লিখেছেন সেক্যুলার ফ্রাইডে
হাদিসে পড়েছি, রাসুলুল্লাহ্ একবার তাঁর সাহাবীদের নিয়ে সালাত আদায় করছিলেন। তিনি যখন রুকু থেকে মাথা উঠিয়ে “সামি’আল্লাহু লিমান হামিদাহ” বললেন; তখন পেছন থেকে এক সাহাবী “রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ, হামদান কাছীরান তায়্যিবান মুবা–রাকান ফীহ” বললেন।
সালাত শেষ করে রাসুল (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, “কে এরূপ বলেছিল?”
সে সাহাবী বললেন, “আমি।”
তখন রাসুল (সাঃ) বললেন, “আমি দেখলাম ত্রিশ জনের বেশী ফেরেশতা এর সওয়াব কে আগে লিখবেন, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছেন।” ~(সহীহ বুখারী ৭৬৩, ইফা)~
এই হাদিসটা পড়ার পর আমার মনে প্রশ্ন হল:
ফেরেশতারা সোয়াব কিসে বা কোথায় লেখেন? কীভাবে সংরক্ষণ করেন?
এই ডাটাবেস ও স্টোরেজ নিশ্চয় অবিনশ্বর, কারণ তা কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে বলে বলা আছে। তার মানে আল্লাহ্র অবশ্যই শ্রেষ্ঠতর টেকনোলজি জানা আছে, যা তিনি ফেরেশতাদের শিখিয়েছেন!
তবে আল্লাহ্র কাছ থেকে জিবরাঈলের মাধ্যমে আসা কোরানের বাণীগুলো কাগজের অভাবে পাথর, কাপড়, হাড়, চামড়া – এসব বস্তুর ওপর কেন লিখতে হল, যা নশ্বর ও ধ্বংসযোগ্য? এবং যা কালক্রমে হারিয়ে গেছে!
কেন নবী ও তার উম্মতদের কেবলমাত্র মানুষের স্মৃতিশক্তির ওপরে নির্ভরশীল হতে হল, যা ক্ষয়িষ্ণু ও প্রামাণ্য নয়?
আল্লাহ্ কি তবে তার হাবিব, পেয়ারা নবীকে ফেরেশতাদের তুলনায় কম ভালোবাসতেন?
Leave a Reply