আল খাদরি হতে বর্ণিত: কিছু যুদ্ধবন্দিনী আমাদের করায়ত্ত হলে আমরা তাদের সাথে আজল পদ্ধতিতে ছহবত করতে চাইলাম। আমরা এ প্রসঙ্গে মুহাম্মাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের বললেন – নিশ্চয়ই তোমরা তা করতে পার, নিশ্চয়ই তোমরা তা করতে পার, নিশ্চয়ই তোমরা তা করতে পার।
(সহি মুসলিম ৮:৩৩৭৩)
আবু সাইদ আল খাদরিকে বলেন: হে আবু সাইদ, তুমি কি মুহাম্মাদকে আজল সম্পর্কে বলতে শুনেছ? তিনি বললেন- হ্যাঁ, শুনেছি। আমরা মুহাম্মাদের সাথে বানু মুস্তালিকের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়েছিলাম। সেই অভিযানে কিছু অপূর্ব আরব রমণী আমাদের হস্তগত হয়। বহুদিন যাবৎ স্ত্রীসঙ্গ হতে বঞ্চিত ছিলাম বিধায় আমরা গভীরভাবে তাদের কামনা করছিলাম, সেইসঙ্গে তাদের বিনিময়ে মুক্তিপণ পাওয়ার লোভও ছিল আমাদের। সুতরাং আমরা তাদের সাথে আজল পদ্ধতির মাধ্যমে ছহবত করার সিদ্ধান্ত নিই, কিন্তু আমাদের মনে হলো – আমরা একটি কাজ করতে যাচ্ছি; আল্লাহর রাসুল মুহাম্মাদ যখন আমাদের মাঝে আছেন, তখন তার কাছে জিজ্ঞেস করে নিই না কেন? সুতরাং আমরা আল্লাহর রাসুলকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন – তোমরা এরূপ কর আর না কর, কিছুই এসে যায় না। যে আত্মা জন্মানোর তা জন্মাবেই, পুনরুত্থানের দিন পর্য্যন্ত।
(সহি মুসলিম ৮:৩৩৭১)
জাবির বর্ণিত, একজন মানুষ মুহাম্মাদের কাছে এসে বলে: আমার একটি ক্রীতদাসী আছে যে আমাদের (পরিবারের) জন্য পানি বহন করে নিয়ে আসে এবং আমি তার সাথে ছহবত করি, কিন্তু আমি চাই না সে পেট বাধাক। মুহাম্মাদ বললেন, তুমি যদি চাও তাহলে আজল কর। (সহীহ মুসলিম ৮:৩৩৮৩)
Leave a Reply