লিখেছেন শান্তনু আদিব
ঈশ্বরের নির্দেশে দুইজন ফেরেশতা সোডম শহরের দ্বারে পৌঁছাইলে লুত(আঃ) তাদের সাদর সম্ভাষণ জানায়। অতিথিপরায়ণ লুত (আঃ) তাদের পিঁড়িতে বসতে দেবার এবং মুখেতে পানও তুলে দেবার প্রতিশ্রুতি দেয়। সাথে আরো প্রতিশ্রুতি দেয় খাদ্য এবং পানীয়ের। ফেরেশতারা নিরাপদ বোধ না করাতেই বোধহয় গাঁইগুঁই করছিল তার ঘরে না যাবার। তারপরেও অনুরোধে ঢেঁকি গিলে তারা লুত (আঃ)-এর ঘরে আস্তানা নেয়।
এমন সময় দরজায় ধুম ধুম শব্দে করাঘাত, চমকে উঠল দুই ফেরেশতা। অজান্তেই তাদের হাত চলে গেল নিজেদের পুটুতে। লুত (আঃ) তাদের এই অবস্থা দেখে তাদের আশ্বস্ত করে বাইরে বেরিয়ে যায়। গিয়ে দেখে প্রায় পুরো শহরবাসী এক হয়েছে, তাদের একটাই দাবি: তারা ফেরেশতাদের সাথে পেছন দিয়ে লাভ মেক করবে, যাকে আমরা বলি পুটু মারা।
লুত (আঃ) তখন বলে, “না, তোমরা এটা করতে পারো না, তাঁরা স্বর্গীয় দূত।”
তা শুনে একজন বলে ওঠে, “স্বর্গীয় দূত হলে তো আর পুটু থাকবে না, আর পুটু না থাকলে পুটু মারব কী করে?”
আরেকজন বলে, “পুটু আছে, তবে তা স্বর্গীয় পুটু। মারলে যা হবে না! পুরো মাখন!”
এসব শুনে লিডার টাইপের একজন বলে, “লুত, তুমি তাদের বের করে আনো নেংটু করে, আমরা দেখব, পুটু আছে কিনা।”
লুত (আঃ) এসব শুনে ডুঁকরে কেঁদে বলে, “না, তোমরা এরকম করো না। পুটু মারা জঘন্য কাজ। এর থেকে তোমরা আমার দুই মেয়েরে ভোগ করো। তাহারা এখনো কুমারী। বিশ্বাস কর, আমার পকেটেই আছে তাদের চেস্টিটি বেল্টের চাবি। খুলে দিচ্ছি, আমি তাদের যোনীতে পৌঁছানোর দরজা খুলে দিচ্ছি, মেক ইয়োরসেলভস কমফোর্টেবল দেয়ার। তাও ফেরেশতাদের পুটু মেরো না।”
ইংরিজিতে একটা প্রবাদ আছে, ওয়ান্স ইউ গো পুটু, ইউ নেভার গো ব্যাক টু যোনী। সোডমের লোকেদেরও একই অবস্থা। যেই বাঘ মানুষের মাংসের স্বাদ পায়, তার কি আর হরিণে পোষায়!
এর পরের কিছু ঘটনা বাইবেলে আর পাওয়া যায় না। বাইবেলে খুলে বলা হয়নি, ফেরেশতাদের পুটুর কী হাল হয়েছিল। নিঃসন্দেহে পুটু মারামারি আনন্দের কাজ, কিন্তু পুরো শহরবাসী যখন দুইটা পুটুর ওপর চড়াও হয়, তখন সেই দুই পুটুর অবস্থা সহজেই অনুমেয়।
লেট’স জাস্ট সে, হোয়াট হ্যাপেন্ড ইন সোডম, স্টেইড ইন সোডম।
পরবর্তী ঘটনা: ঈশ্বরের রোষানলে দুই যমজ শহর ধ্বংস হয়ে যায়। তবে সোডমের অপরাধে গোমরাহ কেন শাস্তি পাইল, তাহা আমার বোধগম্য হয় নাই। এ কি উদোর পিণ্ডি উদর সাথে বুধোর ঘাড়েও চাপানো হয়েছিল, নাকি গোমরাহ আসলে কোলাটারাল ড্যামেজ, তা, বোধকরি, আমরা কোনোদিনই জানিতে পারিব না।
আরও পরবর্তী ঘটনা।
লুত (আঃ) তাহার দুই কন্যাকে নিয়া পালাইল। তাহারা লোকারণ্য থেকে অনেক দুরে বাসা বাঁধিল। এইদিকে দুই কন্যার উঠেছে যৌবনজ্বালা। তারা দুই জনেই পিতার মুখে ‘খাবার’ তুলে দেয়। তারা তাদের পিতা লুত (আঃ)-কে মদ খাইয়ে মাতাল করে মেতে ওঠে আদিম খেলায়।
গিল্ট ফ্রি সেক্সের জন্য মানুষের ইতিহাসে সেই প্রথম ব্যবহৃত হয় মদ।
(সূত্র, জেনেসিস ১৯: ১৪-৩৮)
Leave a Reply