লিখেছেন বাংলার উসমান মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ ইসলাম
আউজুবিল্লাহ হিমিনাশ শায়তুয়ানির রাজিম। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। নাহমাদু ওয়া রাসূলিহি ক্বারিম আম্মা বাদ।
উফস্থিত মুসল্লি ক্বেরাম, আজিয়া আমরা দু’টি বিষয় লিয়ে কতা বোইলব। একটি হোসসে “সবর” এবং অফরটি “শুকরিয়া আদায়”।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানশকে মূলত এই দুইবাবে ফরিক্ষা করেন।
তিনি কাউকে কুটি কুটি টেকার মালিক করি দেওনের মধ্য দিয়া খিয়াল করেন, লোকটা শুকরিয়া আদাই করে কি না। এবং সে জাকাত ফ্রদান করে কি না! নাকি নামে মাত্র জাকাত দিয়া দানাই ফানাই কোইরগা সারি ফেলে!
আল্লাহ তাকে এমন নিয়ামত দিয়া ফরিক্ষা করেন। আল্লাহ যুদি দেকেন যে, সে সিদা সিদা সোইলতেসে না, মুয়াড়জিনদের ঈদে সাঁন্দে লুঙ্গি ফাইঞ্জাবী দেতেসে না, তখন আল্লাহপাক অগ্নিমূর্তি ধারন করি তাকে শাস্তি দেন।
আল্লাহপাক কিবাবে শাস্তি দেন, তা আমরা জানি না। তিনি হয়ত এই কুটি কুটি টেকার মালিকের কাস থিকা সম্পূর্ন টেকা কাড়ি নিয়া নিয়ামাত ছিনিয়ে নেয়ার মাইদ্যমে শাস্তি আরোফ করেন।
হয়ত তিনি তা করেন না। তিনি হয়ত কেবল সামাইন্য কয়েক লক্ষ টেকা শেয়ার বেবসায় লস করাইয়া এই নিমকহারামকে শাস্তি দেন।
আবার হয়ত আল্লাহপাক তাও করেন না। তিনি পুরা টেকা অ নেন না,অথবা অল্প টাকা লস না করাইয়া নেয়ামত অ কমান না। হতে ফারে তিনি তাঁর এই হারামী বান্দাকে ফুরোফুরি নিয়ামতের ভিতর রাখেন। কিন্তুক নিয়ামতের ভিতর রাখিয়াই শাস্তি প্রদান করেন; তার অর্ধাঙ্গ অবশ কোইরগা দেন, তার টেনশান বাড়াই দেন। কিংবা দিখা যায় তার গুম নাই। খালি ফেরেশানি আর ফেরেশানি। গরে গেলে বউ এর সাথে শোন্দর কতা হয় না, বরং এমুন কতা হয় যে, তখন তার বোইলতে ইসসা করে “আল্লাগো আর ফাইত্তেসিনা। উঠাই লই যাও”।
এসব হয় নিয়ামতের ভিতর থাকিয়া অ শুকর আদাই না কর ফল!
অন্যদিকে, আল্লাহপাক অভাবিকে মুসিবতে ফেলিয়া অ ফরিক্ষা নেন। মুসিবতে ফেলিয়া তিনি গরীব গুর্মার “সবর” এর ফরিক্ষা লিয়ে থাকেন। হয়ত সারাজীবনই আল্লাহপাক তাদের দুর্ভিক্ষপীড়িত করি রাখেন। যেমুন, আফ্রিকার ভুখা নাঙ্গা হাড্ডিসার মানিশগুলান। অথবা রানা প্লাজার ধ্বসে কাঙ্গালীনীদের বিল্ডিং এর তলায় চাপা দিয়া আল্লাহপাক শুইনতে চান, এরা ‘আল্লাহ’ ‘আল্লাহ’ করে কি না!
এমনকি সারা জিবন এদেরকে নানান রকমের অভাব রোগ শোক দান করিয়া দারিদ্রের কুঠিন কষাগারে ফেলিয়া রাব্বুল আলামিন দেকতে সান, এই সোটো লুক ফইন্নির পুতেরা তাঁর প্রার্থনা খরে কি না!
যুদি এই গরীফগুলান সবর করে, তবে ফরকালে গিয়া সে ফাবে অসংখ্য নেকী আর নেকী! বলেন, সুবহানাল্লাহ!
সে এত নেকী ফাইবে যে, হাশরের ময়দানে সে আল্লাহপাকের চেয়ার এর সামনে খাড়ায়া খাড়ায়া ভাইব্বে “আরে এত্তু নেকী আইল কুত্থিকা!”
তখন, আল্লাহপাক বোইলবেন, তুমি যে অভাবে সবর কারাসো, এইটা সেই সবর ধারনের নেকী।
আসলে হইসে কি, লেবেরটরির বিতরে বিজ্ঞানিরা কত রকুম শাপ, ইঁন্দুর, গিনিফিগ লিয়া একেক রকুমের পর্যবেক্ষন সালান। তেমনি, আল্লাহপাক অ এই দুইন্যার মানশকে গরীব, ধনী বানাইয়া নিয়ামত দান করিয়া শুকরিয়া’র ফরিক্ষা নেন এবং মুসিবতে ফেলিয়া “সবর” এর ফরিক্ষা নেন। তাই বলা যায়, সব বিজ্ঞানির বিজ্ঞানি মহাবিজ্ঞানী আল্লাহপাক এর কাসে এই দুনিয়াদারি হইসে এক বিরাট “লেবেরেটরি”।
Leave a Reply