মুহম্মদ বাসায় ফিরে দেখলো, তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী বাক্স-প্যাটরা নিয়ে চলে যাচ্ছে বাপের বাড়ি। মুহম্মদ জিজ্ঞেস করলো:
– কী ব্যাপার? কী হয়েছে?
– আপনার অন্য স্ত্রীরা বলাবলি করছিল, আপনি নাকি শিশুকামী!
– শিশুকামী! তোমার মনে হয় না, নয় বছর বয়সী মেয়ের মুখে এমন শব্দ বেমানান?
একদা এক রাতে নবীজী হযরত মুহাম্মদ হেরা গুহায় বসে ধ্যান করছিল। হঠাত সে দেখলো, এক পেষল, ইয়া বড় ষণ্ডামার্কা সুদর্শন যুবাপুরুষ তার সামনে দাঁড়িয়ে। নবীজী যুবককে বললো, “হে মহামহিম, নিশ্চয়ই আপনি ফেরেস্তা জিব্রাইল হবেন।”
যুবক উত্তর করলো, “না, আমি জিব্রাইল না।”
নবীজী বললো, “কিন্তু এই গুহায় তো কেউ ছিলো না আর আমি ছাড়া। কীভাবে আপনি এখানে আসলেন? অবশ্যই আপনি অশরীরী কেউ। আমার ধ্যানে তুষ্ট হয়ে আমার মনোবাঞ্ছা পুরণের লক্ষ্যে আপনি এই গুহায় এসেছেন। অবশ্যই আপনি ফেরেস্তা জিব্রাইল। নিজেকে আর লুকিয়ে রাখবেন না। এইবার দয়া করে আমার মনোবাঞ্ছা পুরণ করুন।”
যুবক বললো তখন, “আচ্ছা, ঠিকাছে। আমিই ফেরেস্তা জিব্রাইল। এইবার বলো, কী তোমার মনোবাঞ্ছা।”
হযরত বললো, “আমার মনোবাঞ্ছা হচ্ছে, আমি পৃথিবীর তামাম সুদর্শন নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধের সঙ্গে যৌনসঙ্গম করতে চাই; পৃথিবীতে যতো টাকা-পয়সা-ধন-দৌলত আছে এর সব চাই; এবং চাই সর্বোপরি ক্ষমতা যাতে আমি যা খুশি তাই-ই করতে পারি।”
জিব্রাইল বললো, “আচ্ছা ঠিকাছে, তোমার মনোবাঞ্ছা পুরণ করা হলো। তোমার মনোবাঞ্ছাগুলো কাল সকালে বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু এক শর্তে। শর্তটা হচ্ছে – সারারাত আমাকে তোমার ‘পশ্চাদ্দেশ প্রহার’ করতে দিতে হবে।”
প্রথমে একটু ঘাবড়ে গেল নবীজি, কিন্তু পরিশেষে ভেবেচিন্তে দেখলো, ফেরেস্তা মানুষ, তারপর আবার সুদর্শনও বটে; ক্ষতি নেই, মাত্র এক রাতেরই তো মামলা! রাজি হলো আমাদের নবীজি এবং তেল-টেল মেরে একদম রেডি হয়ে বসলো। সারারাত তুমুল পশ্চাদ্দেশ মারামারি করে ক্লান্ত হয়ে গুহাতেই ঘুমিয়ে পড়লো তাঁরা।
সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হযরত বললো, ‘সকাল তো হয়েছে, এইবার আমার মনোবাঞ্ছা বাস্তবায়িত করুন।”
জিব্রাইল আড়মোরা ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে বললো, “বয়স কতো হইছে তোমার?”
নবীজী বললেন, “আজ্ঞে হুজুর, চল্লিশ বছর।”
হাসতে হাসতে বললো তখন জিব্রাইল, “চল্লিশ বছর বয়স হইছে তোমার, এখনও তুমি মিয়া ফেরেস্তায় বিশ্বাস করো?”
[বি.দ্র.- ঐতিহাসিকদের ধারণা এই যুবকটির নাম আবু জেহেল।]
(পাঠিয়েছেন সায়ন)
বাসর রাতে ৯ বছর বয়সী বিবি আয়েশা নবী করিম মোহাম্মদ (সঃ) কে জিজ্ঞেস করল, “শয়তান, দোজখ আর বেহেস্তের সুখ কোথায় পাওয়া যায়, আর কীভাবে পাওয়া যায়?”
মোহাম্মদ (সঃ) উত্তর দিলো, “আমার দুই পায়ের মাঝে তুমি শয়তানকে পাবে। তোমার দুই পায়ের মাঝে পাবে দোজখ। আর যদি তুমি দোজখে শয়তানকে বন্দী করতে পার, তবেই তুমি পাবে বেহেস্তের সুখের অনুভূতি।”
(পাঠিয়েছেন সায়ন)
Leave a Reply