লিখেছেন ক্যাট ম্যান
ধর্ষণ করলে আল্লাহ খুশি হন। ধর্ষণ-অবলোকনানন্দে তিনি ধর্ষিতার গুনাহ মাফ করে দেন। বান্দার যতগুলো আমল আল্লাহকে আনন্দ দেয়, তার মধ্যে বান্দার ধর্ষণের আমল আল্লাহর নিকট সবচেয়ে বেশি প্রিয়। তাই আল্লাহর নবী ধর্ষণ আমল করতেন, ধর্ষণ নবীজির অন্যতম সুন্নত। আর তার উম্মতেরাও ধর্ষণের সুন্নাহ পালন করে এবং সুন্নতে ধর্ষণ পালন করার জন্য সুযোগের অপেক্ষায় থাকে।
ধর্ষণে আল্লাহ খুশি হয়ে ধর্ষিতার গুনাহ মাফ করে দেন, এই বিষয়ে আল-কুরআনে বলা হয়েছে:
তোমাদের দাসিগণ, সতীত্ব রক্ষা করিতে চাহিলে পার্থিব জীবনের ধনলালসায় তাহাদেরকে ব্যভিচারিণী হইতে বাধ্য করিও না, আর যে তাহাদেরকে বাধ্য করে, তবে তাহাদের উপর জবরদস্তির পর আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সূরা নূর, ৩৩ আয়াত )
আল-কুরআনে ধর্ষণের শাস্তি প্রসঙ্গে একটিও আয়াত বা বিধান নেই। বরং ধর্ষকদের বিষয়ে বলতে গিয়ে, “আর যে তাহাদেরকে বাধ্য করে” এটুকু বলেই আল্লাহ প্রসঙ্গ পরিবর্তন করেছেন। তখন প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে আল্লাহ ধর্ষিতাদের ধর্ষণ ক্ষতে মলম লাগাচ্ছেন এই বলে যে, “তবে তাহাদের উপর জবরদস্তির পর আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”
এই মলম লাগিয়ে আল্লাহ কাদের প্রতি দয়া দেখাচ্ছেন? ধর্ষিতা নাকি ধর্ষকের প্রতি? যদি ধর্ষিতার প্রতি দয়া দেখিয়ে থাকেন, তাহলে প্রশ্ন জাগে, ধর্ষিতার কী এমন দয়া ও ক্ষমার প্রয়োজন আছে আল্লাহর নিকট? যদি না থাকে, তাহলে এই অযাচিত দয়া ও ক্ষমা কি ধর্ষকের উদ্দেশে আল্লাহ নিবেদন করেছেন?
ইসলামে ধর্ষণবিরোধী ভূমিকা না থাকায় আল-কুরআনের চতুর ব্যাখ্যাকারগণ ব্যভিচার ও ধর্ষণের ধারণাকে এক করে দেখানোর অপপ্রয়াস চালিয়ে থাকেন। ধর্ষণ ও ব্যভিচার যে ভিন্ন বিষয়, আল-কুরআনের ব্যাখ্যাকারগণ কিছুতেই তা বুঝতে চান না। তাঁরা জোরপূর্বক নারীকে যৌনসম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করা বা নারীকে যৌননির্যাতনের মাঝে কোন প্রকার অনৈতিক বিষয় খুজে পান না।
কারণ পেয়ারে ধর্ষক নবীজি দেদারসে নারী ধর্ষণ করতেন। আর তাই আল-কুরআনে নবীজি নিজের ও তাঁর ধর্ষক সাহাবিদের ধর্ষণেচ্ছার সপক্ষে সম্মতিসূচক ও উত্সাহব্যঞ্জক আয়াত নাযিল করতেন। এমনকি বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থসমূহ লম্পট নবীজির লাম্পট্যের ঘটনায় ভরপুর। কুরআন-হাদিস অনুযায়ী ধর্ষণ কোনো অনৈতিক কাজ নয়। বিধায় কুরআন-হাদিসে ধর্ষণকে অপরাধ সাব্যস্ত করে ধর্ষকের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার শাস্তির বিধান নেই।
বরং ব্যভিচারের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে, যদিও ইসলামে ব্যভিচার বলতে যা বোঝায়, তা আদৌ অনৈতিক কিছু নয়। নারী-পুরুষের পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবহির্ভূতভাবে সাধিত মানসিক ও শারীরিক সম্পর্ককে ইসলামের পরিভাষায় ব্যভিচার সাব্যস্ত করা হয়েছে। এখানে নারী-পুরুষ যে কোনো একজনের বা উভয়ের অসম্মতিতে স্থাপিত মানসিক বা শারীরিক সম্পর্কের বিষয় বিবেচনা করা হয়নি। ব্যভিচার এমন এক ধারণা, যে ধারণায় বিবাহ ব্যতিরেকে কোনো নারী-পুরুষ একে অপরের প্রতি প্রেম, ভালোবাসা, সহানুভুতি ও একে অপরের চাহিদা পূরনের তাড়না অনুভব করতে পারবে না।
যেহেতু ব্যভিচারের ধারণায় নারী-পুরুষের মাঝে জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয় বিবেচনা করা হয়নি, সেহেতু ধর্ষণ ও ব্যভিচার সমার্থক ধারণা নয়। তাই যারা দাবি করে , ইসলামে ধর্ষণের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রয়েছে ; মূলত তারা মিথ্যাকে সত্যের মোড়কে উপস্থাপনের অপচেষ্টায় লিপ্ত। আর ইসলামের ধর্ষণ-নীতি আড়াল করার জন্যই বরং তারা ব্যভিচারের মতো স্বাভাবিক ও যৌক্তিক বিষয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষক নবীজির কুরআন-হাদিসের দোহাই দিয়ে বিষোদগার করে থাকে।
Leave a Reply