: W. Montogomery Watt and M.V. McDonald, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭ – পৃষ্ঠা ১৩৬০-১৩৬২।
[4] “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক: আল-ওয়াকিদি (৭৪৮-৮২২ খৃষ্টাব্দ), এড মারসেডেন জোনস, লন্ডন ১৯৬৬- পৃষ্ঠা ১৭৭।
[5] কিতাব আল-তাবাকাত আল-কাবির – লেখক: মুহাম্মদ ইবনে সা’দ (৭৮৪-৮৪৫ খৃষ্টাব্দ)’, অনুবাদ এস মইনুল হক, প্রকাশক কিতাব ভবন, নয়া দিল্লি, সাল ২০০৯ (3rd Reprint), ISBN 81-7151-127-9(set), ভলুউম ২, পার্ট- ১, পৃষ্ঠা ৩২-৩৩.
[6] তফসির আল-কাথির
[7] উরওয়াহ ইবনে যুবায়ের (মৃত্যু ৭১৩ খৃষ্টাব্দ) /আল যুহরীর (মৃত্যু ৭৪১-৪২)
Leave a Reply